মাননীয় মেয়র মহোদয়,
আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন যে, চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক স্থান চেরাগি পাহাড় আমাদের সংস্কৃতি ও ইতিহাসের এক উজ্জ্বল স্মারক হিসেবে স্বীকৃত। এই স্থানটি চট্টগ্রামের সৃষ্টির ইতিহাসে একটি বিশেষ চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর, ৯৪ সালে তৎকালীন মেয়র মীর নাছির উদ্দীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অনুমতিক্রমে এই বার আউলিয়ার স্মৃতিবিজড়িত চেরাগি পাহাড়কে সংরক্ষণে উদ্যোগ নেন এবং সেখানে একটি আধুনিক চেরাগ নির্মাণ করেন, যা চেরাগি পাহাড়ের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যকে আরও মহিমান্বিত করেছে।
এই স্মৃতিস্তম্ভটির সফল সংরক্ষণে বিএনপির অবদান নিঃসন্দেহে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই স্মৃতিস্তম্ভের নিচে চারজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার যথাক্রমে- শহীদ বদিরুজ্জামান চৌধুরী, জাফর আহমেদ, দীপক বড়ুয়া, মাহবুবুল আলম চৌধুরী ও আরো অনেক নমা অজানা মানুষের কবর রয়েছে। বর্তমানে এই পবিত্র স্থানটি নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে, সম্প্রতি সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের একাধিক সমাবেশ এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবরের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং বার আউলিয়ার এই পবিত্র স্থানকে অপবিত্র করার সামিল বলে আমরা মনে করি।
এছাড়াও, বিভিন্ন স্কুল, কোচিং সেন্টার ও অন্যান্য সংস্থার পোস্টার লাগিয়ে এই ঐতিহাসিক স্থানের সৌন্দর্যহানি ঘটানো হচ্ছে। চেরাগি পাহাড়ের নান্দনিকতা ও পবিত্রতা যেন অক্ষুণ্ণ থাকে, সেজন্য এই অবাঞ্ছিত কার্যকলাপ বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।
সবকিছু বিবেচনায় রেখে চেরাগি পাহাড়ের স্মৃতিস্তম্ভটি পবিত্র ও ঐতিহাসিক মর্যাদায় সংরক্ষণে আপনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নিবেদক:
মো. কামাল উদ্দিন
মহাসচিব, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।
০১৭১১৭২২২৪৭,