1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

বুদ্ধিজীবী বনাম ভুয়া ডক্টরদের দাপট”

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে

মাপ করবেন—আমি উচ্চশিক্ষিত নই…

একজন সাধারণ মানুষ। তবুও আজ সাহস করে আমাদের সমাজে ছড়িয়ে থাকা তথাকথিত কিছু ডক্টরদের নিয়ে কিছু কথা বলতে চাইছি। নাম উল্লেখ না করেও, আকারে-ইঙ্গিতে এই ভুয়া পন্ডিতদের সত্যটা সামনে আনতে চাইছি। তবে কারও সম্মান ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্য নেই; বরং সত্যিকারের ডিগ্রিধারী, জ্ঞানী ডক্টরদের প্রতি সম্মান রেখে কথাগুলো বলছি। এখন দেশে যেন বুদ্ধিজীবী আর ডক্টরদের এক বন্যা নেমেছে—এত বেশি ডক্টর ডিগ্রি আর তথাকথিত বুদ্ধিজীবী যে গণনা করাও কষ্টকর। বাজারে হাঁটলে, ঘাটে গেলে, কোথাও গেলে—সবখানে একরকম ‘ডক্টর’ শব্দের ছড়াছড়ি। অথচ, এদের বেশিরভাগই যেন আসল জ্ঞানের আলো থেকে অনেক দূরে। সত্যিকারের ডক্টর, যারা জ্ঞান আর মানবতার জন্য কাজ করেন, তারা আজ এই ভুয়াদের দাপটে নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জা পান। আমি অনেক তথাকথিত ডক্টরকে চিনি, যাদের ডিগ্রি কেবল কাগজে লেখা, জ্ঞানে বা কাজের ক্ষেত্রে এর কোনো ছাপ নেই। তাদের কাজের ভেতর আর তত্ত্বের মধ্যে কোনো মিল নেই, বরং তারা নিজেদের জাহির করতেই বেশি ব্যস্ত। অথচ, এদের তুলনায় যে সব আসল বুদ্ধিজীবী আছেন, যারা মানবতার কল্যাণে কাজ করছেন, তাদের স্বীকৃতি খুব কমই পাওয়া যায়। সত্যিকারের জ্ঞান আর গবেষণার জায়গায় আজ এই ভুয়া ডক্টরদের দাপটে কিছুটা অন্ধকার নেমে এসেছে।
এইসব তথাকথিত ডক্টরদের প্রভাব সমাজে যে কী পরিমাণ, তা বোঝানো কঠিন। তারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের এমনভাবে জাহির করছেন যে সাধারণ মানুষ আসল আর নকলের ফারাক করতে পারছে না। অথচ সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য আসল জ্ঞানীদের জায়গায় দরকার তাদের কণ্ঠস্বর—যাদের কাছে সত্যিকার অর্থে কিছু দেওয়ার আছে।
গভীর এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ফসল, যা শিক্ষা ও জ্ঞান বিতরণের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ডক্টর ডিগ্রি মূলত গবেষণা ও শিক্ষার উন্নতি সাধনের জন্য উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে স্বীকৃত। এর উৎপত্তি মূলত মধ্যযুগীয় ইউরোপে এবং তখন থেকে এটি শিক্ষাক্ষেত্রে গর্ব এবং মর্যাদার প্রতীক হয়ে ওঠে। প্রথম ডক্টর ডিগ্রি: বোলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউরোপের মধ্যযুগ ডক্টর ডিগ্রির উদ্ভবের শুরু হয় ইতালির বোলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১০৮৮ সালে এবং এটি ইউরোপের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় বলে বিবেচিত। প্রথমদিকে ডক্টর ডিগ্রি প্রধানত আইনশাস্ত্রের জন্য দেওয়া হত। বোলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথানুযায়ী, একজন ছাত্রকে আইন, ধর্মতত্ত্ব বা চিকিৎসাশাস্ত্রে উচ্চতর জ্ঞান অর্জন ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হতো এবং সবার সম্মুখে জ্ঞান বিতরণের ক্ষমতা লাভ করতে হতো। এসময় আইনশাস্ত্রের ক্ষেত্রে ডক্টর ডিগ্রির চর্চা শুরু হলেও পরবর্তীতে এটি ধর্মতত্ত্ব এবং চিকিৎসাশাস্ত্রে বিস্তৃত হয়। পরবর্তীতে, ১২১৯ সালে, পোপ গ্রেগরি নবম বোলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে আইনশাস্ত্রে ডক্টরাল ডিগ্রি প্রদানের জন্য বিশেষ অনুমোদন দেন। এভাবে ডক্টরাল ডিগ্রি প্রথাগত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গুরুত্ব লাভ করে এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এটি চালু হয়।
“ডক্টর” শব্দের উৎস এবং এর প্রাথমিক অর্থ “ডক্টর” শব্দটি এসেছে ল্যাটিন docere শব্দ থেকে, যার অর্থ “শিক্ষা দেওয়া” বা “শিক্ষক”। ডক্টর ডিগ্রি প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মূলত তাদের জ্ঞানের গভীরতার জন্য সম্মানিত করা হতো এবং তারা কেবল শিক্ষায় বিশেষজ্ঞ ছিলেন না, বরং শিক্ষাদানের দায়িত্বও পালন করতেন। একজন ডক্টরের মূল দায়িত্ব ছিল সমাজে জ্ঞান বিতরণ করা এবং শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া। প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় এবং ধর্মতত্ত্বের ডক্টরাল ডিগ্রি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ও ডক্টরাল ডিগ্রির প্রচলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৩ শতকে, এটি বিশেষ করে ধর্মতত্ত্ব ও দর্শনশাস্ত্রের ক্ষেত্রে ডক্টরাল ডিগ্রি দেওয়ার জন্য প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক মর্যাদা তৈরি করে এবং কেবলমাত্র মেধাবী এবং বিশিষ্ট গবেষকদেরই এই ডিগ্রি প্রদান করা হত। এই প্রথা দ্রুত অন্যান্য ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষ করে অক্সফোর্ড ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৭শ এবং ১৮শ শতাব্দীতে ডক্টরাল ডিগ্রির বিকাশ ১৭শ এবং ১৮শ শতাব্দীতে ডক্টরাল ডিগ্রি ইউরোপজুড়ে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তৃত হয়। বিশেষ করে, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধানের উপর গুরুত্ব বাড়ে। জার্মানির অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাভিত্তিক পিএইচডি ডিগ্রির প্রচলন হয়, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশেও প্রভাব ফেলে। এর ফলে, ডক্টরাল ডিগ্রি গবেষণা ও নতুন আবিষ্কারের একটি প্রতীক হিসেবে পরিগণিত হয়। এই সময়ের মধ্যে ‘ডক্টর অফ ফিলোসফি’ (PhD) ডিগ্রি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, যা শুধুমাত্র দর্শনশাস্ত্রেই নয়, অন্যান্য বহু বিষয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়।

আধুনিক যুগে ডক্টর ডিগ্রি: গবেষণা এবং বিশেষায়নের প্রসার ১৯শ ও ২০শ শতাব্দীতে ডক্টরাল ডিগ্রির গুরুত্ব আরও বেড়ে যায় এবং এটি পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় PhD ডিগ্রি গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষার মূল স্তর হিসেবে গড়ে ওঠে। এখন গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, চিকিৎসা, এবং মানবিক বিভাগে, ডক্টরাল ডিগ্রির প্রচলন রয়েছে। ডক্টরাল ডিগ্রির প্রাপ্তি এখন কঠোর গবেষণাপ্রবণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করা হয়, যার মধ্যে মৌলিক গবেষণা, তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ, এবং গবেষণার নতুন দিক উন্মোচন অন্তর্ভুক্ত।
ডক্টর ডিগ্রি কেবলমাত্র একটি শিক্ষাগত অর্জন নয়, এটি একজন গবেষক ও শিক্ষাবিদের পেশাগত জীবনের শীর্ষে ওঠার চিহ্ন। আধুনিক সময়ে ডক্টরাল ডিগ্রি এমন একটি ডিগ্রি যা সমাজে জ্ঞান অর্জন, বিতরণ, এবং গবেষণার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখে। টাকার বিনিময়ে ডক্টর ডিগ্রি বা PhD ডিগ্রি সংগ্রহের প্রবণতা বর্তমানে বেশ কিছু দেশে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে, কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অর্থের বিনিময়ে ফেক বা তথাকথিত ‘অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করছে। এগুলো সাধারণত ‘ডিপ্লোমা মিল’ নামে পরিচিত এবং প্রকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত নয়। এইসব প্রতিষ্ঠান আসলে শিক্ষার চেয়ে লাভের উদ্দেশ্যেই কাজ করে।

