চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) চান্দগাঁও থানার একটি অভিযানে শিশু অপহরণ মামলার একমাত্র আসামি মাহমুদুল ইসলাম মিরাজ (২০) গ্রেফতার হয়েছে। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে ভিকটিম ছিদরাতুল মুনতাহা (১৪)।
অভিযানটি ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ভোর ৫টা ১০ মিনিটে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার খেরিহার এলাকায় পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফতাব উদ্দিন। তাকে সহযোগিতা করেন এসআই (নি:) হৃদয় মাহমুদ লিটন ও সঙ্গীয় ফোর্স।
গ্রেফতারকৃত আসামির পরিচয় গ্রেফতারকৃত মাহমুদুল ইসলাম মিরাজ চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার দফাদার বাড়ির বাসিন্দা। তার বাবা আব্দুস সাত্তার এবং মা শারমিন বেগম। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার ল্যাবরেটরি স্কুলের সামনে একটি খাবারের হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন এবং সেখানেই ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
ভিকটিমের পরিচয়
উদ্ধার হওয়া ভিকটিম ছিদরাতুল মুনতাহা (১৪) ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার চর খোয়াজ এলাকার হাজী সেকেন্দর মিয়া সারেং বাড়ির বাসিন্দা। তার বাবা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। বর্তমানে তারা চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার পশ্চিম ফরিদার পাড়ার জামাল বিল্ডিংয়ে বসবাস করছিলেন।
মামলার তথ্য এই ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৭/৩০
ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার নম্বর ১৫, তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪।
অভিযানের পটভূমি ও সাফল্য
চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফতাব উদ্দিন জানান, ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। প্রযুক্তি ব্যবহার ও সোর্সের মাধ্যমে অপহরণকারীর অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে পরিকল্পিত অভিযানের মাধ্যমে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেফতার করা হয় এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর ভিকটিমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়। এরপর তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম চলছে। স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
এ অভিযানে শিশু উদ্ধারের খবরে ভিকটিমের পরিবারসহ স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা চান্দগাঁও থানা পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ এবং সফল অভিযানের প্রশংসা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চান্দগাঁও থানার ওসি মোঃ আফতাব উদ্দিন বলেন, “এ ধরনের অপরাধ দমনে আমাদের থানার সব সদস্য সর্বদা প্রস্তুত। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
অপরাধ দমনে পুলিশের অঙ্গীকার
এ ঘটনাটি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের আন্তরিকতা ও দক্ষতার প্রতিফলন। অপরাধ দমনে সিএমপি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।