বগুড়ার শেরপুরে অনিয়ম ও দুর্নীতি ঢাকতে গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন শেরপুর উপজেলার শুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারাজানা ইসলাম। বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের আটকে রেখে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়,শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন প্রধান শিক্ষকের নিকটতম দুই জন আত্মীয় সহ চারজনকে নিয়োগ প্রদান করা হয় এবং স্কুল প্রাঙ্গণে থাকা আনুমানিক প্রায় ৫ লক্ষ টাকার গাছ নিলাম ছাড়ায় বিক্রয় করা হয়েছে ।
বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারজানা ইসলাম। এমন তথ্যর ভিত্তিতে গণমাধ্যম কর্মীরা গত ২ সেপ্টেম্বর তথ্য নিতে গেলে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে অসৎ আচরণ এবং অফিস কক্ষে আটকে রেখে আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনী দিয়ে প্রায় তিন ঘন্টা যাবত অত্যাচার করে ওই প্রধান শিক্ষক সহ অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি । পরে খবর পেয়ে শেরপুর উপজেলার স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে গিয়ে তাদেরকে সাংবাদিক হিসাবে সনাক্ত করে।
শেরপুর উপজেলা গণমাধ্যম কর্মীদের তারা নির্যাতন করেন।পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে সংবাদ কর্মীদের উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে যান। পরে আওয়ামী লীগ নেতার ও বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতির ইন্ধনে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে প্রধান শিক্ষক ফারজানা ইসলাম।
জানাজায় শুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ হাবিবুর রহমানের ছোট ভাইয়ের বউ এই দাপটে এ যাবৎ বিভিন্ন রকম অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছে।
প্রধান শিক্ষকের দাপটে বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক ও এলাকাবাসী মুখ খুলতে পারেন নাই । সাবেক এমপি হাবিবুর রহমানের ছোট ভাইয়ের বউ হওয়ার সুবাদেই তিনি শুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই অনিয়ম দুর্নীতি একের পর এক করে গেছেন। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদের উপর হামলা এবং দেখানো হয়েছে মামলার ভয়। মামলার ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না।
অন্য দিকে একইস্থানে রয়েছে শুবলী কমিউনিটি ক্লিনিকের (কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার) সিএইচসিপি মো: মাসুদ রানা ও স্বাস্থ্য সহকারী জাহানারা এর বিরুদ্ধে রয়েছে অনেকদিন হলো অফিসে না আসা ও সময়মতো অফিস না করা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ বিক্রির অভিযোগ, সরজমিনে গত ১ সেপ্টেম্বর বেলা ১১:৩০ টার সময় গিয়ে দেখা যায়, শুবলী কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। পরে এলাকাবাসী জানায় তারা টিকমত অফিস না করেই তুলছেন সরকারী বেতন ভাতা।
সরকারী নিয়মে অফিস সকাল ৯ টা থেকে ৩ পযন্ত অফিস করার কথা থাকলেও কিন্তু তারা তা না করে ১১ টায় অফিসে এসে ১ টায় অফিস বন্ধ করে চলে যায়। এতে উক্ত কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা রোগীরা সেবা বা ঔষুধ না নিয়েই ফিরে যায়। এতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামের গরীব অসহায় মানুষ।
শুবলী এলাকার হামিদ আলীর ছেলে আছের সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন জোরপূর্বক আমার বাবার ২৯ শতাংশ জায়গা স্কুলের নামে দখল করে নেয়। পরবর্তীতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সালিশি বৈঠক করলে উক্ত বিদ্যালয়ে আমার পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আমার পরিবারের কাউকে চাকরি না দিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকটতম ২ জন সহ চারজন ব্যক্তির কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আমার বাবার ২৯ শতক জমি জোর করে নেওয়ার পরেও আমাকে দাতা সদস্য করা হয় নাই । উক্ত বিদ্যালয় এর শ্রেণিকক্ষের পিছনে ও সামনে বিভিন্ন প্রজাতির মোটা মোটা গাছ ছিল কোনরকম নিলাম ছাড়াই আওয়ামী সরকারের ক্ষমতার দাপটে প্রধান শিক্ষক সাবেক সভাপতি গাছগুলো বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছে ।
প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন রকম অপকর্ম ও দুর্নীতি অনিয়ম আড়াল করার জন্যই এই মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শেরপুরসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাংবাদিক বিন্দু।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জানান শুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মের আমি কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।