ফেক ডক্টরেট ডিগ্রি কোথায় কোথায় পাওয়া যায়?

১. অনলাইন ডিপ্লোমা মিল: অনেক ডিপ্লোমা মিল অনলাইনে ফেক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠান মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, এবং এশিয়ার কিছু দেশে কার্যক্রম চালায়। কিছু ওয়েবসাইট নিজেকে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ বা ‘ইনস্টিটিউট’ দাবি করে, কিন্তু তাদের শিক্ষাগত মান ও অনুমোদন নেই। ২. বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাবিদ: কিছু অননুমোদিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাবিদ নিজেদের আয়ের জন্য এই ধরণের সুবিধা দেয়। তারা অনলাইন বা সরাসরি টাকার বিনিময়ে ডিগ্রি দিয়ে থাকে।
৩. কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠান: বিশেষ করে যেসব দেশে শিক্ষাব্যবস্থা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় না, সেই দেশগুলোতে এমন ফেক ডিগ্রির ব্যবস্থা সহজে পাওয়া যায়। কিছু নামহীন বিশ্ববিদ্যালয় পয়সার বিনিময়ে অনলাইনে ডিগ্রি দিয়ে থাকে। ডক্টর ডিগ্রি আসল নাকি ফেক, তা জানার উপায়

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন যাচাই: ইউজিসি (University Grants Commission) বা সংশ্লিষ্ট দেশের উচ্চশিক্ষা সংস্থা দ্বারা স্বীকৃত কিনা, তা যাচাই করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় অনুমোদনপ্রাপ্ত না হলে, ডিগ্রির মানও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
২. অনলাইন রিভিউ ও বৈধতা যাচাই: অনেক সময়ই ডিপ্লোমা মিল বা অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে খারাপ রিভিউ পায়। এছাড়া ডিগ্রির বৈধতা যাচাইয়ের জন্য বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ডাটাবেস রয়েছে, যেখানে প্রতিষ্ঠানটির নাম এবং অনুমোদন যাচাই করা যায়। ৩. ডিগ্রির মানদণ্ড: প্রকৃত ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের জন্য গবেষণা, প্রবন্ধ প্রকাশ, এবং পাবলিক ডিফেন্স প্রয়োজন। ডিপ্লোমা মিল সাধারণত এসব মানদণ্ডে পরিপূর্ণ নয় এবং সহজেই টাকার বিনিময়ে ডিগ্রি প্রদান করে। ৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও তথ্য যাচাই: সত্যিকারের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তাদের অনুমোদন, ডিগ্রির মানদণ্ড, এবং অ্যালামনাই তালিকা পাবেন। ফেক ডক্টরেট ডিগ্রির কুফল ও জবাবদিহিতা
ফেক ডক্টরেট ডিগ্রি ব্যক্তির কর্মজীবনে একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ যখন এ ধরণের বিষয় প্রকাশ পায়, তখন তার সম্মান ও ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়ে।
ডক্টরেট ডিগ্রি বা পিএইচডি (ডক্টর অফ ফিলোসফি) উচ্চতর শিক্ষার একটি বিশেষ স্তর, যা গবেষণামূলক কাজের মাধ্যমে অর্জন করা হয়। তবে, বর্তমান সমাজে অনেক ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অনেকেই নিজেদের নামের সাথে ডক্টরেট যুক্ত করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিস্থাপন করছেন, কিন্তু তাদের অর্জিত ডিগ্রির সঠিকতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা কম। আসুন, ডক্টরেট ডিগ্রির প্রকৃতি, তা অর্জনের নিয়মাবলী, এবং সঠিক ডক্টরেট চিহ্নিতকরণের উপায়গুলি সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা যাক। ডক্টরেট ডিগ্রি কীভাবে অর্জন করতে হয় ১. শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের জন্য প্রার্থীদের সাধারণত মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম থাকতে পারে, তবে সাধারণভাবে মাস্টার্স সম্পন্ন করা প্রয়োজন।
২. গবেষণার বিষয় নির্বাচন: প্রার্থীদের একটি মৌলিক গবেষণার বিষয় নির্বাচন করতে হয়। এটি প্রার্থীর আগ্রহ এবং বর্তমান গবেষণা ক্ষেত্রের প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে হতে পারে।
৩. গবেষণা প্রস্তাবনা: নির্বাচিত বিষয়ের উপর একটি গবেষণা প্রস্তাবনা প্রস্তুত করতে হয়, যা গবেষণার উদ্দেশ্য, পদ্ধতি এবং প্রত্যাশিত ফলাফলগুলি বর্ণনা করে। ৪. গবেষণা এবং ডক্টরাল থিসিস লেখা: গবেষণার কাজ সম্পন্ন করে একটি পিএইচডি থিসিস লিখতে হয়, যা মৌলিক তথ্য এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল অন্তর্ভুক্ত করে। ৫. বিচারক প্যানেল: থিসিস জমা দেওয়ার পর, একটি বিচারক প্যানেল প্রার্থীর গবেষণার মূল্যায়ন করে এবং মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে তা যাচাই করে। ৬. সফলতা: সবকিছু সফলভাবে সম্পন্ন হলে প্রার্থীকে ডকটরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ডকটরেট ডিগ্রির সঠিকতা যাচাইয়ের উপায় ১. বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি: যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জিত হয়েছে, সেটির স্বীকৃত এবং সুনাম রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয় বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে চেক করা যেতে পারে। ২. থিসিসের বিষয়বস্তু: প্রার্থীর গবেষণার বিষয়টি কতটুকু মৌলিক এবং তা কতটা প্রাসঙ্গিক, তা দেখা যেতে পারে। এটি গবেষকটির গবেষণার ক্ষেত্রে তার জ্ঞান ও দক্ষতা প্রমাণ করে।
