চট্টগ্রাম কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ম্যানেজার কবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ, তদন্তের দাবি
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিক্রয় বিভাগের ম্যানেজার কবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় মানবাধিকার নেতা আতিকুর রহমান আতিক অভিযোগ করেছেন, কবির উদ্দিন অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে অসাধু উপায়ে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো শোনালে, এটি একটি বৃহত্তর দুর্নীতি চক্রের ইঙ্গিত দেয়। অবৈধ গ্যাস সংযোগ:
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, কবির উদ্দিন চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে কর্ণেলহাট সিডিএ আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি হল, তিনি আনোয়ারা বেগম নামক এক গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ, যা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি এবং সরকারি বিধি-বিধানের পরিপন্থী। এই ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অবৈধ সম্পত্তি: মানবাধিকার নেতা আতিকুর রহমান আতিক জানিয়েছেন, কবির উদ্দিনের অবৈধ সম্পত্তির পরিমাণ সরকারি বেতন এবং অন্যান্য বৈধ আয়ের তুলনায় শতগুণ বেশি। তিনি বিভিন্ন নাম ও বেনামে চট্টগ্রাম শহরে এবং তার গ্রামের বাড়িতে প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি অর্জন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, বাড়ি, জমি এবং অন্যান্য সম্পদ, যা তিনি মূলত দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অর্জন করেছেন।
রাজনৈতিক প্রভাব ও দুর্নীতি:
আতিকুর রহমান আতিক দাবি করেছেন, কবির উদ্দিন দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে তার রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে হাত মিলিয়ে নানা দুর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি বলেন, “এই দীর্ঘ সময় ধরে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি ঘটিয়েছেন এবং জনগণের পক্ষে না থেকে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছেন।”
এছাড়া, কবির উদ্দিন বর্তমানে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি প্রচার করছেন যে, নির্বাচনে ভোট কিনে সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করবেন। তিনি প্রার্থিত পদে নির্বাচিত হলে, প্রতিষ্ঠানটি একটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আতিকুর রহমান আতিক।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে আবেদন:মানবাধিকার নেতা আতিকুর রহমান আতিক এই বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তার মতে, “এই ধরনের দুর্নীতির শেকড় উপড়ে ফেলা না গেলে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের সেবা করতে পারবে না। যদি তদন্তের মাধ্যমে কবির উদ্দিনের দুর্নীতি প্রমাণিত হয়, তবে তা দেশের মানুষের জন্য একটি বড় সুবিধা হবে।”
আতিক আরও জানিয়েছেন, কবির উদ্দিনের অবৈধ সম্পত্তি ও দুর্নীতি নিয়ে আরও গভীর তদন্ত শুরু হলে দেশের দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে। তার মতে, দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ হবে।
এ বিষয়ে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আতিকুর রহমান আতিক চিঠি লিখেছেন এবং তাকে সহকারী কর্মকর্তারা এই বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এক নজরে: কবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্যাস সংযোগের নামে কোটি কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ। অবৈধভাবে প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি অর্জন করেছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে হাত মিলিয়ে দুর্নীতি করে চলেছেন। নির্বাচনের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যেখানে ভোট কিনে জয়ী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। মানবাধিকার নেতা আতিকুর রহমান আতিকের দাবি, তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতির শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে। এই ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত ও তদন্তের ফলাফলে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দেশবাসীর কাছে সঠিক পদক্ষেপ প্রত্যাশিত