চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমকে আমার লেখা “সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের কথা” বইটি উপহার হিসেবে প্রদান করেছি।বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন বইটি আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করে আমাকে ধন্যবাদ জানান এবং গভীর প্রশংসা করে বলেন,
“আমাদের সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে আপনাদের মতো গুণী লেখকদের যথাযথ সম্মান জানাতে পারি না, যার জন্য আমি দুঃখিত। আপনি সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রের অনেক অজানা দিক এই বইতে তুলে এনেছেন। অসাধারণ লেখনীর জন্য এই বইটি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
অন্যদিকে, দৈনিক ভোরের আওয়াজ পত্রিকার একুশে সংখ্যা বিশেষভাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পত্রিকাটির একুশের বিশেষ সংখ্যায় আমার একুশের অনুভূতি প্রকাশ করায় আমি কৃতজ্ঞ।” পাশাপাশি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমকেও আমার লেখা “সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের কথা” বইটি উপহার দিলে তিনিও তা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করে আমাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, “ভোরের আওয়াজ পত্রিকায় আমাকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করায় আমি কৃতজ্ঞ। ইদানীং পত্রিকাটির লেখাগুলো খুব ভালো হচ্ছে। সময় পেলেই আমি অনলাইনে ভোরের আওয়াজ দেখি, বিশেষ করে আপনার—কামাল উদ্দিনের—লেখা আমি কখনোই মিস করি না।” তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আপনাদের পত্রিকাকে আমি নিয়মিত বিজ্ঞাপন দিয়ে সহযোগিতা করবো।” এছাড়াও, তিনি আমার লেখা “নারী কথা” বইটির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “বইটি নারী জাগরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এত চমৎকার লেখনী না পড়লে আমি হয়তো আপনার বিষয়ে এতটা জানতাম না।” বোয়ালখালী কবরস্থান নিয়ে অভিযোগ: বিভাগীয় কমিশনারের হস্তক্ষেপ আজ ২রা মার্চ দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের বরাবর বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপের নজর মোহাম্মদ গোষ্ঠীর পারিবারিক কবরস্থান সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগকারী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, যিনি স্থানীয় সমাজের পক্ষ থেকে বোয়ালখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমার কিছু অসংগতিপূর্ণ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন। আমি নিজেই অভিযোগপত্রটি সরাসরি বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিনের হাতে পৌঁছে দিই। সে সময় জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমও উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে বিভাগীয় কমিশনার তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।এই সিদ্ধান্তে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তির বাতাস বইতে শুরু করেছে। নজর মোহাম্মদ গোষ্ঠীর মানুষ আশাবাদী যে, প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপে তাদের দুইশত বছরের পুরনো পারিবারিক কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষা পাবে এবং অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।