1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ১২:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
কেশবপুরে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা! সবুজসহ তিনজন আটক, এলাকায় উত্তেজনা! শওকত আলম শওকত ও হাজী মোঃ আবু আকতার বোয়ালখালী বিএনপির অগ্রসৈনিক ওসি বাবুল আজাদের নেতৃত্বে থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে চারবারের সেরা ওসি আফতাব উদ্দিন দিলরুবা খানম : বহুমাত্রিক প্রতিভায় দীপ্ত এক মানবিক শিল্পী সাংবাদিকতা নাকি ব্যবসা? পেশার পবিত্রতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ! প্রধান উপদেষ্টার বরাবর চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের স্মারকলিপি প্রদান সাংবাদিকের বিভ্রান্তিকর পরিচয় ব্যবহার: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতিবাদ বক্তা ও বক্তৃতা নিয়ে কিছু অপ্রিয় কথা ঢাকা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজন কারাগারে আত্মহত্যা

চট্টগ্রামবাসীর দাবী: দুর্নীতিবাজ আব্দুস ছালাম ও রেজাউল করিমের বিচার চাই

মো. কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

চট্টগ্রামে উন্নয়ন নয়, দুর্নীতি ও অপচয়ের রাজত্ব
চট্টগ্রামের উন্নয়নকে ঢাল বানিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান এম এ ছালাম ও সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন ও মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিন এক যৌথ বিবৃতিতে এসব দুর্নীতির নিন্দা জানিয়ে তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন। অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও প্রাণহানির অভিযোগ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের নির্মাণ ত্রুটির কারণে ১১ জনের মর্মান্তিক প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া বহদ্দারহাট থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার নির্মাণে অতিরিক্ত খরচ দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। তারা আরও বলেন, লালখান বাজার থেকে টাইগার পাস পর্যন্ত অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি এলাকার সৌন্দর্য ও প্রকৃতিকে ধ্বংস করেছে। জনগণের জন্য প্রায় অপ্রয়োজনীয় এ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে অতিরিক্ত অর্থ।
অপ্রয়োজনীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সিডিএ’র তত্ত্বাবধানে নির্মিত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি পরিকল্পনার অভাবে জনগণের কোনো কাজে আসছে না। এর মাঝপথে কোথাও ওঠানামার ব্যবস্থা রাখা হয়নি। চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম দাবি করেছে, এই প্রকল্পের যে ব্যয়, তা দিয়ে উন্নত দেশের মতো আরও চারটি কার্যকর ফ্লাইওভার নির্মাণ সম্ভব ছিল। সাবেক মেয়র রেজাউল করিমের দুর্নীতি সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে উন্নয়নের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। তার সময়ে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প ও অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নে যে অর্থ খরচ হয়েছে, তার যথাযথ হিসাব জনগণের কাছে প্রকাশ করা হয়নি। জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় জনগণের ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগণের দাবি ও ক্ষোভ চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ মনে করে, আব্দুস ছালাম ও রেজাউল করিম তাদের দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের আখের গোছানোর চেষ্টা করেছেন। তাদের অপরিকল্পিত প্রকল্প ও অর্থ আত্মসাতের দায় জনগণের কাঁধে চাপানো হয়েছে। নাগরিক ফোরামের দাবি ১. আব্দুস ছালাম ও রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. অপরিকল্পিত প্রকল্পে সৃষ্ট ক্ষতির ক্ষতিপূরণের উদ্যোগ।
৩. ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্নীতি ও অপচয় রোধে স্বচ্ছ নীতি প্রণয়ন।
আন্দোলনের ঘোষণা
চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করবে। ফোরামের মতে, চট্টগ্রামের প্রকৃত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।
চট্টগ্রামবাসীর দাবি—উন্নয়নের নামে আত্মসাৎকারী সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম ও সাবেক মেয়র রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও দুর্নীতির অবসান ঘটিয়ে নগরবাসীর জন্য একটি টেকসই ও স্বচ্ছ উন্নয়নের পথ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট