চট্টগ্রামে ডায়বেটিক সমিতির কুচক্রী মহলের সৃষ্ট কৃত্রিম সংকট সমাধান ও সমিতির পরীক্ষিত সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরীর নেতৃত্বে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৫ই অক্টোবর হাসপাতালের সাধারণ কর্মী-কর্মচারীদের ভুল তথ্য দিয়ে একটি গ্রুপ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে হাসপাতালকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। দীর্ঘ বছরের জনপ্রিয় সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী জীবনকে হুমকির মুখে রেখে হাসপাতালকে লুটপাটের একটি ক্ষেত্র হিসেবে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছিল। তবে ২৮শে অক্টোবর জাহাঙ্গীর চৌধুরী নিজে উপস্থিত হয়ে সব সমস্যা সমাধান করেন।
সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী
বিশেষ করে হাসপাতালের অচলাবস্থা নিরসনে তিনি আন্তরিকভাবে এগিয়ে যান, এবং তার উপস্থিতির পর হাসপাতালের কর্মী-কর্মচারীদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে জাহাঙ্গীর চৌধুরীর নেতৃত্বে আনুগত্য স্বীকার করেন। ২৮শে অক্টোবরের পর থেকে হাসপাতাল পরিচালনা হচ্ছে তার তত্ত্বাবধানে। হাসপাতালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পুনঃস্থাপনে তার ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। হাসপাতালে তার আগমনের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির সব কাজ সুষ্ঠু ও সময়মত সম্পন্ন হতে শুরু করেছে। তিনি প্রতিনিয়ত হাসপাতালের উন্নয়নে মনোযোগী, যেটি হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মী এবং রোগীদের জন্য বড় একটি আশার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, “আমার নেতৃত্বে হাসপাতালকে চালানোর যে লক্ষ্য, সেটি ছিল সবসময় রোগীদের সেবা নিশ্চিত করা এবং কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করা। আমি কখনও কুৎসিত রাজনীতি বা অন্য কারও স্বার্থে কাজ করতে চাইনি। এই হাসপাতালের প্রতিটি কর্মী আমার পরিবার, এবং আমি তাদের সঙ্গে একটি দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। এখানে সবার সহায়তায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি।”
যদিও কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে কিছু ব্যক্তিরা আবার অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল, তবে সেই সময় জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিশেষ অনুরোধে জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে ৪৫ দিনের জন্য একটি আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করা হয়, যা এখনও বলবত রয়েছে। জাহাঙ্গীর চৌধুরী জানান, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনা বিবেচনায় এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এখন সব কিছু তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এবং তিনি মনে করেন যে, এই কমিটির আর প্রয়োজন নেই, তাই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে তার দাবি, কমিটি বাতিল করা হোক। জাহাঙ্গীর চৌধুরী আরও বলেন, “আমাদের হাসপাতাল ও রোগীদের স্বার্থের দিকে মনোযোগী হয়ে আমি কখনও কোনো ষড়যন্ত্র বা অরাজকতার দিকে চোখ বন্ধ করি না। গত কয়েক বছরে আমি যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি, তা দীর্ঘমেয়াদে হাসপাতালের উন্নয়ন এবং রোগীদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য ছিল।”
অন্যদিকে, তিনি ঘোষণা করেছেন যে আগামী ১৪ই নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস উদযাপন করা হবে, যেমনটি প্রতি বছর উদযাপন করা হয়। “বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবসটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটিতে আমরা জনগণকে ডায়াবেটিস বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করি। আমি আশা করি, এবছরও আমরা সফলভাবে এই দিবসটি উদযাপন করতে পারবো।”