1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ঐক্য উৎসব পারকি সৈকতে গড়লো অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার বিচার দাবিতে আনোয়ারায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ! “বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর

ফিরে দেখা ইতিহাস: ড. মুহাম্মদ ইউনুসের দৃষ্টিভঙ্গি ও এম এ হাসেম রাজুর সাহচর্যে আমার রাজনৈতিক যাত্রা

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে

আমার লেখালেখি ও সাহিত্য গবেষণা—

এসব কিছুই আল্লাহর প্রদত্ত এক বিশেষ দান। তবুও এর জন্য আমাকে পার করতে হয়েছে পাঠশালার কঠোর শিক্ষা। দারিদ্র্য বিমোচন এবং বেকারত্ব দূরীকরণের প্রতি আমার যে উৎসাহ, তা পেয়েছি ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য নিরসনের কর্মসূচির সফলতা দেখে। তার অগ্রযাত্রা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। রাজপথে আন্দোলন এবং প্রতিবাদী ভাষার শক্তি আমি শিখেছি এম এ হাসেম রাজুর কাছ থেকে। তিনি আমাকে শিখিয়েছেন কীভাবে ন্যায়ের জন্য কথা বলতে হয়। রাজনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উপর আমার গভীর পড়াশোনা ছিল বিশ্বের বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও দার্শনিকদের লেখা থেকে। তাদের জ্ঞান আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। চট্টগ্রামের প্রতি আমার ভালোবাসা, অবহেলার প্রতিবাদ, এবং উন্নয়নের দায়বদ্ধতা আমি শিখেছি এস এম জামাল উদ্দিন ও মনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে। তাঁদের কাছ থেকে আমি শুধু শহরের প্রতি দায়িত্ববোধই শিখিনি, বরং কিভাবে সেটা প্রকাশ করতে হয়, সেটাও আয়ত্ত করেছি।

আজ, সময় এসেছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের। তাই স্মৃতিময় সেই মুহূর্তগুলোর কথা ধরে কলম হাতে নিলাম—লিখতে বসলাম তাদের কথা, যারা আমার জীবনের প্রতিটি ধাপে সাহচর্য দিয়েছেন। এটি শুধু আমার জীবনের কাহিনি নয়, বরং তাদের প্রতি শ্রদ্ধার নিবেদন, যাদের থেকে আমি পেয়েছি প্রেরণা, শিক্ষা, এবং অবিরাম সঞ্চরণশক্তি। স্মৃতির মানসপটে যখন ফিরে দেখি সেই উত্তাল দিনগুলো, তখন মনে হয় সময় যেন থমকে দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের চারপাশের এই স্বার্থপরতার যুগে, অনেকেই হয়তো ভুলে গেছেন সেই অতীতের সংগ্রামী দিনগুলোকে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, অতীত আমাদের শেকড়, আমাদের অস্তিত্বের ভিত্তি। আজ আমি লিখছি আমার রাজনৈতিক জীবন ও সেই সময়ের চট্টগ্রামের উত্তাল আন্দোলনের কথা, যেখানে আমার পথপ্রদর্শক ছিলেন এম এ হাসেম রাজু।

আমার রাজনৈতিক সাংগঠনিক গুরু:

