চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি না করার অনুরোধ জানিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর খোলা চিঠি দিয়েছেন হাসপাতালের একজন জীবন সদস্য মো. কামাল উদ্দিন। চিঠিতে তিনি হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম এবং জটিলতা নিরসনের প্রসঙ্গে তার মতামত তুলে ধরেছেন। চচিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর নেতৃত্বে হাসপাতালের কার্যক্রম বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। তবে কিছু চাকরিচ্যুত কর্মচারী এবং তাদের উস্কানিতে বর্তমান কর্মচারীদের একাংশ তথাকথিত আন্দোলনের নামে হাসপাতালের পরিবেশ অশান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির মেয়াদ ৪৫ দিনের জন্য নির্ধারিত ছিল। কমিটির কার্যক্রমের ফলে হাসপাতালের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে এবং কর্মচারীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজে ফিরে যান। জাহাঙ্গীর চৌধুরীর ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, “দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে জাহাঙ্গীর চৌধুরী তার মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালকে জাতীয় মানের একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। তার উদ্যোগেই কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ এবং হাসপাতালের কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভব হয়েছে।”
চিঠিতে আরও দাবি করা হয়েছে যে, তথাকথিত আন্দোলনের পেছনে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের প্রকৃত উদ্দেশ্য কর্মচারীরা বুঝতে পেরেছে এবং তারা পুনরায় সভাপতির নেতৃত্বে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন জীবন সদস্য মো. কামাল উদ্দিন।
তিনি জেলা প্রশাসকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের পরিচালনার দায়িত্ব পুনরায় সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর ওপর অর্পণ করা হলে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আরও সুসংগঠিত হবে।” উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের পরিচালনা কমিটি সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা চলমান রয়েছে।