বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অন্তর্গত, যমুনা অয়েল কোম্পানি লেবার ইউনিয়ন (সিবি-এ) রেজি নং বি-১৭৩৬ এর দ্বি-বার্ষিক কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ যমুনা ভবন কার্য্যালয়ে। এই নির্বাচনে আবুল হোসেন ও ইয়াকুব আলী পরিষদ সভাপতি-সম্পাদকসহ মোট ১৯টি পদে ১৭টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
এবারের নির্বাচনে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৫১ জন। এর মধ্যে এম.এ. আবুল হোসেন সভাপতি পদে বৈদ্যুতিক বাল্ব মার্কা নিয়ে ২৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, এবং মুহাম্মদ ইয়াকুব সাধারণ সম্পাদক পদে ছাতা মার্কা নিয়ে ২৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
যমুনা অয়েল কোম্পানি লেবার ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ২০২৫ সালের পুনঃনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াকুব সাংবাদিকদের বলেন, “আমি সর্বক্ষণ শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করি এবং তাদের বিপদে আপদে সহযোগিতা করি, যেটি তাদের কাছে অনেক মূল্যবান। তাদের এই আন্তরিকতা ও সমর্থনের জন্য আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ।”
তিনি আরও বলেন, “আমার সহকর্মী মুহাম্মদ আবুল হোসেন সহ আমি দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের সঙ্গে ছিলাম, তাদের বিভিন্ন সমস্যায় সহযোগিতা করেছি এবং তাদের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার জন্য সাধ্যমতো কাজ করেছি। এর ফলস্বরূপ আজ আমরা আবারো তাদের সমর্থন পেয়েছি এবং তাদের এই সহযোগিতার জন্য আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।”
যমুনা অয়েল কোম্পানি লেবার ইউনিয়ন (সিবি-এ) রেজি নং বি-১৭৩৬ এর কার্যকরী পরিষদের দায়িত্বে থাকা আবুল হোসেন ও ইয়াকুব পরিষদ শ্রমিকদের মধ্যে এক বিশেষ জায়গা দখল করে রেখেছে। তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করার কারণে তারা সাধারণ শ্রমিকদের কাছে এক জনপ্রিয় নাম। এলাকার শ্রমিকদের দাবি, তাদের তত্ত্বাবধানে শ্রমিকদের বিভিন্ন সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে এবং তারা বিভিন্ন বিপদের সময়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে সাধারণ শ্রমিকরা বলেন, “আবুল হোসেন ও ইয়াকুব আলী পরিষদ তাদের দায়িত্ব পালনকালে সর্বদা আমাদের পাশে ছিলেন। তাদের নেতৃত্বে আমরা কখনও সমস্যায় পড়িনি, তারা সবসময় আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই আমরা এবারও তাদের ভোট দিয়েছি।”এবারের নির্বাচনে আবুল হোসেন ও ইয়াকুব পরিষদের প্রতিদ্বন্দ্বী, মুহাম্মদ শরাফত দৌল্লা চৌধুরী সভাপতি পদে ৮ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন মাত্র ৫ ভোট পেয়ে ভোটে পরাজিত হয়েছেন।
ইয়াকুব আলীর প্রসংশা
মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী একজন অত্যন্ত পরিশ্রমী ও কর্তব্যনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিচিত। তার নেতৃত্বে যমুনা অয়েল কোম্পানি লেবার ইউনিয়ন অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়েছে এবং শ্রমিকদের সমস্যার দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিকদের যে কোনো দাবি বা সমস্যায় তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার ফলে তিনি সাধারণ শ্রমিকদের কাছে একজন আস্থাভাজন নেতা হয়ে উঠেছেন। তার দক্ষতা, সততা, এবং কর্মঠ মনোভাব তাকে জনপ্রিয় করেছে শুধু তার সহকর্মীদের মাঝে, বরং সমস্ত যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মচারীদের কাছেও।
এছাড়া, ইয়াকুব আলী সবসময় শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং তার এই প্রতিশ্রুতি তিনি বাস্তবায়িতও করেছেন। যমুনা অয়েল কোম্পানি লেবার ইউনিয়নে তার নেতৃত্বে সকল শ্রমিকের উন্নয়ন ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও তিনি এই কাজ অব্যাহত রাখবেন বলে তিনি তার ভাষণে উল্লেখ করেছেন।
আজকের নির্বাচনে আবুল হোসেন ও ইয়াকুব পরিষদ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়া প্রমাণ করে যে, তারা তাদের কাজের মাধ্যমে শ্রমিকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। সাধারণ শ্রমিকদের স্বার্থের কথা ভেবে তারা অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং সেই কারণেই তাদের বিপুল সমর্থন মিলেছে। নির্বাচনে জয়ী হয়ে তারা তাদের নেতৃত্বের মাধ্যমে আগামীতে আরো শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
এবং মুহাম্মদ ইয়াকুব আলী তার কার্যকলাপ ও কর্মক্ষমতা দিয়ে আরো একবার প্রমাণ করেছেন যে, একজন সফল নেতা হওয়ার জন্য শুধু জনপ্রিয়তা নয়, বরং মানুষের সেবা ও তাদের কল্যাণের কাজই সবচেয়ে বড়।