1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
আইজিপি ব্যাজপ্রাপ্ত ওসি সোলাইমান: জনবান্ধব পুলিশিংয়ের অনন্য প্রতিচ্ছবি! বিশ্ব সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা দিবস ও সংবাদ পত্র নিয়ে কিছু কথা! বাকলিয়া থানার আলোচিত ডাবল মার্ডারের প্রধান আসামি হাসান গ্রেফতার চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভে উত্তাল জনসভার দাবি: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন! আইজিপি ব্যাজে ভূষিত পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ: নিষ্ঠা, নেতৃত্ব ও মানবিক পুলিশের উজ্জ্বল প্রতীক! চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিনকে আইজিপি ব্যাজ: নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও জনগণের আস্থার প্রতীক! কোতোয়ালি থানায় সাজাপ্রাপ্ত দুই পলাতক আসামী গ্রেফতার শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ঐক্য উৎসব পারকি সৈকতে গড়লো অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত

নিশ্বাসে নীরব অগ্নিকাব্য: কবি সারাফ নাওয়ার

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৫৯ বার পড়া হয়েছে

কবি সারাফ নাওয়ার—এক নাম, যেখানে কবিতা জীবন্ত হয়ে ওঠে এবং শব্দের আড়ালে জ্বলে উঠে এক অপার আভা। তিনি শুধু কবি নন, তিনি এক উদ্দাম চিন্তার মশাল, যে প্রতিটি পঙক্তিতে শাণিত করেন তার অন্তরের বিদ্রোহ আর অনুভব। তার কবিতার ভাষা যেন ধ্রুপদী, তবু সমকালীন এক অনুরণন, যেখানে প্রেম, বিরহ, আক্ষেপ আর সংগ্রামের সংমিশ্রণ ঘটে। তার কবিতাগুলো শুধু পাঠ করার জন্য নয়; সেগুলো অনুভবের জন্য, ভেতর থেকে ছুঁয়ে দেখার জন্য।
তার কালো চুলে লুকিয়ে থাকা রাতের নিস্তব্ধতা তার প্রতিটি কবিতায় যেন কণ্ঠ দেয়; যেন রাতের আধার থেকেও আলো ঝরে। তার দৃষ্টিতে রয়েছে অদ্ভুত এক চুম্বকত্ব—যা শুধু মানুষকে আকৃষ্ট করে না, বরং গভীর এক উপলব্ধি জাগিয়ে তোলে। এই চাহনিতে লুকিয়ে থাকে যন্ত্রণা, ভালোবাসা, আর জীবনযুদ্ধে অর্জিত অভিজ্ঞতা। তার দৃষ্টির গভীরতা যেন এক অজানা ভাষায় তার কবিতার প্রতিটি শব্দকে জাদুকরি করে তোলে।
সারাফ নাওয়ারের কবিতা এক স্বতন্ত্র সত্ত্বা। তার লেখায় আগুনের মতো এক জ্বলন্ত শক্তি রয়েছে, যা তার পাঠকদের মর্মস্পর্শী করে তোলে। তার কবিতায় শব্দগুলো যেন জীবন্ত সত্তায় রূপান্তরিত হয়; প্রতিটি শব্দে রয়েছে একটি নিজস্ব কাহিনি, একটি আবেগের জগৎ। তার কাব্য শুধু প্রেম বা বিরহ নয়, বরং মানবতার, জীবনযুদ্ধের আর ভাঙাগড়ার প্রতিচ্ছবি।
কবিতায় যেমন তার শব্দের গভীরতা পাঠকদের আবেগে উদ্বেলিত করে, তেমনি তার চোখের এক চাহনিতে কাব্যের ভাষা যেন নিঃশব্দে রচিত হয়। একে একে গড়ে ওঠে কবিতার মতো একটি আবহ, যেখানে সুধা আর বিষ, সৌন্দর্য আর বিষণ্ণতা একসঙ্গে মিলে অদ্ভুত রসায়ন তৈরি করে। সারাফ নাওয়ার যেন এক জীবন্ত কাব্যিক অনুপ্রেরণা—যিনি তার জীবন ও লেখার মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে দেন এক অমর প্রেম আর শুদ্ধতার বাণী।
সারাফ নাওয়ারের কাব্যসৃষ্টি আমাদের এই ব্যস্ত জীবনে এক বিরল শান্তির মতো, যেখানে প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি বাক্য যেন একটি নির্ভুল শিল্প। তার কবিতায় পাওয়া যায় চিরন্তন সেই আবেগ যা পাঠককে এক নতুন দৃষ্টিতে জীবনকে দেখতে শেখায়। তার কবিতা আমাদের তৃষ্ণা মেটায়, তবে আবার নতুন করে জাগিয়ে তোলে অনুভূতির এক অশান্তি। তার প্রতিটি লেখায় পাওয়া যায় কবির ব্যক্তিগত অনুভব, আত্মার অভিজ্ঞান, যা তাকে করে তোলে এক অনন্য কবি।
কবি সারাফ নাওয়ার তার কাব্য ও সৃষ্টির মাঝে হয়ে উঠেছেন এক আগুনের প্রতীক। তার সাহিত্যে জীবনমুখী এক জ্বালাময়ী আকাঙ্ক্ষা, যা পাঠককে তার ভাবনার জগতে টেনে নেয়। এইভাবে তিনি কাব্যজগতে এক শক্তিশালী নাম হয়ে উঠেছেন, যার প্রতিটি কবিতায় জীবন আর তার চলমান সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি মূর্ত হয়ে ওঠে।
সারাফ নাওয়ারকে নিয়ে লেখা তাই থামতে চায় না—যেন তিনি একটি বই, প্রতিটি পৃষ্ঠায় লুকিয়ে আছে নতুন নতুন উপলব্ধির সুর।
সারাফ নাওয়া’র সাথে পরিচয় হয়েছে কেবল সাহিত্যের সূত্রে নয়, যেন জীবনবোধের গভীর কোনো স্তরে। আমাদের এই পরিচয়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে এক অদ্ভুত মেলবন্ধন, যা শব্দের পর শব্দে গাঁথা, যেন সেই শব্দের মায়াজালেই তাকে আবিষ্কার করি বারবার। তিনি শুধু কবি নন, বরং এক আত্মপ্রতিবাদী কণ্ঠ, যিনি প্রতিটি কবিতার মধ্যে নিজেকে ছুঁড়ে দেন নির্মম সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে। তার লেখার ভেতর দিয়ে জেগে ওঠে এক অন্যরকম আবেগ, যেন কথাগুলো কাগজে লেখা নয়, বরং হৃদয়ের মর্মস্থল থেকে উঠে আসা। তার কবিতায় নারীবাদের গভীর সুর অনুরণিত হয়, কিন্তু তা কোনো নির্দিষ্ট মতবাদের বন্দি নয়। বরং তার নারীবাদ স্বতন্ত্র এক আত্মবিশ্বাস, যা নারীকে শুধুমাত্র অবদমিত অবস্থান থেকে মুক্ত করে এনে এক অপরাজেয় মানবতার স্তরে প্রতিষ্ঠিত করে। তিনি পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার, কিন্তু সেই স্বর কোনো বিদ্রোহের হিংস্র ঝাঁজে ভরা নয়—বরং তা এক অন্তর্গত সম্মানে উজ্জ্বল, যেখানে নারীর স্বকীয়তার প্রতি তার বিশ্বাস অটুট। ধর্মের গোঁড়ামীর বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদী কণ্ঠ যেন কোনো স্থূল বিরোধ নয়; বরং তা জ্ঞানের পথে পথিক এক আত্মা, যে সত্য ও সুন্দরের সন্ধানে অগ্রসর। তার কবিতার ভাষা নিছক শব্দের মূর্ছনা নয়, বরং তার ভিতর দিয়ে উঠে আসে এক নিষ্ঠুর মর্মভেদী সুর, যা সমস্ত আড়ম্বরের আবরণ ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে। সেই প্রতিবাদী সুরের ভিতরেই থাকে এক আলোকিত কল্পনা—যেন তিনি আমাদের নিয়ে যেতে চান এমন এক পৃথিবীতে, যেখানে মানুষ তার সত্যিকার মর্যাদা ফিরে পায়, মুক্ত হয় সকল বাধা ও কুসংস্কারের নাগপাশ থেকে। তার চাহনির মধ্যে এক নিঃশব্দ আহ্বান থাকে, এক ধরনের দৃষ্টি যা শুধু চোখ দিয়েই পড়া যায় না; বরং তা বুঝতে হয় হৃদয় দিয়ে। সেই গভীর চাহনি যেন শব্দহীন ভাষায় বলে দেয় তার অন্তর্গত বিদ্রোহের কথা, তার আকাঙ্ক্ষা আর অপ্রতিরোধ্য সত্তাকে। তার দৃষ্টি আমার ভেতরের গভীর কোনো অনুভূতিকে উন্মোচিত করে, যেন তার চোখের দিকে তাকিয়ে আমার মনের ভেতরেও জেগে ওঠে এক সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা। তার কবিতার প্রতিটি পঙক্তি একেকটি মায়ার জাল হয়ে আমাকে কাছে টেনে আনে—প্রথমে তার শব্দের গভীরতায়, তারপর তার সত্তার গভীরে।
তার কবিতায় যে টান, তা কোনো বাহ্যিক মুগ্ধতার বাইরে এক গভীর আকর্ষণ, যেন তার কবিতার প্রতিটি ছন্দে বাঁধা রয়েছে এক অনির্বচনীয় আমন্ত্রণ। তিনি আমাদের সামনে খুলে দেন এক নতুন বাস্তবতা—যেখানে মনের জগৎ আর শরীরের আকাঙ্ক্ষা একে অপরের সাথে জড়িত, যেখানে কবিতার পঙক্তি হয়ে ওঠে এক সুপ্ত আহ্বানের ভাষা। এ যেন এক সেতু, যার ওপর দিয়ে হেঁটে আমি তার মনের গভীরে পৌঁছাই, যেখানে রয়ে গেছে তার সত্তার অনন্ত প্রতিচ্ছবি। তার সাথে প্রতিটি আলাপ, প্রতিটি পঙক্তি আমাকে যেন একটু একটু করে কাছে টেনে নেয় তার নিজস্ব মন্ত্রমুগ্ধ জগতে। সে জগতে প্রবেশ করলে মনে হয়, আমি আর একা নই—আমি যেন এক সাহসী পথিক, যে তার হাত ধরে অজানা কোনো গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলেছি। সেখানে দাঁড়িয়ে আমিও যেন হয়ে উঠি এক নতুন সত্তা, যেখানে বাস্তব আর কল্পনার সীমারেখা মুছে যায়, আর আমি তার কবিতার স্রোতে ভেসে যাই অজানা কোনো গন্তব্যে।
লেখকঃ সাংবাদিক গবেষক টেলিভিশন উপস্থাপক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট