1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

মুরাদনগরে ক্ষমতাসীনরা দখল করেছে খাল, পুড়েছে কৃষকের কপাল

বিল্লাল হোসাইন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

মুরাদনগরে ১৭১ টি খাল দখল হয়েছে , অবৈধ ড্রেজিংয়ের গত এক বছরে ১৬৪ হেক্টর কৃষিজমি  অকৃষিখাতে চলেগেছে   বছরের ১৫শ ১৮ হেক্টর কৃষি জমি জলাবদ্ধতা !

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল  নদীনালা, খালবিল ও  জলাশয়ে ছিল ভরপুর। এখানকার খালগুলো দখল করে নানা স্থাপনা নিমার্ণ করায় কৃষিতে পড়েছে এর বড় প্রভাব।  পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরিপ বলছে- “ মুরাদনগরে ছোট-বড়  মিলে ক,খ,ও গ ক্যাটাগরিতে খাল দখল হয়েছে ১৭১টি ”।  এদের মধ্যে গোমতী নদী, বুড়ি নদী, কার্জনখাল, আর্সি নদী, কালাডুম্বুর নদী, মিরের খাল, মরিচা খাল, ও অদের খাল  উল্লেখযোগ্য। বিগত সরকারের রাজনৈতিক ছত্র-ছাত্রায় প্রভাবশালীরা এই খালগুলো দখল করেন। খালগুলো অচল থাকায় জলাবদ্ধতা কারণে চলতি বছরে  মুরাদনগরে ৪ হাজার কৃষকের ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষকরা জানান, “ খালের ওপর বাঁধ দিয়ে রাস্তাঘাট , বাড়ি-ঘর ও  নানা স্থাপনা নির্মাণ করেন ক্ষমতাসীনরা । যার ফলে ধ্বংশ হতে চলছে কৃষিজমি। একটু ভারী বৃষ্টি হলেই ক্ষেতে পানি আটকে থাকে। এতে ধান, আখ, শাকসবজি ও বীজতলা পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। খালগুলো একসময় ছিলো কৃষি কাজের জন্য আর্শীবাদ। আর এখন এই খালই পুড়েছে কৃষকের কপাল ”।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, “ মুরাদনগরে এ বছর  ১৫শ ১৮ হেক্টর কৃষজমি জলাবদ্ধতার কারণে রোপা-আমন আবাদ করা সম্ভব হয়নি । অপরিকল্পিত বাড়ি-ঘর ও অবৈধ ড্রেজিংয়ের কারণে গত এক বছরে ১৬৪ হেক্টর কৃষিজমি অকৃষিখাতে চলেগেছে।  “ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্যনুযায়ী নদী দখলদারদের সর্বশেষ তালিকা বলছে, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খাল দখল হয়েছে কুমিল্লায়। সারাদেশে দখলদারদের সংখ্যা ৩৯ হাজার।  আর কুমিল্লায় পৌনে ৩ হাজার ”। বৃহৎ উপজেলা হিসেবে মুরাদনগরে এই দখলদারিত্বের সংখ্যাও সবচেয়ে বেশী। জাহাপুর ইউনিয়নের রানীমুহুরী, বল্লভদী, কাচারীকান্দি, বড়িয়াকুড়ি, নোয়াকান্দি, তিতারকান্দি ও রতননগর গ্রামের কৃষকরা জানান, শুধু জলাবদ্ধতার কারণে ৩ হাজার বিঘা কৃষিজমি ৩০ বছর পানির নিচে। এই নিয়ে কৃষকের মাঝে চলছে কষ্টের হাহাকার।

রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের মানিকদি বিলের পাশে খাল ভরাট করে প্লট বিক্রি ও  দিঘলদি বিলের খালগুলো খন্ড খন্ড বাঁধ দেওয়ার কারণে পানি নামতে পারেনা। খালগুলো দখল করায় ২’শ ৫০ বিঘা জমি বৃষ্টি হলে পানির নীচে তলিয়ে থাকে।  দিঘলদি ও মানিকদি বিলের কৃষক ফজলুর রহমান , তালেব হোসেন ও আব্দুস সাত্তার, ময়নল হোসেন, মাঞ্জু ও সামসূ মিয়া বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে ফসল করতে পারিনা।  খালগুলো দখলমুক্ত করা প্রয়োজন।  বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের ধনপতিখলার কৃষক ওমর আলী ও হারুন মিয়া জানান,  কৃষি জমির মাঝে  প্রজেক্ট  ও খাল দখলের কারণে এই বিলে প্রায় ৫০ বিঘা জমি পানিতে তলিয়ে থাকে। ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছেনা।  মহসিন ভূইয়া বলেন, কালারাইয়া থেকে মুহাম্মদপুর নতুন সড়ক করা হয়েছে কিন্তু পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে কালারাইয়া গ্রামের প্রায় ৫২ বিঘা জমি জলাবদ্ধতায় ডুবে যায়।  গত কয়েক বছর ঠিকমত ফসল করতে পারছেনা। ফলে কৃষকরা খুব কষ্টে আছে।   সরেজমিন সূত্রে জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল, আন্দিকুট, আকবপুর, নবীপুর পূর্ব,নবীপুর পশ্চিম, পূর্বধইর পূর্ব, পূর্বধৈইর পশ্চিম, টনকী, চাপিতলা , বাঙ্গরা পূর্ব, যাত্রাপুর, ছালিয়াকান্দি, ধামঘর, দারোরা ও বাবুটি পাড়া ইউনিয়নের  খালগুলো নানা কৌশলে ক্ষমতাসীন ব্যাক্তিরা দখল করে বাড়িঘর ও দোকানপাট নির্মাণ করেছেন।  এতে বৃষ্টি হলেই বিলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নষ্ট হয় কৃষকের স্বপ্নের ফসল।   মুরাদনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভল খান পাপ্পু বলেন,  “ খাল দখল করা, জমিতে  অপরিকল্পিত বাড়ি ও ড্রেজিং  নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, এভাবে চলতে থাকলে এক সময় কৃষিজমি খোঁজে পাওয়া যাবে না।  খাল ভরাটের কারণে ভারী বৃষ্টি হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আর একটি বাড়ি করার ফলে কৃষকের প্রায় ৮৫ মিটার জমি অনাবাদি হচ্ছে। এছাড়াও  ড্রেজিয়ের কারণে গত একবছরে ১৬৪ হেক্টর জমি অকৃষিখাতে চলে গেছে। কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আবাদযোগ্য জমিগুলো রক্ষা করতে হবে। এখানে কয়েকটি দপ্তর জড়িত। এবিষয়ে সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেলে সং¯িøষ্ট দপ্তরের সাথে এক হয়ে- আমরা সহযোগীতা করব ”।

এবিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খাঁন বলেন, “কোথায় কি কারনে খাল দখল হয়েছে তা আমার জানা নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট