উত্তর আধুনিক কবি মহিবুর রহিম স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাউতলী তে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
বিজয় সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে বাংলা সাহিত্যের উত্তর আধুনিক কবি মহিবুর স্মরণে , বিজয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ম্যাগাজিনের সিরাতের ম্যাগাজিন এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। কাউতলী উইজডম স্কুল এন্ড কলেজে মিলনায়তনে ২৬ জুলাই রোজ শনিবার বিকালে ৫ টায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উক্ত দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মুফতি মোহাম্মদ ইসমাইল ভূইয়া। সভাপতি বিজয় সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ।
সঞ্চালনা করেন। গোলাম হাক্কানী খন্ধকার সম্পাদক বিজয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ম্যাগাজিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ ড. শাহআলম।আলোচকবৃন্দ ডা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান, অধ্যক্ষ আব্দুল মোমিন, অধ্যক্ষ আব্দুল মোনায়েম, আজম মাহম্মুদ মোল্লা, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, মাওলানা মিজানুর রহমান, কবে সাদমান সাদিক, কাজী আব্দুল বাশার খাদেম, কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, সংগীত পরিবেশন করেন আনাস আব্দুল্লাহ,
কবি পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিল। উক্ত আলোচনা সভায় কবি মহিবুর রহমান স্মরণে স্মৃতি চারনে উপস্থিত অতিথি বৃন্দ বলেন কবি মহিবুর রহমান।কবি মহিবুর বহিমের জন্ম কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ছাতিরচর গ্রামে ১৯৭৩ সালের ১৫ জানুযারিতে। শৈশবেই সাহিত্যচর্চার হাতেখড়ি। পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। ১৯৯৭ সালে বাংলা একাডেমি তরুণ লেখক প্রকল্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘অতিরিক্ত চোখ’, ‘হে অন্ধ তামস’, ‘অনাবাদি কবিতা’, ‘দুঃখগুলো অনাদির বীজপত্র’, ‘সবুজ শ্যামল মন’, ‘শিমুল রোদে রঙিন দিন’, ‘হৃদয়ে আমার কোন মন্দা নেই’, ‘হাওর বাংলা’ এবং ‘ভাটি বাংলার লোকভাষা ও লোকসাহিত্য’ প্রভৃতি।
মৌলিক সাহিত্যচর্চা ছাড়াও মহিবুর রহিম লোকসাহিত্য ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করছেন। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক সমীক্ষা গ্রন্থমালা’তে তার লেখা অন্তর্ভুক্ত হয়। মহিবুর রহিম কুমিল্লা অঞ্চলের লোকসংগীত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকসাহিত্য, ভাটি বাংলার লোকসাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে কাজ করছেন। বাংলা একাডেমির ‘লোকজসংস্কৃতির বিকাশ কর্মসূচি’-র আওতায় ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকসাহিত্য’ বিষয়ে কাজ করেছেন। লোকসাহিত্য গবেষণার জন্যে ‘প্রজ্ঞা’ শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি পদক ও স্মৃতি ৫২ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদানের জন্যে ‘রকি সাহিত্য পদক ২০১১’, ‘মেঠোপথ সাহিত্য পদক-২০১৩’, ‘শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহিত্য পদক-২০১৪’, ‘সুকুমার রায় সাহিত্য পুরস্কার ও সম্মা