হৃদয় বেদনাবিদ্ধ, চোখে অশ্রু ভরা,
নোমান ভাই আর নেই, আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন,
চট্টগ্রামের রত্ন, মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিপরুষ,
তাঁর অবদান চিরকাল অমলিন থাকবে আমাদের মনে।
আজ সকালে যখন এই দুঃখজনক সংবাদটি শুনলাম,
অবিশ্বাস্য ভাবে যেন এক শূন্যতা বোধ করলাম।
আমার প্রিয় নেতা, বাংলাদেশের গর্ব, চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান,
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক একাধিক সফল মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান ভাই আর আমাদের মধ্যে নেই।
এটি আমার জন্য এক বেদনাদায়ক সংবাদ, যা আমি মনের গভীরে অনুভব করছি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে,
তিনি ছিলেন দলটির অন্যতম অগ্রণী নেতৃত্ব।
এটি শুধু রাজনৈতিক মর্যাদা নয়,
তার জীবন ছিল জনগণের জন্য নিবেদিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত।
তিনি আমাদের নেতৃত্ব, সাহস, ও শক্তির প্রতীক ছিলেন।
তিনি ছিলেন সেই মহান ব্যক্তি, যিনি তার জীবনকে দেশের কল্যাণে উৎসর্গ করেছিলেন,
এবং চট্টগ্রামের উন্নয়নে ছিল তাঁর অপরিসীম অবদান।
গতকাল চট্টগ্রাম ভেটনারী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভিডিও ধারণের সময়,
আমি বার বার তাঁর কথা উল্লেখ করেছি, কারণ তিনি ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা।
তাঁর প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের আমি নিজেই একজন সাক্ষী।
তিনি ছিলেন চট্টগ্রামের উন্নয়নের এক অগ্রনায়ক।
তিনি আমার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করেছিলেন, ৮৮ সাল থেকে।
তাঁর সাথে রয়েছে অসংখ্য স্মৃতি—
১৯৯৪ সালে, লালদিঘীর ময়দানে অনুষ্ঠিত বিজয় রজন্তি অনুষ্ঠানে,
আমি প্রথমবার শ্রেষ্ঠ বক্তৃতা ও শ্রেষ্ঠ তরুণ কর্মী হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছিলাম তাঁর হাত থেকে।
২০১২ সালে লেখক সাংবাদিক হিসেবে, তিনি আমাকে নবীন সেন সাহিত্য পুরস্কার দিয়েছিলেন।
তার ছিল অশেষ আনন্দ, কিন্তু এক বড় দুঃখও ছিল।
২০১৭ সালে চট্টগ্রামের নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হতে পারছিল না,
কেবলমাত্র আদালতের একটি মামলার রায়ের কারণে তিনি আসতে পারেননি।
এটি আমার জীবনের এক বড় দুঃখ, যা আমি সারা জীবন মনে রাখবো।
তবে, ২০১৮ সালে বাংলা টিভির একটি টকশো অনুষ্ঠানে,
দু’বার তিনি আমার উপস্থাপনায় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন,
তাঁর সাথে আরো বহু মূল্যবান স্মৃতি রয়েছে।
আজকে, এই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে,
আমি তড়িৎগতিতে এই লেখাটি লিখলাম।
নোমান ভাই আর আমাদের মধ্যে নেই,
তবে তাঁর অবদান, তাঁর স্মৃতি চিরকাল অম্লান থাকবে আমাদের মনে।