1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্বীকৃতি: চট্টগ্রাম সমিতির মুখপত্র “চট্রলঅগ্নিশিখা”

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্বীকৃতি: চট্টগ্রাম সমিতির মুখপত্র-
“চট্রলঅগ্নিশিখা”। চট্টগ্রাম একটি প্রাচীন নগরী, যার ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো। এখানকার পাহাড়, নদী, সাগর, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি যুগে যুগে পৃথিবীকে আলোড়িত করেছে। চট্টগ্রামের খ্যাতি শুধু তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেই নয়, বরং এখানকার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যিক ঐতিহ্যেও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত। “চট্রলঅগ্নিশিখা”, চট্টগ্রাম সমিতির মেজবান উপলক্ষে প্রকাশিত এই শিল্পী-সাহিত্য-সংস্কৃতি পূর্ণ গ্রন্থ, চট্টগ্রামের এই ঐতিহ্যের মর্যাদাকে তুলে ধরার এক প্রচেষ্টা।
চট্টগ্রামের মেজবান, পতেঙ্গার তরমুজ, রাঙামাটির আনারস, কর্ণফুলী নদীর সাম্পান, চাকতাই খাতুন গঞ্জের ব্যবসা, আর গরুর মাংসের মেজবান—এসব একেকটি চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। এই সমিতি এবং এর প্রকাশনা চট্টগ্রামের ইতিহাস, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সাথে মানুষের গভীর সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরে, যার মাধ্যমে আমরা চট্টগ্রামের অতীতকে সম্মান জানাতে এবং ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন প্রেরণা লাভ করি।
এমন একটি প্রয়াসে “চট্রলঅগ্নিশিখা” একটি স্মরণীয় শিখা, যা চট্টগ্রামের হৃদয়ে উজ্জ্বল। চট্টগ্রাম যা বাংলাদেশে বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিকভাবে অগ্রগামী একটি নগরী, তার ইতিহাস, শিল্প, সংস্কৃতি এবং সাহিত্যের ভেতর নিহিত রয়েছে এক অমূল্য ঐতিহ্য। এই শহরটি শুধু একটি গৌরবময় বন্দর শহর নয়, বরং একটি প্রাচীন নগরী যা সৃষ্টির শুরু থেকেই নানা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে। এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, শিল্প, সাহিত্য এবং ইতিহাসের প্রতি অবিচলিত থাকা শহর হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রামের পরিপূর্ণতায় রয়েছে পাহাড়, নদী, সাগর এবং প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য, যা শুধু চট্টগ্রামবাসী নয়, সারা বিশ্বের মানুষের জন্য আকর্ষণীয়।
চট্টগ্রামের প্রাচীন ঐতিহাসিক ভূমিকা চট্টগ্রামের ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো। একদিকে এই শহরটি প্রাচীন কাল থেকে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, অন্যদিকে এর ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাসও অত্যন্ত সমৃদ্ধ। চট্টগ্রাম বরাবরই বিভিন্ন বাণিজ্যিক সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এবং হালদা নদী দুটি শহরের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কর্ণফুলী নদী বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বন্দর হওয়ায় দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত, আর হালদা নদী বাংলাদেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত। এছাড়া চট্টগ্রাম মুসলিম সভ্যতার এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। ইসলাম প্রচারের সূচনা হয়েছিল চট্টগ্রাম থেকেই। এখানে বার আউলিয়া বা শাহ আমানত রোডের মাজারসহ আরও অনেক বিখ্যাত ধর্মীয় স্থান রয়েছে। চট্টগ্রামের ধর্মীয় বৈচিত্র্য এবং সমন্বয় তাৎপর্যপূর্ণ, এবং চট্টগ্রামকে ইসলামাবাদের শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই শহরের ইতিহাসে মোঘল সম্রাটদের সময়ও বিশেষ স্থান অধিকার করে, কারণ চট্টগ্রাম ছিল মোঘলদের শাসনকালের অন্যতম প্রধান কৌশলগত বন্দর।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য: চট্টগ্রামের শিল্প, সংগীত ও নৃত্য
চট্টগ্রামের সংস্কৃতি এতটাই বৈচিত্র্যময় যে, এর মধ্যে উজ্জ্বল শিল্প, সংগীত, নৃত্য এবং আরও অনেক রূপের সমন্বয় ঘটেছে। চট্টগ্রামের লোকসংগীত এবং শিল্পের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় প্রতি বছর চট্টগ্রাম সমিতির পক্ষ থেকে আয়োজিত মেজবান অনুষ্ঠানে, যেখানে স্থানীয় লোক সংগীতের ছোঁয়া পাওয়া যায়। মেজবান অনুষ্ঠানটি শুধু চট্টগ্রামের ঐতিহ্যিক খাবারের অংশ নয়, বরং এটি আমাদের সংস্কৃতির এক অমূল্য প্রকাশ।
চট্টগ্রামে শিল্প এবং হস্তশিল্পেরও একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। এখানকার মানুষের হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের কাপড়, কাঁথা, বাটিক এবং কাঠের খোদাই করা পণ্যগুলি বহু আগেই পৃথিবীজুড়ে পরিচিত হয়েছে। চট্টগ্রামের শিল্পীদের আঁকা ছবির প্রতি সারা পৃথিবীই আকৃষ্ট হয়েছে। এছাড়া এখানে রয়েছে নানা ধরনের লোকনৃত্য, যেগুলোর মাধ্যমে চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সারা দেশে এবং বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সাহিত্যের এক উজ্জ্বল অধ্যায় চট্টগ্রাম শুধু শিল্প এবং সংস্কৃতির কেন্দ্র নয়, এটি সাহিত্য ক্ষেত্রেও সমৃদ্ধ। চট্টগ্রামের লেখক এবং কবিরা অনেক সময় সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। চট্টগ্রামের সাহিত্যিকরা প্রাচীন ইতিহাস, মানুষের দুঃখ, সংগ্রাম এবং সমৃদ্ধি নিয়ে লিখেছেন। চট্টগ্রামের বিশেষ একটি স্থান হলো এখানকার প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী কবিতা, যা স্থানীয় ভাষায় রচিত। চট্টগ্রামের সাহিত্যিকরা বাংলা সাহিত্যের ধারায় প্রভাব ফেলেছেন, এবং তাদের রচনায় চট্টগ্রামের ইতিহাস, সমাজ এবং সাংস্কৃতিক অবস্থা উঠে এসেছে।
চট্টগ্রামের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক স্থান হল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে দেশের শীর্ষস্থানীয় লেখকরা শিক্ষালাভ করেছেন এবং নতুন প্রজন্মের সাহিত্যিকদের উৎসাহিত করেছেন। তাদের লেখার মধ্যে চট্টগ্রামের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক অবস্থার গভীর চিত্র ফুটে ওঠে।
চট্টগ্রামের মানুষের মনোভাব ও উন্নয়ন চট্টগ্রামের মানুষের মনোভাব অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহানুভূতির। এই শহরের মানুষরা জাতিগত এবং ধর্মীয় পার্থক্য ভুলে একে অপরকে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মনোভাব এবং বিনয়ী আচরণ সমাজে একটি নির্ভরযোগ্য এবং সমৃদ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। চট্টগ্রাম শুধু বাণিজ্যিক দিক থেকেই সফল নয়, বরং এটি দেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
চট্টগ্রামের মানুষ তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। এখানে ব্যবসায়ীরা সারা দেশে বিখ্যাত, তাদের কাজে তৎপরতা এবং উন্নতির প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। চট্টগ্রাম, রাজনৈতিকভাবে এবং সাংস্কৃতিকভাবে প্রভাবশালী একটি স্থান। এখানকার রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গি ও নেতৃত্ব প্রতিদিনের জীবনে উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার পরিচায়ক।
চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ চট্টগ্রাম একটি শহর যা প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন করে গড়ে তুলছে। এখানে নানা ধরনের ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। চট্টগ্রামের ভূমিকা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অপরিসীম। এখানে নতুন নতুন উদ্যোগ এবং প্রকল্পগুলি অব্যাহতভাবে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা এই শহরটির ভবিষ্যতকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে। চট্টগ্রামকে নিয়ে ইতিহাসের কাহিনি, সংস্কৃতির সমন্বয়, শিল্প ও সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা এবং মানুষের কঠোর পরিশ্রম একযোগে চট্টগ্রামকে তার অমূল্য ঐতিহ্যকে নিয়ে যেতে সহায়ক হয়েছে। এ শহরের মানুষের জন্য, এটি শুধু একটি শহর নয়, বরং এটি একটি ইতিহাস, যা তাদের আত্মবিশ্বাস এবং গর্বের উৎস। চট্টগ্রাম, আমার প্রিয় শহর, এক ঐতিহ্যের এক অনন্য সাক্ষী, যার শিকড় প্রাচীন কাল থেকে আধুনিক সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের নয়, বরং বিশ্বের কাছে একটি গর্বিত স্থান।
চট্টগ্রামের ঐতিহ্য: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, খাদ্য সংস্কৃতি এবং বাণিজ্যিক ইতিহাসের দিকে চেয়ে দেখলেই জানাযায়-
চট্টগ্রাম, যার ইতিহাস এক অমুল্য ঐতিহ্য ধারণ করে, এটি শুধু বাণিজ্যিক কেন্দ্রই নয়, বরং একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক এবং খাদ্যাভ্যাসের কেন্দ্র। চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ, খাদ্য, ব্যবসা এবং ঐতিহ্য এ অঞ্চলের অমূল্য রত্নের মতো। এখানে গড়ে উঠেছে নানা ধরনের ব্যবসা এবং উৎপাদন, যার মধ্যে অনেকগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিচিত এবং জনপ্রিয়। আজকের আলোচনাটি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য, ব্যবসা, এবং সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে।
বেলা বিস্কুট: চট্টগ্রামের প্রাচীন স্বাদ বেলা বিস্কুট চট্টগ্রামের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং প্রাচীন খাদ্য পণ্য। একসময় এটি ছিল শহরের প্রতিটি ঘরের অন্যতম প্রিয় খাবার। চট্টগ্রামের বেলা বিস্কুটের স্বাদ, খাস্তা গঠন, ও বিশুদ্ধতা আজও মানুষকে আকৃষ্ট করে। খাঁটি মাখন এবং অন্যান্য সুতীক্ষ্ণ উপকরণের মিশ্রণে তৈরি এই বিস্কুট বিভিন্ন সময়ের বিশেষ খাবার হিসেবে খাওয়া হতো। তার পর থেকে এটি চট্টগ্রামের পরিচিত ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পতেঙ্গার তরমুজ: প্রাকৃতিক সুস্বাদু ফল পতেঙ্গা, চট্টগ্রামের একটি বিখ্যাত সৈকত এলাকা, যা তরমুজের জন্য খ্যাত। এখানকার তরমুজ গুলি সুস্বাদু, রসালো এবং অত্যন্ত মিষ্টি। এই তরমুজ চট্টগ্রামবাসী এবং পর্যটকদের কাছে অন্যতম প্রিয় ফল, বিশেষত গরমের দিনগুলোতে। পতেঙ্গার তরমুজ শুধু চট্টগ্রামে নয়, দেশের অন্যান্য শহরেও রপ্তানি করা হয়। এটি চট্টগ্রামের কৃষি শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা এখানকার কৃষকদের আয় ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। রাঙামাটির আনারস: সুস্বাদু ও তাজা ফল
রাঙামাটি, চট্টগ্রামের একটি পার্বত্য জেলা, যা আনারসের জন্য সুপরিচিত। রাঙামাটির আনারসের স্বাদ একেবারে আলাদা—তাজা, মিষ্টি এবং রসালো। রাঙামাটি অঞ্চলের পরিবেশ আনারসের জন্য উপযুক্ত, যার ফলে এখানকার আনারস দেশের সেরা আনারসগুলির মধ্যে একে পরিণত করেছে। রাঙামাটির আনারস চট্টগ্রামের বাজারে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, এবং এর রফতানি চট্টগ্রাম থেকে অন্য শহরে হয়ে থাকে। পটিয়ার পেয়ারা: সুগন্ধি ও মিষ্টি ফল পটিয়া, চট্টগ্রামের একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল, যেখানে উৎপন্ন হয় বিশ্বের অন্যতম সেরা পেয়ারা। পটিয়ার পেয়ারা গুলোর বিশেষত্ব হলো, এদের স্বাদ অত্যন্ত মিষ্টি এবং খেতেও অত্যন্ত সুগন্ধি। পটিয়ার পেয়ারা চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শহরের অভিজ্ঞানী লোকজনদের কাছেও বেশ জনপ্রিয়। এই পেয়ারা শুধু চট্টগ্রামে নয়, সারা দেশে রপ্তানি হয়, এবং এটি চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক জীবনের অন্যতম অঙ্গ। কর্ণফুলী নদীর সাম্পান: ঐতিহ্যবাহী নৌযান
কর্ণফুলী নদী, চট্টগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী, যার সঙ্গে চট্টগ্রামের ইতিহাস এবং ব্যবসা অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। নদীর এই অঞ্চলে সাম্পান নামক ঐতিহ্যবাহী নৌযান ব্যবহৃত হতো। চট্টগ্রামের সাম্পান ব্যবসা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক ঐতিহ্যের প্রতীক। সাম্পানগুলি এক সময় ছিল চট্টগ্রামের বন্দর ও ব্যবসা সংক্রান্ত কার্যক্রমের অন্যতম প্রধান বাহন। আজও এই নদী এবং এর মাধ্যমে চলাচলকারী সাম্পানগুলো চট্টগ্রামের ইতিহাস এবং জীবনধারা তুলে ধরে।
চাকতাই খাতুন গঞ্জের ব্যবসা: ঐতিহ্যবাহী বাজার
চট্টগ্রামের চাকতাই খাতুন গঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার যা ব্যবসার জন্য খ্যাত। এখানে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী বিক্রি হয়, যার মধ্যে খাদ্যদ্রব্য, শাকসবজি, মসলার সাথে সাথে পণ্য ব্যবসার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত। এই বাজারটি চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক ইতিহাসের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং দোকানদাররা পরস্পরের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন করে। চাকতাই খাতুন গঞ্জের বাজারটি চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গেও সম্পর্কিত। আশু রাস্তার শুটকি: সমুদ্রের সুস্বাদু খাদ্য চট্টগ্রামের আশু রাস্তার শুটকি বাংলাদেশের অন্যতম সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় খাদ্য। শুটকি উৎপাদন, যা সাধারণত সামুদ্রিক মাছ থেকে তৈরি হয়, চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান খাদ্য ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। আশু রাস্তা, চট্টগ্রামের শহর কেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত, যেখানে মাছ শিকারী এবং ব্যবসায়ীরা শুটকি প্রস্তুতি ও বাজারজাতকরণে নিয়োজিত। শুটকি চট্টগ্রামের ইতিহাস এবং খাদ্যসংস্কৃতির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা দেশের বাইরেও রপ্তানি করা হয়।
গরুর মাংসের মেজবান: চট্টগ্রামের খ্যাতনামা ঐতিহ্য
চট্টগ্রামের গরুর মাংসের মেজবান একটি স্বতন্ত্র এবং খ্যাতনামা ঐতিহ্য। মেজবান একটি চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ খাবারের আয়োজনে পরিণত হয়েছে, যা সাধারণত বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিতে পরিবেশন করা হয়। মেজবান খাবারটি গরুর মাংসের বিভিন্ন প্রকার ও বৈচিত্র্যপূর্ণ রান্নার মাধ্যমে প্রস্তুত হয়, এবং এটি চট্টগ্রামের অতিথিপরায়ণতা এবং সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে উঠেছে।
লেখকঃ সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক ও মহাসচিব চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।
জীবন সদস্য চট্টগ্রাম সমিতিঃ
০১৭১১৭২২২৪৭,

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট