
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল রোববার নিশ্চিত করেছেন যে তিনি সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরোর সাথে কথা বলেছেন। দুই দেশের মধ্যে তীব্র সামরিক ও কূটনেতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অন্যদিকে কারাকাস মার্কিন হামলার প্রস্তুতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
ক্যারিবীয় অঞ্চলে বিশাল সামরিক বাহিনী গঠন, মাদুরোর পরিচালিত অভিযুক্ত একটি মাদক কার্টেলকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা এবং ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা “বন্ধ” থাকার অশুভ সতর্কবার্তার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
ওয়াশিংটন বলছে, গত সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া সামরিক মোতায়েনের লক্ষ্য হল এই অঞ্চলে মাদক পাচার রোধ করা। যদিও কারাকাস বলেছে, ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তন করাই যুক্তরাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য।
গতকাল রোববার এয়ার ফোর্স ওয়ানে আলাপচারিতা কেমন ছিল জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলব না এটা ভালো হয়েছে বা খারাপ হয়েছে। এটা শুধুই একটা ফোনালাপ ছিল।
গত শুক্রবার নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে যে ট্রাম্প এবং মাদুরো একটি সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেছেন। অন্যদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল শনিবার জানিয়েছে যে কথোপকথনে মাদুরো পদত্যাগ করলে সাধারণ ক্ষমার শর্তও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গতকাল রোববার সিএনএন-এর ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ টক শোতে রিপাবলিকান সিনেটর মার্কওয়েন মুলিন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোকে তার দেশ ছেড়ে রাশিয়া বা অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে।
ভেনেজুয়েলার প্রয়াত বামপন্থী নেতা হুগো শ্যাভেজের রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী মাদুরোকে ‘কার্টেল অফ দ্য সানস’-এর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে এবং তাকে ধরার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করেছে।
সূত্র : খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।