1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

যুবলীগ নেতা মফিজুলের অপকর্মের লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসক’কে

মোঃ জহিরুল ইসলাম রনি
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে
একে একে জমি দখল ও মাদক কারবারের অভিযোগে যুবলীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মফিজুল হকের অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসক (ডিসি)কে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। বুধবার বিকেলে গণ-সাক্ষরযুক্ত একটি লিখিত অভিযোগ ডিসির বরাবরে দেন তাঁরা।
অভিযোগে বলা হয়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের (৯নং ওয়ার্ড) আরাজী শিংপাড়া (চৌদ্দহাত কালিতলা) এলাকার ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা মফিজুল হক গত ১৫-১৬ বছর ধরতে ওই এলাকাসহ জগন্নাথপুরের নিরীহ মানুষের জমি-জায়গা অবৈধভাবে দখল করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।এক সময় মফিজুল হকের সংসার চলতো দিনমজুর ও পাওয়ার ট্রিলার চালিয়ে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে তিনি। পরে  ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ভোট কারচুপির মাধ্যমে বিজয়ী হন। তাঁর ছোট ভাই মজিবর রহমানকে পাইয়ে দেন ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতির পদ। এরপর জনপ্রতিনিধির মুখোশের আড়ালে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন তিনি।
যুবলীগ আপেলের প্রভাব খাটিয়ে গড়ে তোলেন কিশোর গ্যাং। কিশোরদের হাতে মাদক তুলে দিয়ে এলাকায় মাদক সেবনের নিরাপদ আস্তানা তৈরি করেন। পাশাপাশি এলাকায় জমির বিরোধের সুযোগ নিয়ে বায়নামা সূত্রে রাতারাতি বনে যায় জমির মালিক। দখলকৃত জমিতেই অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলে তাঁর ক্যাডার বাহিনী। দিন রাত চলে মাদক সেবনকারীদের অপকর্ম। এভাবেই জমি দখল ও মাদক কারবার করে বহু অবৈধ সম্পদের মালিক হয়ে যায় মফিজুল। লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়, মফিজুল হক কালিতলায় একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে উল্টা তার বাহিনী ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ২ শতক জমি ভয়-ভীতি দেখিয়ে জবর-দখল করে নেয়। মাদক সেবনকারীদের আশ্রয় ও অর্থ দিয়ে তাদের দ্বারা  নিরীহ মানুষের জমি দখল করে নেন তিনি।
জাল দলিল ও কাগজপত্র তৈরী করে মফিজুল সন্ত্রাসী কায়দায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মুহা. জালাল উদ-দীনের ২১ শতক জমি রাতের অন্ধকারে দখল করে টিনের ঘর-বাড়ি নির্মাণ করেন। দখলকৃত ওই টিনের বাড়িতে মফিজুলের স্ত্রী সুমাইয়া নিজেই ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক বেচাকেনা করেন।  কালিতলা বাজারের উত্তর পার্শ্বে ২ কোটি টাকা মূল্যের ৪০০ শতক জমি দখল এবং ওই বাজারের পূর্ব পাশ্বে দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৫০শতক, ফকিরডাঙ্গা স্কুলের পার্শ্বে ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ৫০ শতক,একই এলাকার লিটন ইসলামের ২৫ শতক, দুলাল ইসলামের ৫ শতক ও মরহুম ওয়াজউদ্দীনের পুত্রবধু সুমির ২২ শতক জমি ভয়-ভীতি দেখিয়ে রাতের আধারে জবল দখল করে নেয় মফিজুল বাহিনী।
অভিযোগে বলা হয়, ভূমিদস্যু মফিজুল মেম্বারের প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করেন তার ভাই মজিবর, রহিমসহ আরো অনেকেই। মফিজুল সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে বহু পরিবার ও নিরীহ লোকজনকে এলাকা ছাড়া করেছেন। এবং কিশোরদের মাদকের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। মাদক ব্যবসা সহ এসব অবৈধ জমি দখলের প্রতিবাদ এবং থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ দিয়ে অত্যাচার করেন।
জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল (পলাতক) ও সাধারণ সম্পাদক কারাবন্দী দেবাশীষ দত্ত সমীরের আশ্রয়ে এলাকার মানুষের উপর প্রতিনিয়তই জুলুম-নিপীড়ন চালায়। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরেও ইউপি মফিজুল হকের খুটির জোর একটুকুও কমেনি। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। তার পিছনে কলকাঠি নাড়ছে কে? স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে একালায় ইউপি মফিজুল একক রাজত্ব কায়েম করেছে। অনেক নিরীহ মানুষের জমি- ঘরবাড়ি দখল করেছে। কেউ প্রতিবাদ করলে থানা পুলিশ ও নিজস্ব বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি দেখাতো। সরকার পতনের পরেও তাঁর প্রভাব কমেনি। তাই আমরা এলাকাবাসী ও নির্যাতিতরা এক হয়ে তাঁর সকল অপকর্মের লিখিত অভিযোগ ডিসিকে দিয়েছি। তাঁরা আরো জানান, এলাকাবাসী আওয়ামী সরকারের অনুগামী, সন্ত্রাসী, শিংপাড়া কালিতলা ও জগন্নাথপুরের কয়েকটি গ্রামের মাদক সম্রাট ইউপি মফিজুল হকের যাবতীয় ফৌজদারী অপরাধের সুষ্ঠু বিচার ও প্রাতিষ্ঠানিক অপসারণের দাবি জানাই।
আশা করছি জেলা প্রশাসক মফিজুলের অন্যায়- অবিচারের সঠিক বিচার করে ইউপি সদস্য পদ থেকে তাকে অপসারণ করবেন। এব্যাপারে ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা মফিজুল হকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে  তাঁর বাড়িতে গেলে প্রতিবেশিরা জানান, সরকার পতনের পর থেকেই মফিজুল পলাতক রয়েছেন। এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ( ডিসি) ইসরাত ফারজানা জানান, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ইউপি সদস্য মফিজুল হকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট