শেখ সমশের আলী, পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।। পীরগঞ্জ উপজেলায় ৩৭০ ভূমিহীন ও অসহায় পরিবার আশ্রয়নে থাকার ঘর পায়নি। এসব ভূমিহীনরা মানুষের বাড়িতে, রেল স্টেশনে, হোটেল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় ভাসমান ভাবে জীবন যাপন করছে। আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ম ধাপ থেকে ৪র্থ ধাপ পর্যন্ত পীরগঞ্জ পৌর এলাকা সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ২ সহ¯্রাধিক রঙিন পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়। যেসব ব্যক্তিদের নামে এসব ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৬ শতাধিক ব্যক্তির নিজস্ব জমি ও পাকা বাড়ি থাকা সত্তে¡ও তারা আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের রঙিন পাকা বাড়ি পেয়েছেন। প্রশাসন, জন প্রতিনিধি, দলীয় নেতাকর্মী ও প্রভাবশালীদের সুপারিশের মাধ্যমে অযোগ্য ব্যক্তিরা পাকা বাড়ি বরাদ্দ পাওয়ায় প্রকৃত ভূমিহীনরা আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ঘরে ঠাই পায়নি। যেসব ব্যক্তিরা ঘর পেয়েছে তাদের আবেদন ফরমে ওইসব ব্যক্তিদের সুপারিশ, নাম, পদবী ও সীল রয়েছে। ওই সব সুপারিশ দেখে দেখে উপজেলা প্রশাসন ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন। ঘর পাওয়া ব্যক্তিদের আবেদন ফরম গুলো দেখলে ঘর বরাদ্দের অনিয়ম ও দূর্নীতির শতভাগ সত্যতা পাওয়া যাবে। অনেকেই মনে করেন এ উপজেলায় এখনো ৪ শতাধিক ভূমিহীন রয়েছে। অথচ এ উপজেলায় ভূমিহীন রেখেই ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। ফলে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ নতুন ঘর নির্মাণের বরাদ্দ দিতে হিমসিম খাচ্ছে। এসব ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্যে নতুন ঘর নির্মাণের বরাদ্দ দেওয়া না হলে, সরকারের এ মহৎ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে বলে সুশীল সমাজ মনে করেন। শনিবার পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করে জানা যায়, পৌর এলাকার মিত্রবাটী মহল্লার মানাহার পুকুরপাড় মকসেদ আলী, গুয়াগাঁও গ্রামের উজ্জল, রঘুনাথপুর ও পূর্ব চৌরাস্তার কর্মরত হোটেল শ্রমিক রোকসানা বেগম, মছলন্দপুর হটাৎপাড়া এলাকার মানিক হোসেন, শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় বাংলাদেশ হোটেল কর্মীচারী নিহার আক্তার, বটতলা রেলগেট উত্তর পাশের্^ আল-আমিন হোটেল কর্মচারী মুসাল্লিন, মিত্রবাটী এলাকার মৌসমী আক্তার, জগথা স্টেশন পাড়া এলাকার জমিলা খাতুন একই এলাকার জাহানারা বেগম, মিত্রবাটী এলাকার জমসেদ আলী সহ প্রায় ৩৭০ জন প্রকৃত ভূমিহীন এখনো আশ্রয়ন-২ প্রকল্পে ঘর পায়নি। ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম জানান এসব ঘর আগের ইউএনও’দের সময়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অনিয়ম থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন করে বরাদ্দ পেলে ঘর নির্মাণ করে প্রকৃত অবশিষ্ট ভূমিহীনদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টি এলাকার সুশীল সমাজ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।