গাবুরা ইউনিয়ন বেসরকারি বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
মেধা বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে গাবুরা শিশু কিশোর ফাউন্ডেশন!
অনেক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য সফল ভাবে সম্পন্ন হল মেধা বৃত্তি পরীক্ষা।গাবুরা শিশু কিশোর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সম্পন্ন হয় এই পরীক্ষা। বেসরকারী আয়োজনে গাবুরায় সর্ববৃহৎ এই মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম এই তিন শ্রেণীর মোট ২১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে।২১ ডিসেম্বর সম্পন্ন এই মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও অংশগ্রহণ অংশ গ্রহণের হার ছিল ৯২ শতাংশ।
গাবুরা শিশু কিশোর ফাউন্ডেশন শিশু কিশোরদের মেধা বিকাশের নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করে এরই অংশ হিসেবে ইউনিয়নব্যপি মেধা বৃত্তি পরীক্ষা। গাবুরা ইউনিয়নের ১২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি ইবতেদায়ী ও একটি কিন্ডার গার্টেন এর ২৩৪ জন শিক্ষার্থী মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করে। গত নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখে ফর্ম ফিলাপ শেষ হয়। এই ১৫ টি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ৫৯ জন, চতুর্থ শ্রেণীর ৭৪ জন ও পঞ্চম শ্রেণীর ১০১ । পরীক্ষায় অংশ নেয় ২১৬ জন। তৃতীয় শ্রেণীর ৫৬, চতুর্থ শ্রেণীর ৬৭ ও পঞ্চম শ্রেণীর ৯৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের হার ৯২ শতাংশ। সূত্র জানায় গত সেপ্টেম্বর মাসে বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা মোঃ রুহুল কুদ্দুস ও কমিটির সদস্য মাওলানা মোঃ লিয়াকত হোসেন,গাবুরা শিশু কিশোর ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ হাফিজুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা গাবুরা ইউনিয়নের সকল প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় যান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের অনুরোধ জানান । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন অত্যান্ত আন্তরিকতার সাথে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ অনুষ্ঠিত গাবুরা শিশু কিশোর মেধাবৃত্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল গাবুরা নিজামিয়া দাখিল মাদ্রাসা। পরীক্ষায় হল সুপার ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ রুহুল কুদ্দুস, সহকারী হল সুপার ছিলেন মাওলানা মোঃ লিয়াকত হোসেন ও মাওলানা মোঃ গোলাম মোস্তফা। পরিদর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. ইমদাদুল হক হেলালি ও সিনিয়র সাংবাদিক কে এম আব্দুল মজিদ এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন গাবুরা ২ নং ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য গোলাম মোস্তফা।মেধা বৃত্তি পরীক্ষার উদ্যোক্তা গাবুরা শিশু কিশোর ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ হাফিজুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন বর্তমান বিশ্ব অত্যন্ত প্রতিযোগিতা মুলক এই প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে মেধার বিকল্প নেই। আর এই মেধা এমনিতেই হয়না মেধা বিকাশের জন্য মেধার লালন করতে হয়। এই লক্ষ্যে গাবুরা শিশু কিশোর ফাউন্ডেশন গাবুরার শিক্ষার্থীদের যাচাই করে তাদের উৎসাহ দিতে এই প্রয়াস। এই মেধা বৃত্তি পরীক্ষায় প্রতি শ্রেণীতে তিন জন করে নয় জনকে ট্যালেন্টফুল ও প্রতি শ্রেণীতে পাঁচ জন করে পনের জনকে সাধারন এবং সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপ্তকে ইস্টুডেন্ট অব দি ইয়ার হিসাবে সকলকে নগদ অর্থ, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে।তিনি আরো বলেন ৬০ দিনের মধ্যে মেধা বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে