1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন এর এডহক কমিটির আত্মপ্রকাশ আইজিপি ব্যাজপ্রাপ্ত ওসি সোলাইমান: জনবান্ধব পুলিশিংয়ের অনন্য প্রতিচ্ছবি! বিশ্ব সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা দিবস ও সংবাদ পত্র নিয়ে কিছু কথা! বাকলিয়া থানার আলোচিত ডাবল মার্ডারের প্রধান আসামি হাসান গ্রেফতার চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভে উত্তাল জনসভার দাবি: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন! আইজিপি ব্যাজে ভূষিত পাহাড়তলী থানার ওসি বাবুল আজাদ: নিষ্ঠা, নেতৃত্ব ও মানবিক পুলিশের উজ্জ্বল প্রতীক! চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিনকে আইজিপি ব্যাজ: নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও জনগণের আস্থার প্রতীক! কোতোয়ালি থানায় সাজাপ্রাপ্ত দুই পলাতক আসামী গ্রেফতার শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর তিনদিনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ইজতেমা বালুকাবেলার আত্মঘোষণা: যেখানে সাংবাদিকতা হয়ে ওঠে প্রতিবাদের কবিতা

ডায়াবেটিক হাসপাতালের নেতৃত্ব চট্টগ্রামবাসীর হাতছাড়ার নেপথ্যে দুই চাকরিচ্যুত

স ম জিয়াউর রহমান
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

বিগত ১৯৭৮ সালে এনায়েত বাজারে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতাল, চট্টগ্রামবাসীর হাতে গড়া একটি পরিচিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই চট্টগ্রামের জনগণের অবদান এবং সমিতির যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে হাসপাতালটি দেশের অন্যতম স্বনামধন্য হাসপাতাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হাসপাতালের নামের সাথে “চট্টগ্রাম” যুক্ত থাকলেও, এটি সবার জন্য উন্মুক্ত, সব শ্রেণীর রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম এবং তার বাইরের সেবাও দিয়ে আসছে। হাসপাতালটি শতভাগ চট্টগ্রামবাসীর হাসপাতাল হিসেবেই পরিচিত। এখানে জীবন সদস্যদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। ফলে, চট্টগ্রামের প্রিয় এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানকার নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করে চলেছে। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে এই হাসপাতালের নেতৃত্ব নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন চট্টগ্রামের সুশীল সমাজ।
গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায়, ওমর গনি এম এস কলেজের পাশে “হাদলি” রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত একটি গোপন আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের বর্তমান সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় হয়। এই সভাটি ছিল প্রকৃতপক্ষে একটি ষড়যন্ত্র সভা। সেখানে হাসপাতাল থেকে চাকরিচ্যুত দুই ব্যক্তি—হাসিনা আকতার লিপি ও সাহাব উদ্দিন—নেতৃত্বের বিরোধিতা করে পকেট কমিটি ঘোষণা করেন।
অবশ্যই উল্লেখ্য, এই তথাকথিত আহবায়ক কমিটি চট্টগ্রামের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে কিন্তু বাস্তবে এর নেতৃত্বের অধিকাংশ সদস্য চট্টগ্রামের বাইরের। এতে দেখা যায়, সুকৌশলে হাসপাতালের নেতৃত্ব চট্টগ্রামের মানুষের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে। হাসিনা আকতার লিপি ও সাহাব উদ্দিন, যাঁরা এই কমিটির মূল হোতা, তাঁদের অতীত কার্যক্রম এবং হাসপাতালের সঙ্গে সম্পর্কের ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে হাসপাতালের বৈধ সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে চলমান অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের ফলে, হাসপাতালটির নেতৃত্বের সাথে চট্টগ্রামবাসীর সম্পর্ক ক্ষুণ্ণ হতে পারে। চট্টগ্রামের মানুষের জন্য এই হাসপাতালটি সবসময় তাদের সেবা নিশ্চিত করতে চায়, এবং এই স্থানটির নেতৃত্ব শুধু স্থানীয়দেরই হাতে থাকা উচিত, যা ইতিহাস এবং চট্টগ্রামের চিকিৎসা সেবার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এভাবে, চট্টগ্রামের মানুষকে হাসপাতাল থেকে চাকরিচ্যুত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে এবং চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের নেতৃত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য সচেষ্ট হতে হবে। চট্টগ্রামের জনগণের একত্রিত প্রচেষ্টা এবং সচেতনতা হাসপাতালের সেবার মান বজায় রাখতে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধ করতে সহায়ক হবে।
চট্টগ্রামবাসীকে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আসতে হবে, যাতে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের নেতৃত্ব চট্টগ্রামের মানুষের হাতে অক্ষুণ্ণ থাকে।চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের নেতৃত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার সুগভীর ষড়যন্ত্র চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সদ্য অনুষ্ঠিত গোপন আলোচনা সভার মাধ্যমে একটি পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা প্রকৃতপক্ষে চট্টগ্রামের মানুষের হাত থেকে হাসপাতালের নেতৃত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার একটি সুগভীর ষড়যন্ত্র। এই কমিটি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে নয়; বরং এর লক্ষ্য হলো চট্টগ্রামের মানুষের ঐতিহ্যবাহী নেতৃত্বকে অদৃশ্য করে দেওয়া। এমনকি, হাসপাতালের নামের সাথে “চট্টগ্রাম” যুক্ত থাকলেও, কমিটির নেতৃবৃন্দের অধিকাংশ সদস্য চট্টগ্রামের বাইরের, যা চট্টগ্রামের মানুষের কাছে অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। হাসপাতালের মূল দায়িত্ব নেওয়া সেই ব্যক্তিরা, যাঁরা হাসপাতাল এবং সেবার সাথে সম্পৃক্ত থাকার জন্য চট্টগ্রামের জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন, তাঁদের মূল নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা শুধু জাহাঙ্গীর চৌধুরীর বিষয় নয়; বরং এটি হলো চট্টগ্রামের জনগণের অধিকার হরণ করার একটি তৎপরতা।চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত, এই হাসপাতালটি চট্টগ্রামবাসীর প্রিয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। চিকিৎসা সেবা প্রদানে এর যে সুনাম রয়েছে, সেটি চট্টগ্রামবাসীর অবদান এবং সমিতির নেতৃত্বের মাধ্যমে অর্জিত। কিন্তু এখন, এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের পরিবর্তন করা হলে, তা পুরো হাসপাতালের কার্যক্রম এবং সেবার মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের জনগণের একত্রিত হওয়া প্রয়োজন। সকলের উচিত হাসপাতালের বৈধতা এবং সেবা প্রদানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য সচেতন হওয়া। তাতে যদি কোনো শক্তিশালী গোষ্ঠী বা স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি হাসপাতালের নেতৃত্ব পরিবর্তনের চেষ্টা করে, তাহলে চট্টগ্রামের মানুষ তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে হবে।
চট্টগ্রামের ঐতিহ্য এবং গণমানুষের অধিকার রক্ষার জন্য এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা সকলকে একত্রিত হয়ে লড়াই করতে হবে। চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক হাসপাতালের নেতৃত্ব চট্টগ্রামের মানুষের হাতে রক্ষিত থাকুক—এটাই সকলের কামনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট