গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামে ঝোপের ভেতর থেকে মমতাজ বেগম (৪৫) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা প্রকাশ পেলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নিহত মমতাজ বেগম ওই গ্রামের মৃত আ. মজিদ চৌধুরী ওরফে বাদশা মুন্সির স্ত্রী। তিনি শুক্রবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার দুপুরের আগে বাড়ির পেছনের ঝোপে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাসুদ মিয়ার নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ সময় সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
এদিকে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের দাবি, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মমতাজ বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, নিহতের ছেলে, পুত্রবধূ ও ভাসুরের ছেলে এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে ওসি তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন,
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিহতের তিন ছেলে আব্দুল গফুর, নুর আলম, সজীব এবং পুত্রবধূকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাটিকে ঘিরে এলাকায় শোকের পাশাপাশি উত্তেজনা বিরাজ করছে।