এম এ হাসেম রাজুর কথা লিখতেছি,তাতে আমি জানি না আমার কথা কতজন বিশ্বাস করবেন, তবে সত্য কথাটি বলব। এম এ হাসেম রাজু ছিলেন আমার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক গুরু, যিনি আমাকে হাতে-কলমে শিখিয়েছেন কিভাবে রাজনীতি করতে হয়, কিভাবে সংগঠন গড়তে হয়। তাঁর কাছে আমি শিখেছি কিভাবে একজন রাজপথের সাধারণ কর্মী থেকে দক্ষ সংগঠক হয়ে উঠতে হয়। তাঁর সেই শিক্ষা আজ আমার জীবনের মূল্যবান সম্পদ। চট্টগ্রামের রাজপথ ও আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলি আশির দশকের শেষ ভাগ। সারা দেশে স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে, আর চট্টগ্রাম ছিল সেই আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পাঁচজন ছাত্র নেতার মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতা মনোয়ার হোসেন ছিলো অন্যতম, তারা ছিলো,পাঁচ খলিফা, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে রাজপথে ছিলেন  জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের অন্যতম নেতা এম এ হাসেম রাজু এবং রাজুর সাথে আমরা । একদিকে মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ছাত্র ইউনিয়নচলছে। অন্যদিকে হাসেম রাজুর নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল নিয়ে রাজপথে  অবস্থানে, উভয়েই ছিলেন অকুতোভয়। রাজু ভাই ছিলেন একজন অগ্নিঝরা বক্তা; তাঁর বক্তৃতা শুনে হাজারো তরুণ উদ্বুদ্ধ হতো। আমি তাঁর পাশে থেকে শিখেছি কীভাবে একজন নেতা হয়ে ওঠা যায়। রাজু ভাইয়ের সাথে আমার রাজনৈতিক সম্পর্কের শুরু সেই আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলো থেকেই। রাজপথে হাঁটতে হাঁটতে তিনি আমাকে বলতেন, “প্রতিদিন যদি একজনের সামনেও তুমি বক্তব্য দাও, একদিন হাজারো মানুষের সামনে বক্তব্য দেওয়ার সাহস পাবে।” তাঁর সেই কথা আমার জীবনের পাথেয় হয়ে আছে।বিএনপি বিভাজন ও আমাদের পথচলা ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের আগের থেকে বিএনপির মধ্যে বিভাজন দেখা দিলো -একদিকে বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি, অন্যদিকে কে এম ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে নতুন ধারা। আমরা তখন ওবায়দুর রহমানের গ্রুপে অবস্থান নিই। এম এ হাসেম রাজু ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে অংশের নগর ছাত্র দলের সভাপতি ছিলেন, পরে  কেন্দ্রীয় কমিটির দিকে ধাবিত হলেন। আমাকে করলেন বাংলাদেশ ছাত্র দলের নগরের সাধারণত সম্পাদক তখন সভাপতি এস এম ফরিদ, আমরা রাজুর পরে চট্টগ্রাম মহানগরের ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে অংশে ছাত্র দলের ছিলাম, তবে পরে জনতা দল করলে আমরা তখন একেবারে একক ভাবে বাংলাদেশ ছাত্র দলের নগরের দায়িত্ব পালন করেছি, রাজু ভাই আমাকে ঢাকায় নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন আমি তার সাথে ঢাকা মুখি রাজনীতি করি, আমি তখন  চট্টগ্রামের ছাত্র রাজনীতির সাথে পুরোপুরি যুক্ত হয়ে কাজ করছি এবং বাংলাদেশ বেকার পুনর্বাসন সংগ্রাম কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ছাত্র সংগ্রাম কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।

                                 ঢাকা যাওয়ার প্রস্তাব না কুজ করার কারণ ছিলো চট্টগ্রামের প্রতি আমার দুর্বলতা

 জীবনপথে সাহসী পথচলা: এম এ হাসেম রাজু, ড. মুহাম্মদ ইউনুস, ও আমার রাজনৈতিক শিক্ষা

 

সময়টা ছিল উত্তাল। রাজনীতির মাঠে কাজ করার মাধ্যমে যেমন আমি দেশের ভেতরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ পেয়েছি, তেমনই দেশের বাইরেও অনেক গুণী মানুষের সান্নিধ্যে যেতে পেরেছি। তবে এক কথায় বলতে গেলে, আমার এই পথচলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এম এ হাসেম রাজু ভাই। তাঁর জন্যই আমি বিভিন্ন সময়ে ঢাকা ও দেশের বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের সামনে বক্তব্য রাখার সাহস পেয়েছি। বিশেষ করে একেএম ওবায়দুর রহমানের সামনে যখন আমি বক্তব্য রাখার সুযোগ পাই, তখন অনেক বড় নেতারাও সে সাহস দেখাতে পারেননি। রাজু ভাইয়ের সাহসী নেতৃত্ব আর পরামর্শেই আমি নিজেকে সেই জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। ফুটপাতে বসে বেকার আন্দোলন: রাজু ভাইয়ের অনুপ্রেরণা ১৯৯৩ সালের কথা। আমরা তখন বেকার সমস্যা নিয়ে লড়ছি। এম এ হাসেম রাজু ভাই আমাদের সঙ্গে ফুটপাতে বসে আন্দোলনের পরিকল্পনা করতেন। তিনি কখনোই আমাদের হতাশ হতে দেননি, বরং প্রতিটি পদক্ষেপে সাহস যোগাতেন। সেই সময় রাজু ভাই শুধু একজন নেতা নন, একজন সহযোদ্ধা ছিলেন, যিনি আমাদের প্রতিটি কাজে পাশে ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, সত্যিকার নেতার কাজ হলো কর্মীদের মাঝে সাহস জাগানো এবং তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা।

ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক: বেকার সমস্যার সমাধানের নতুন দিকনির্দেশনা

১৯৯৩ সালে, আমি তখন বাংলাদেশ বেকার পুনর্বাসন সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি। হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার যুবক তখন চাকরির আন্দোলন করছিলেন। সেই সময় ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক হয়, যেখানে তিনি আমাদেরকে এক নতুন ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছিলেন। তাঁর পরামর্শ ছিল, “সরকারি চাকরির পেছনে দৌড়ানোর চেয়ে নিজেদেরকে যোগ্য করে তোল, নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি কর, আর তাতেই বেকারত্ব দূর হবে।” তখন তিনি নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ছিলেন না, কিন্তু তাঁর এই কথা আমার মনকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছিল। তিনি বলেন, “বেকারত্ব কোন সমস্যা নয়, যদি তুমি উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করো এবং নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করো, তাহলে চাকরি এমনি চলে আসবে।” তার এই বক্তব্যে আমি নতুনভাবে চিন্তা করতে শুরু করি। হোম সার্ভিস ব্যবসা: ড. ইউনুসের অনুপ্রেরণায় উদ্যোগী হওয়া ড. ইউনুসের এই পরামর্শ আমাকে অনুপ্রাণিত করে ২০০০ সালে ‘গোল্ডেন হোম সার্ভিস’ নামে একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে। আমি প্রথম বাংলাদেশে অনলাইন হোম সার্ভিস ব্যবসা শুরু করেছিলাম এবং শত শত বেকার যুবক-যুবতীকে চাকরির সুযোগ দিয়েছিলাম। তখন থেকেই আমি বুঝতে পারলাম, সত্যিকার কর্মসংস্থান মানেই নিজে কিছু সৃষ্টি করা এবং অন্যদেরও সেই সুযোগ দেওয়া।

রাজু ভাইয়ের সাহসী নেতৃত্ব ড. কামাল হোসেনের প্রশংসা

আমি সবসময় সাহসী নেতৃত্বের আদর্শ নিয়ে এগিয়েছি, যা শিখেছি এম এ হাসেম রাজু ভাইয়ের কাছ থেকে। এমনকি একবার, ড. কামাল হোসেন আমার একটি সাহসী বক্তব্য শুনে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “তুমি এত সাহসের সাথে কথা বলার অনুপ্রেরণা কোথায় পেয়েছ?” আমি তখন উত্তরে বলেছিলাম, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী হলেও, আমার রাজনৈতিক শিক্ষার গুরু ছিলেন এম এ হাসেম রাজু। তাঁর কাছ থেকেই আমি সাহসী নেতৃত্বের পাঠ নিয়েছি, আর আইনগত দিক থেকে শিখেছি আপনার কাছ থেকে।”

                     চট্টগ্রামের আপোষহীন সংগ্রাম: এস এম জামাল উদ্দিন ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের প্রভাব

চট্টগ্রাম নিয়ে আমার আবেগ বরাবরই গভীর। আমি কখনোই চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও অধিকার নিয়ে আপোষ করিনি। এর পিছনে এস এম জামাল উদ্দিন এবং ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের অসামান্য অবদান রয়েছে। তারা দুজনই চট্টগ্রামের অবহেলার বিরুদ্ধে আপোষহীন ছিলেন এবং তাদের কাছ থেকেই আমি চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করতে শিখেছি। আমি তাদের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিয়েছি এবং তাদের দেখানো পথে আজও আমি এই মহানগরের জন্য লড়াই করে যাচ্ছি।

                                            এম হাসেম রাজুর রাজনৈতিক সম্পর্ক আমার ব্যক্তিগত অবস্থান

এম এ হাসেম রাজুর সম্পর্ক ছিল তারেক জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে, যা তাঁকে জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাবশালী করে তুলেছিল। তিনি চাইলে অনেক বড় কিছু করতে পারতেন, কিন্তু সবসময় নম্রতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তবে শেখ হাসিনার রাজনীতির সাথে আমার মতপার্থক্য রয়েছে। শেখ হাসিনার রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এক নয়—এবং আমি কখনোই তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকদের প্রতি নমনীয় ছিলাম না। বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সংক্ষিপ্ত অধ্যায় দীর্ঘ ৩০ বছর আমি জাতীয় রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের অনুরোধে তিন মাসের জন্য চট্টগ্রামে তাদের সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানেও দলীয় গ্রুপিং আর স্বার্থপরতার প্রভাব লক্ষ করেছিলাম। শেখ হাসিনার বর্তমান রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি একমত নই। তাঁর রাজনীতি এখন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে, যা আমাকে হতাশ করে।

                                                                                 শেষ কথা

আজকের এই লেখার মাধ্যমে আমি আমার রাজনৈতিক জীবন এবং এম এ হাসেম রাজু ভাই, ড. মুহাম্মদ ইউনুস, ড. কামাল হোসেনের মতো মহান নেতাদের থেকে পাওয়া শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা তুলে ধরলাম। রাজু ভাইয়ের মতো সাহসী নেতারা আমাদের সমাজে এখন বিরল। তাঁদের আদর্শ নিয়ে আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন এই সংগ্রাম চালিয়ে যাব। রাজু ভাই তখন ঢাকায় অবস্থান করছিলেন এবং আমাকে ঢাকায় সেটেল হওয়ার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে আমি ঢাকায় যাইনি। চট্টগ্রামের প্রতি আমার একটি আলাদা দুর্বলতা ছিল, যা এখনো আছে। যদি তখন ঢাকায় চলে যেতাম, হয়তো আজ কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে আরও পরিচিত হতে পারতাম। পাশাপাশি সাংবাদিকতা ও লেখালেখিতেও জাতীয় ভাবে সফলতা আসতো। কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষের জন্য কাজ করাটাই আমার কাছে সবসময় বেশি প্রিয় ছিল। চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন ও আমার গুরু এস এম জামাল উদ্দিন এবং ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন চট্টগ্রামের উন্নয়ন আন্দোলনের ইতিহাসে এস এম জামাল উদ্দিন এবং ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন ছিলেন দুইজন অপরিসীম অবদান রাখা নেতা। তাদের সাথে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন গণ সংগ্রাম কমিটির ২১ দফা দাবীতে আমরা রাজপথ কাঁপিয়েছি। এই আন্দোলনে তাদের সাহসী নেতৃত্ব এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে চট্টগ্রামের জন্য অনেক কিছু করা সম্ভব হয়েছে। তাদের সাথে থেকে আমি শিখেছি কীভাবে বৃহত্তর জনসাধারণের জন্য কাজ করতে হয়।

এম এ হাসেম রাজুর সাহসী নেতৃত্ব ও মানবাধিকার আন্দোলন এম এ হাসেম রাজু সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। কর্নেল অলি আহমদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি যেমন সোচ্চার ছিলেন, তেমনই রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধেও সাহসের সাথে অবস্থান নিয়েছেন। তারেক জিয়ার সাথে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ ছিল এবং তাঁকে তারেক খুব পছন্দ করতেন। আজ তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তাঁর সেই মানবতাবাদী নেতৃত্ব এখনো স্মরণীয়। আমার জীবনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা: রাজু ভাইয়ের ভূমিকা আমার ব্যক্তিগত জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায়, আমার বিয়েতে, রাজু ভাইয়ের বিশেষ ভূমিকা ছিল। আজকের এই লেখার মাধ্যমে তাঁকে জানাই অন্তরের গভীর থেকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

শেষ কথা-আজকের রাজনীতির মাঠে নেতা তৈরি করার মতো নেতার বড় অভাব। এম এ হাসেম রাজুর মতো নেতারা ছিলেন, যাঁরা  কর্মীদের নেতা বানাতে জানতেন। এমন গুণী মানুষদের কাছ থেকে শিখেছি বলেই আজও আমি রাজনীতির মাঠে টিকে আছি। আমাদের এই প্রজন্মকে তাঁর মতো নেতাদের কাছ থেকে শিখতে হবে—শৃঙ্খলা, সাহস, এবং সঠিক নেতৃত্বের শিক্ষা। রাজু ভাইয়ের কথা, স্মৃতি, এবং তাঁর সাথে আমার এই পথচলা—সবকিছুই আমার জীবনের অমূল্য অভিজ্ঞতা।

আমার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের এই অধ্যায়গুলো লিখতে গিয়ে আমি ফিরে গেলাম সেই দিনের উত্তাল সময়ে। রাজু ভাই, আপনি রাজপথে ছিলেন এখনো আছেন,  আপনার শিক্ষা, আদর্শ এবং অনুপ্রেরণা আমার সাথে থাকবে চিরকাল।

লেখক সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক ও মহাসচিব চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট