পটুয়াখালীর বাউফলে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ একটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে মোঃ হাসনাইন(২৩) নামের এক লাইনম্যানের মৃত্যু হয়েছে। আজ(০৩ জুন) সোমবার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর নিমদি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসনাইন ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর চালিতাতলির মো: জামাল হোসেনের ছেলে। নিহত লাইনম্যান হাসনাইন অবিবাহিত ছিলেন।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিরি বাউফল জোনাল অফিসের এজিএম প্রকৌশলী গগন সাহা জানান, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর নিমদি গ্রামে ঘূর্ণিঝড় রেমেলে ক্ষতিগস্থ একটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য বাউফল জোনাল অফিসের লাইন ক্রু লেবেল-১ হাসনাইন বেলা ১১টায় অফিস থেকে বেড় হয়ে যান। তার সাথে জাহিদুল হাসান নামের আরেক লাইনম্যান ছিল। হাসনাইন ওই বাড়ির পাশে একটি বিদ্যুতের খাম্বায় উঠে সংযোগ প্রদানের সময় অসাবধানতাবসত তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে দ্রুত বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
লাইনম্যান জাহিদুল হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির কাছে বিদ্যুতের খাম্বা থেকে সার্ভিস লাইন ছিড়ে যায়। আমিসহ হাসনাইন ওই বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য ঘটনাস্থলে যাই। হাসনাইন বিদ্যুতের খাম্বায় উঠে সংযোগ দেয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ মজিবুর রহমান বলেন,লাইনম্যান হাসনাইন যখন খাম্বায় উঠে কাজ করছিল তখন ওই লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল ছিল। তিনি বেখেয়ালে লাইন শার্টডাউন না করেই কাজ করতে খাম্বায় উঠেন। এসময় অসাবধানতাবসত তার বাম হাতের সাথে বিদ্যুতের একটি তার লোগে যায়। খুঁটির সাথে ওই লাইম্যানের কোমড়ে বেল্ট বাধা থাকায় তিনি নিচে পরে যাননি। পরে তাকে খাম্বা থেকে নিচে নামিয়ে আনা হয় এবং দ্রুত বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান এবং শোকহত সহকর্মীদের সমবেদনা জানান। বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মিরাজিুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই লাইনম্যান হাসনাইন মারা যান।