আমাকে মাফ করবেন, আবারও রেজাউল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে কলম ধরতে হচ্ছে। এর আগেও আমি তার বিরুদ্ধে একাধিকবার লিখেছি। রেজাউল করিমের অনেক অজানা কাহিনী আমি জানি। তার সব কাহিনী লিখতে গেলে একটি উপন্যাস হয়ে যাবে। তিনি কত কোটি টাকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে আত্মসাৎ করেছেন, কীভাবে বালুর ব্যবসা থেকে টাকা চুরি করেছেন—সবই জানা আছে। আমি একবার তার বালুর টাকা চুরির বিষয়টি উদঘাটন করে তাকে প্রকাশ্যে চরম অপমান করেছিলাম। তাতে তার কোনো লজ্জা হয়নি। আমি তাকে সরাসরি “চোর” বলেছিলাম, আর এতে সাক্ষীও রয়েছে।
আজকের এই লেখাটি আমি এমন এক সময়ে লিখতে বসেছি, যখন আদালত রেজাউল করিমের মেয়র পদকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন এবং ডা. শাহাদাত হোসেনকে বৈধ মেয়র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তবে আমি জানতাম না যে আজ এ রায় ঘোষণা হবে। গতরাত থেকেই আমি ঠিক করেছিলাম যে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আবারও লিখতে হবে।
মূল বিষয় হলো, ২০১৬ সালে ১৫ই আগস্টের শোক দিবস উপলক্ষে নূর সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে নগদ এক লাখ টাকা তৎকালীন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছে পাঠানো হয়েছিল। রেজাউল করিমকে সেই টাকা পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা কল্পনাও করতে পারিনি যে তিনি সেই টাকার ২০ হাজার চুরি করবেন। কিছুদিন পর মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে দেখা হলে তিনি বললেন, “তোমরা কেন পুরো এক লাখ টাকা পাঠাওনি?” আমরা বিস্মিত হয়ে বললাম, “আমরা তো রেজাউল করিমের মাধ্যমে পুরো এক লাখ টাকা পাঠিয়েছি!” তখন মহিউদ্দিন চৌধুরী বললেন, “২০ হাজার টাকা কম ছিল!” এরপর তিনি রেজাউল করিমকে গালিগালাজ করেছিলেন এবং তার আরও নানা অপকর্মের কথা উল্লেখ করেছিলেন।
এই রেজাউল করিমই, যে বঙ্গবন্ধুর শোক দিবসের টাকা চুরি করেছিল, তাকেই শেখ হাসিনা ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বানিয়ে দিয়েছেন। সিটি কর্পোরেশনের ইতিহাসে এমন দুর্নীতিবাজ মেয়র আর কেউ হয়নি। চট্টগ্রামের জনগণ তাকে কখনও ভোট দেয়নি। এই ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নামে পরিচিতি লাভ করলেও, তার কার্যকলাপ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সম্পূর্ণ বিপরীত।
আজ সেই রেজাউল করিম চৌধুরী পলাতক। তার মেয়র পদ অবৈধ ঘোষণা হওয়ায় এবং ডা. শাহাদাত হোসেনকে বৈধ মেয়র ঘোষণা করায় কিছুটা হলেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আরো বিস্তারিত লিখবো ইনশাআল্লাহ।