ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফতেহপুর ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার জুঁইকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা।
জুই ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজ থেকে ২০২৪ সালে এইচএসসি পাস করে নবীনগর সরকারি কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়েছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, জুঁইয়ের মরদেহ উদ্ধারের পর তখন ওই পুকুরে জিনের আছরে জুঁইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। তবে ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এটি অপপ্রচার। মূলত জুঁই দেখতে খুবই সুশ্রী ছিল।
ঐ গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজের প্রাক্তন ছাত্র আল মামুন ও রিফাত সরকার, বলেন স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি বেশ কৌতূহল সৃষ্টি করছে,এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড যার কারন জুইয়ের পরনের জামার পিছনের অংশ দিয়ে তার মুখ বাধা ছিল এবং গলায় ও শরিলের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গে আঘাতের চিন্ন পাওয়া যায়। জুই খুব ভাল নমর ভদ্র স্বাবের ছিল।
এদিকে, জুঁইয়ের পরিবারও প্রথমে এটিকে জিনের আছর বললেও, এখন এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে এটি হত্যাকাণ্ড দাবি করে খুনিদের গ্রেপ্তার দাবি করছেন।
মানববন্ধন অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিশ্বাস, তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে খুনিরা। সে জন্যই আমরা আজ এই হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি করেছি
কলেজের অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন বলেন, জুঁইয়ের এ মৃত্যু আমরা কেউ মানতে পারছি না। তাই অবশ্যই এ মৃত্যুর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনূর ইসলাম বলেন, জুঁইয়ের মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করেনি। এরপরও আমরা ময়নাতদন্ত করেছি।
বর্তমানে পিবিআইসহ একাধিক পুলিশের সংস্থা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।