1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
নিরাপদ সড়ক চাই সফল সামাজিক সংগঠন তারেক রহমান ফিরতে চাইলে একদিনেই ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব ঘোড়াঘাটে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক সীমিত গঠন ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে ১১মাস ধরে ঘরবন্দী এক পরিবার লামায় ট্রাক্টর মোটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৪ চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক ব্লকেড, ৬ লেনে উন্নীতকরণের দাবি রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও  আলোচনা সভা  গৌরনদীতে বিএনপি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড গাইবান্ধা, ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা হত্যার হুমকি থানায় অভিযোগ  ৩২ তম বাৎসরিক ওরশ মোবারক ও গুনীসম্মাননা ২০২৫

নুরু হত্যার দায় এড়াতে পারেন না ওসি কেফায়েত

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

চট্টগ্রামের রাউজানে ২০১৭ সালে ওসি কেফায়েতের নেতৃত্বাধীন পুলিশ বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুর নির্মম হত্যা সংঘটিত হয়। নুরুর স্ত্রী সুমি আকতার গত ১ সেপ্টেম্বর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন (মামলা নং ১, তাং ১/৯/২০২৪, ধারা ৩০২/৩৬৪/৩৪ দণ্ডবিধি)। মামলায় উল্লেখ করা হয়,
এম পি ফজলুল করিমেসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়, পরিচয় অজ্ঞাত রয়েছে আরো ৩০/৪০জন- আসামির তালিকা
এই মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন ফজলুল করিম, এসআই শেখ জাবেদ, বাবুল মেম্বার, নাসের ওরফে টাইগার নাসের, মো. লিটন, তৈয়ব, ফরিদ, মামুন, আবু জাফর রাশেদ, ইয়ার মোহাম্মদ ওরফে বাছইন্যা, সেকান্দর, জসিম, খালেক, বাবুল, মো. রব্বানী, হাসান মোহাম্মদ নাসির, মো. মোরশেদ এবং এসআই শেখ জাভেদ ওসি কেফায়েতের নির্দেশে নুরুকে গ্রেপ্তারের পর রাতভর নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে। এরপর নুরুর লাশ কর্ণফুলী নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
মামলায় বলা হয়, ২৯ মার্চ রাত ১১:৪৫ মিনিটে চন্দনপুরার মিন্নি মহল থেকে সাদা রঙের মাইক্রোবাস (নং চট্টমেট্রো ১১-৩১৭৭ ও ১১-২৪৩৩) ব্যবহার করে নুরুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সন্ত্রাসী খলনায়ক ফজলুল করিমের পরিকল্পনায় নুরুকে রাউজান কলেজ মাঠে নিয়ে গিয়ে সারারাত অমানবিক নির্যাতনের পর মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় যে, নুরু হত্যার পুরো প্রক্রিয়া এসআই জাভেদ টাইম টু টাইম ওসি কেফায়েতকে অবহিত করেছিল।
এখানে অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি থানার এসআই কোনো ভাবেই ওসির নির্দেশ ছাড়া গ্রেপ্তার বা হত্যার মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারে না। শহর থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় না এনে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় হত্যা করা কোনোভাবেই ওসির নির্দেশ ছাড়া সম্ভব নয়। তাই নুরু হত্যার মামলায় ওসি কেফায়েতের নাম বাদ যাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক হলেও তিনি কোনোভাবেই এই হত্যার দায় এড়াতে পারেন না। ওসি কেফায়েত বর্তমানে পাহাড়তলী থানায় দায়িত্বরত আছেন। তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। জানা যায়, তার বাড়ি নোয়াখালীতে, এবং তিনি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, যার কারণে তিনি পুলিশের চাকরির সময় আইনকে তোয়াক্কা করতেন না। নুরু হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ওসি কেফায়েতসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিচারের আওতায় আনার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
তবে এই মামলায় মূল আসামি ওসিসহ অনেকে বাদ পড়লেও কিন্তু রাজনৈতিক কারণে কয়েকজন নিরীহ মানুষকে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আসামি করা হয়েছে, যাবতে ভবিষ্যতে এই মামলা বিচারের প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে বলে বিজ্ঞাজনেরা মনে করেন।
(বিস্তারিত আরো প্রকাশিত হবে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট