1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শিবগঞ্জে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে প্রগতি সংস্থার স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ ক্ষেতলালে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন! লাউগাছের চারা খাওয়া নিয়ে গলাচিপায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ১ গৌরবে মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবজোন চ্যাম্পিয়ন ধামরাইয়ে অটোরিকশা চালক সায়েদুর রহমান হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে ( পিবিআই ) কালাইয়া বাজারের রাস্তাঘাটে করুণ দশা, ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে গোসল করতে নেমে   দ্বিতীয় শ্রেণীর  শিশুর মৃত্যু বান্দরবানে বাজার চৌধুরীর অপসারণ ও বিচারের দাবীতে মানব বন্ধন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি সার বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা! শিবচরে মাদক রোধে ইউএনও’র কাছে স্মারকলিপি দিল উপজেলা বিএনপি

সেতুর অভাবে বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পাহাড়ি জনপদ

সাফিজল হক,শেরপুর
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪
শ্রীবরদীর সোমেশ্বরী নদীতে একটি সেতুর অভাবে বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পাঁচ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পার হচ্ছে শিশুসহ স্কুলের শিক্ষার্থীরা। দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি থাকলেও শোনেনি কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন দিকে ভারত থেকে নেমে আসা সোমেশ্বরী নদী আর উত্তরপ্রান্তে ভারত সীমানায় বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে শেরপুরের, শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ের খারামোরা, রাঙাজান ও কোচপাড়াসহ পাঁচ গ্রামের বাসিন্দাদের। শুষ্ক মৌসুমে নদীতে হাঁটুপানি থাকে। বৃষ্টি হলেই পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি থাকে কানায় কানায় পূর্ণ। এতে নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। সীমান্তে টহল দিতে পারেন না বিজিবির সদস্যরা। প্রতিবেশীরা যেতে পারেন না ওসব গ্রামে। চরম ভোগান্তি পোহায় হাজারো শিক্ষার্থীসহ ১৫ হাজার মানুষ। নদীর দুই পাশে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাদ্রাসা, মসজিদ, গির্জা ও সরকারি-বেসরকারি এনজিও অফিস আছে। খাড়ামোড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ আলীর অভিযোগ, দেশ স্বাধীনের পর থেকে সেতুর দাবি থাকলেও আজও বাস্তবায়ন হয়নি। নদীতে পানি বেশি থাকলে অনেক সময় পার হওয়া যায় না। সারা বছর নৌকায় কষ্টে পার হতে হয়। কেউ অসুস্থ হলে সময়মতো চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। অনেক সময় বিনা চিকিৎসায় মারা যায়।
বালীজুড়ি গ্রামের আব্দুল হাকিম  বলেন বাপ-দাদার আমল থেকে হাজার হাজার মানুষ কষ্ট করে নদী পার হয়। বর্ষাকালে নদীতে পানি বেড়ে গেলে হাটবাজারে যাওয়া যায় না।শুষ্ক মৌসুমে নদীতে হাঁটুপানি থাকে, বৃষ্টি হলেই পাহাড়ি ঢলে কানায় কানায় পূর্ণ,বালীজুড়ি গ্রামের  লিমন হোসেন জানায়, বছরের অধিকাংশ সময় পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীতে পানি বেড়ে যায়। এই সময়ে নদী পার হতে না পারায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া যায় না। অনেক সময় নৌকা দিয়ে নদী পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
তাওয়াকুচার গ্রামের গোলাপ হোসেন বলেন, সেতু না থাকায় সারা বছর খুব কষ্ট করতে হয়। সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ চাই। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর উপজেলা প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন। দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজের অনুমোদন পেলেই শুরু হবে নির্মাণকাজ। শুধু আশ্বাস নয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে সোমেশ্বরী নদীর ওপর একটি সেতু হবে। বদলে যাবে পাহাড়ি জনপদের জীবন এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট