1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

গণ আন্দোলনে প্রকাশ্য হামলাকারী যুবলীগের ক্যাডার শিবু চৌধুরী চাকরি না করেও নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের তথাকথিত সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে একটি হলো যুবলীগ নেতা শিবু চৌধুরীর কর্মকাণ্ড। শিবু, যিনি হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অন্যতম ক্যাডার হিসেবে পরিচিত, ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট দেশথেকে পালানোর পরও হাসপাতালের গণ সংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে মাসে তিরিশ হাজার টাকা বেতনসহ অন্যান্য অনৈতিক সুবিধা পাচ্ছেন। শিবু চৌধুরীর পটভূমি
শিবু প্রসাদ চৌধুরী, পিতা মানিক লাল চৌধুরী, জুলাই আগস্টের প্রকাশ্যে ছাত্র জনতার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে থানায় গণ হত্যাসহ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। তবে মজার বিষয় হলো, তিনি চাকরতে নিয়মিত হাজর না হওয়া এবং চাকরি না করেও মাসে প্রায় এক লাখ টাকা অবৈধভাবে
নিয়মিত আদায় করে আসছেন। এই অবস্থা চলছে তথাকথিত সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বদৌলতে।
হাসপাতালে শিবুর ভূমিকা
হাসপাতলের শতাধিক কর্মচারী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, শিবু দীর্ঘদিন ধরে জাহাঙ্গীর চৌধুরীর অপকর্মের হোতা হিসেবে কাজ করছেন। তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে শিবু হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে রেখেছেন এবং হাসপাতালের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, শিবু হাসপাতালের লাঠিয়াল হিসেবে কাজ করে পুরো প্রতিষ্ঠানকে জিম্মি করে রেখেছিল। হাসপাতালের কর্মচারীরা আরও জানান যে, শিবু বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং জাহাঙ্গীর চৌধুরী তাকে ব্যবহার করে হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করতেন। হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরের লোকজনকে সে চাঁদাবাজির মাধ্যমে শোষণ করত। শিবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, হাসপাতালের বহু কর্মচারী তার দাপটে আতঙ্কিত।
শিবুর নিয়োগ ও অযোগ্যতা
শিবুর কাছে কোনো ধরনের গণ সংযোগের অভিজ্ঞতা নেই, তবুও তাকে হাসপাতালের গণ সংযোগ কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১৯৯৮ সালের ২০ শে আগস্ট এনায়েত বাজার ডায়াবেটিক সমিতির অফিসে শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য পিয়ন পদে অস্থায়ী নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর আশীর্বাদে হাসপাতালের গণ সংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এদিকে, হাসপাতালের গণ সংযোগ কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য উচ্চশিক্ষা এবং দক্ষতা প্রয়োজন। অথচ একজন সাধারণ পিয়ন হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং হাসপাতালের চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী হিসেবে চিহ্নিত শিবুকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়ার কারণ রহস্যজনক। হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ নিয়ম অনুযায়ী, এমন দায়িত্ব পালন করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণসংযোগ বিষয়ে উচ্চ ডিগ্রি নিতে হবে, কিন্তু শিবু এই শর্ত পূরণ করেননি। আগের অভিযোগ ও প্রতিকার
হাসপাতালের প্রশাসন পূর্বে শিবুর বিরুদ্ধে ২০০৩ ও ২০০৫ সালে গরহাজিরার জন্য লিখিতভাবে কৈফিয়ত তলব করেছিল। কিন্তু শিবু জাহাঙ্গীর চৌধুরীর মন জয় করে হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যে এমনভাবে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন যে, কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়নি। শিবুর দুর্নীতির তদন্তে উঠে আসে ডায়াবেটিক হাসপাতালে অবৈধ অর্থ আত্মসাৎ ও প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগ শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতালের গণ সংযোগ কর্মকর্তা শিবুর বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রশাসনিক দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিবু পুরো দিনটি নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকেন, অথচ হাসপাতালের কার্যক্রমে তার কোন নজর থাকে না। শিবুর টাকার প্রয়োজন হলে হাসপাতালের একাউন্ট অফিসার বেলাল সাহেবের কাছে গিয়ে টাকা দাবি করেন।
একাউন্ট অফিসার বেলাল জানিয়েছেন, “আমার কিছু করার নেই। সভাপতির অঘোষিত নির্দেশ ছিল যে শিবু যখন যেটা চাইবে, তা যেন পূরণ করি।” ফলে, শিবুর অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে কোন আপত্তি বা নিয়ন্ত্রণ ছিল না। জানা যায়, শিবু একদিকে বাবরের আস্থাভাজন, অন্যদিকে জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিশ্বস্ত সহচর। এর ফলে, টাকা নিতে শিবুর কোনো সমস্যা হয়নি।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোন অনুমোদন নেই এবং ২০১৮ সালে হাসপাতালের অনুমোদন শেষ হয়ে গেছে। এরপরেও, শিবু প্রতিবার অনুমোদনের বিভিন্ন লাইসেন্স নবায়নের জন্য টাকা আদায়ন করে চলেছেন। হাসপাতাল না আসার পরও তার হাজিরা খাতা সম্পূর্ণ অদৃশ্যভাবে পূর্ণ হয়ে যেত। অথচ আগস্ট মাস থেকে হাজিরা খাতায় লিপিবদ্ধ না থাকা সত্ত্বেও রহস্য জনকভাবে শিবুর একাউন্টে নিয়মিত বেতন জমা হয়েছে।
শিবু বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে হাসপাতাল থেকে টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন, এবং গুরুতর অভিযোগ উঠেছে যে তিনি ছাত্র জনতার রাজপথের আন্দোলন প্রতিহত করতে জাহাঙ্গীর চৌধুরীর শিবুর মাধ্যমে প্রচুর টাকা খরচ করেছেন। জাহাঙ্গীর চৌধুরী, যিনি মূলত আ জ ম নাছিরের মনোনীত, তার প্রভাব বিস্তারের জন্য শিবুর মাধ্যমে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের মন জয় করার চেষ্টা করেছেন।
এছাড়া, শিবুর মতো আরেক কর্মচারী মোজাম্মেলও একই ধরনের অভিযোগের শিকার। মোজাম্মেল জাহাঙ্গীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলে জানা গেছে, এবং তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতিবাদের মুখে জাহাঙ্গীর চৌধুরী এবং তার তথাকথিত কমিটির সদস্যরা বর্তমানে পালিয়ে রয়েছেন। এই পরিস্থিতি সমাধানের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম সরকারিভাবে পাঁচ সদস্যের একটি শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটির কাছে শিবু ও মোজাম্মেলের বেতন বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। প্রশাসনিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় হাসপাতালের কর্মচারী ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য সকলেই অপেক্ষা করছেন।এই পরিস্থিতিতে, গণসংযোগ পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা নিশ্চিত করা উচিত এবং হাসপাতালের সামগ্রিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম দাবি ও প্রত্যাশা এ বিষয়ে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের তথাকথিত সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী এবং শিবু প্রসাদ চৌধুরীকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। তারা আশা করেন, এই ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং হাসপাতালের কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত হবে। জনস্বার্থে এসব অভিযোগের গভীর তদন্ত প্রয়োজন, যাতে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ঘটনাগুলো চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের নামকে কলঙ্কিত করছে, এবং এই অনিয়ম বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান জীবন সদস্য ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট