চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডের আজমত খা গিনি মালাদারের বাড়িতে খোকনের স্বাভাবিক মৃত্যু “হত্যা” হিসেবে চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নির্দোষ সাহেদ সহ আট জন এবং ছয় মাসের এক বাচ্চাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
গত ৩ এপ্রিল ২০২৫ খোকন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। যাহা সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রতিবেদনে ও হৃদরোগ জনিত কারনেই মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে অজ্ঞাত কারণে ঘটনাটিকে হত্যা বলে চালিয়ে সন্দীপ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সন্দ্বীপ থানার মামলা নং -০১(০৪)২৫,জি আর মামলা নং -৩৫/২৫।
সরজমিনে ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ্য যে ভিকটিমের মৃতদেহ দৃশ্যমান কোন আঘাতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় নাই। এতে প্রমাণ করে যে সংবাদদাতার এজাহার সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ভিকটিমকে কেউ আঘাত করে নাই বা আঘাত জনিত কারণে ভিকটিমের মৃত্যু হয় নাই। সূত্রে জানা যায় প্রকৃতপক্ষে ভিকটিম একজন হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী। তাহার শরীরের বিভিন্ন অংশে তিনটি রিং বা রক্ত চলাচল নল স্থাপিত অবস্থায় ছিল এবং তাহার বিভিন্ন অংশে ব্লগ থাকায় ডাক্তার তাহাকে সন্দ্বীপের মেটো পথে রিক্সা চলাচলে বারন সহ অনেক গুলো নিয়ম কানুন মেনে চলার নির্দেশ দিলেও ভিকটিম ঘটনার দিন তাহার সন্দীপ পৌরসভার বসবাস বাড়ি থেকে রিক্সাযোগে ঘটনার স্থানে এসে রিক্সা থেকে নেমে শরীর খারাপ অনুভব করিতেছে বলিয়া হঠাৎ মাটিতে লুটাইয়া পরে তৎপর সন্দীপ উপজেলা হাসপাতালে নেওয়ার হতে ভিকটিম মৃত্যুবরণ করে। এতে প্রমাণ করে যে ভিকটিমের মৃত্যুটি স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল। সাংবাদিক সাহেব ও অন্যান্যদের সাথে ভিকটিমের শহীদ তাহাদের কোন বিরোধ ও ছিল না। বরং একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাহাদের কে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও এই মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।
সাংবাদিক শাহেদের পরিবার দাবি করেছে, শাহেদসহ সকল আসামি নির্দোষ। নির্দোষ শাহেদ কে ফাঁসিয়ে পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে।এ ঘটনায় তারা ন্যায় বিচার ও সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে সন্দীপ উপজেলার সে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন সম্পূর্ণ রুপে মিথ্যা সাহেদ সহ সকল আসামী ষড়যন্ত্রের শিকার।