
নোয়াখালীর বসুরহাট থেকে দাগনভুইয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গত ঈদুল ফিতরের পর থেকে চলেছ সিএনজি চালিত অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে চালকদের নৈরাজ্য। বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজমান।
বসুরহাট থেকে দাগনভূঞা ৭.৭ কিলোমিটার দূরত্বের পূর্বে আগে যাওয়ার ভাড়া ছিল জনপ্রতি ২০টাকা। কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এখন মাথাপিছু আদায় করা হচ্ছে দিনে ৩০-৪০টাকা, রাতে আদায় করা হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। সন্ধ্যার পর থেকে রাত যত বাড়তে থাকে ততই বাড়তি ভাড়া আদায় করেন চালকরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে নিন্দার ঝড়! প্রতিনিয়ত চালকদের সঙ্গে যাত্রীদের হাতাহাতি ও গালাগালির ঘটনা ঘটছে। অনেকে ফেইসবুকে লাইভে এসে বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন রুটে অঘোষিতভাবে নিজেদের ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছেন চালকেরা। হাতেগোনা কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস ছাড়া জেলা সদরে দ্রুত যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সিএনজি চালিত অটোরিকশা। কয়েকজন নিয়মিত যাতায়াত করা যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ঈদুল ফিতরের পর থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেকটি রুটে জনগণকে জিম্মি করে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই। এ ব্যাপারে তারা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের সঙ্গে চালকদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে চলছে। চালকদের লাগাম টেনে ধরার যেন কেউ নেই। চালকদের গলাকাটা ভাড়া আদায় থামাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ,এবং যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।