৩. প্রকাশনা: গবেষণার ফলাফল কীভাবে প্রকাশিত হয়েছে, তা দেখা উচিত। গবেষণার ফলাফল আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হলে তা সাধারণত বেশি মূল্যবান। উদাহরণস্বরূপ কিছু নাম ১.আমি একজনকে চিনি তিনি নজরুল গবেষক হিসেবে পরিচিয় দিয়ে চলে তিনি নাকি আমিরিকা থেকে ডক্টরেট করেছে আসলে সত্যি নয়, যিনি নজরুল ইসলামের সাহিত্য ও দর্শনের উপর গবেষণা করেছেন বলে প্রচার করে । সেই এমন ভাবদেখায় মনে হয় সেই বিশ্ব বেয়াদব,
২.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ও কয়কজন দেখি বঙ্গবন্ধুর উপর গবেষণায় ডক্টরেট করেছে মর্মে পরিচিয় দিতে, যিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে তার ভূমিকা নিয়ে গভীর গবেষণা করেছেন বলে নিজে নিজে প্রচার করলেও আসলে কি সত্যি ডক্টরেট করেছে?
আরো একজন আছেন শিক্ষাবীদ হিসেবে পরিচিত সেই নামে আগে ডক্টর লিখেন-
আমার জানামতে সত্যি ডক্টরেট করেনি। আরো একডজন আছে তাদের নামের ডক্টর আছে, তবে আমি এদের ডক্টর হওয়ার রহস্য উদঘাটন করবো ইনশাআল্লাহ,
আজকাল আলু কচুর উপর গবেষণা করা একজন গবেষক, যিনি এই ফসলের বিভিন্ন জাত, উৎপাদন পদ্ধতি এবং খাদ্য নিরাপত্তার উপর কাজ করেছেন। এভাবে, ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন একটি গুরত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, এবং ভুয়া ডক্টরেটের প্রচলন সমাজের জন্য ক্ষতিকর। সঠিক ডক্টরেট চিহ্নিত করা গেলে, এটি শিক্ষার মান এবং গবেষণার স্বীকৃতি বাড়াতে সহায়ক হবে। ##একটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের ডক্টরেট গবেষণা মূলক প্রবন্ধ (Thesis) ডক্টর শব্দটি ল্যাটিন থেকে এসেছে, যার অর্থ “শিক্ষক” বা “প্রশিক্ষক”। ডক্টরেট (ল্যাটিন: ডক্টরেটাস) মধ্যযুগীয় ইউরোপে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাটিন (লাইসেন্সশিয়া ডোছেনডি) শেখানোর লাইসেন্স হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল।এর শিকড় মুলত প্রথম দিকের খ্রিস্টধর্মের ইতিহাস এ পাওয়া যায় যেখানে ডক্টর শব্দটি খ্রিস্টান পিতা এবং অন্যান্য খ্রিস্টান কর্তৃপক্ষকে উল্লেখ করা হত যারা বাইবেল শিখিয়েছিল এবং ব্যাখ্যা করেছিল।
একটি লাইসেন্সশিয়া ডোছেনডি (অর্থাৎ ডক্টরেট) প্রদানের অধিকার মূলত ক্যাথলিক চার্চের কাছে সংরক্ষিত ছিল, যার জন্য আবেদনকারীকে আনুগত্যের শপথ নেওয়ার জন্য একটি পরীক্ষায় পাস করতে হবে এবং একটি ফি দিতে হবে। ১১৭৯ এর লেটারানের তৃতীয় কাউন্সিল সমস্ত সক্ষম আবেদনকারীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছিল—সে সময়ে মূলত বিনামূল্যে আবেদনকারীদের যোগ্যতার জন্য পরীক্ষা করা হয়েছিল।এই অধিকারটি চার্চ কর্তৃপক্ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলির মধ্যে বিবাদের একটি বিষয় হিসাবে রয়ে গেছে এবং ধীরে ধীরে নিজেদেরকে চার্চ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে। ১২১৩ সালে পোপ প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়কে অধিকার প্রদান করেন, যেখানে এটি শিক্ষাদানের সর্বজনীন লাইসেন্সে পরিণত হয় (লাইসেন্সশিয়া ওবিকু ডোছেনডি)। যাইহোক, যখন লাইসেন্সটি ব্যাচেলর ডিগ্রী (ব্যাকালোরাস) এর চেয়ে উচ্চ মর্যাদা বজায় রেখেছিল, শেষ পর্যন্ত স্নাতকোত্তর ডিগ্রী (ম্যাজিস্টার) এবং ডক্টরেটের একটি মধ্যবর্তী ধাপে এটিকে নামিয়ে আনা হয়েছিল, উভয়ই এখন স্বীকৃত শিক্ষাগত যোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে। কিথ অ্যালান নোবেলের (১৯৯৪) মতে, প্রথম ডক্টরাল ডিগ্রিটি মধ্যযুগীয় প্যারিসে ১৯৫০ সালের দিকে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা প্রদান করা হয়। জর্জ মাকদিসি তত্ত্ব দেন যে প্রাথমিক ইসলামিক মাদ্রাসাগুলিতে জারি করা ইজাযা ছিল পরবর্তীতে মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে জারি করা ডক্টরেটের উত্স। আলফ্রেড গুইলাউম এবং সৈয়দ ফরিদ আল-আত্তাস একমত পোষন করে যে ইজাযা এবং লাইসেন্টিয়া ডোসেনডির মধ্যে একটি সাদৃশ্য রয়েছে। যাইহোক, টবি হাফ এবং অন্যরা মাকদিসির তত্ত্বকে প্রত্যাখ্যান করে। ডেভিন জে. স্টুয়ার্ট কর্তৃত্ব প্রদানের মধ্যে একটি পার্থক্য উল্লেখ করেছেন (ইজ্জাজার জন্য স্বতন্ত্র অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেটের ক্ষেত্রে একটি কর্পোরেট সত্তা

লেখকঃ সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট