“চন্দনাইশ থানায় পুলিশের সফল অভিযান: এলজি ওয়ান শুটারসহ অস্ত্রধারী গ্রেফতার-
ওসি গোলাম সারোয়ারের যোগদানের পর আইনশৃঙ্খলায় দৃশ্যমান উন্নতি–
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানায় পুলিশ অদ্য ২৭ আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার দুপুরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এক অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করেছে। এদিন দুপুর আনুমানিক ১৪:৪৫ ঘটিকার সময় হাশিমপুর ইউনিয়নের ছৈয়দাবাদ-উত্তর হাশিমপুর রেলস্টেশনগামী পাকা রাস্তা সংলগ্ন বোবার বাড়ির বিপরীতে অবস্থিত মাসুদ এন্টারপ্রাইজ ইট-বালুর দোকানের সামনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে পুলিশ মোঃ মাহবুবুল আলম (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তিনি মৃত-আব্দুল মোনাফ ও মৃত-মরিয়ম খাতুনের পুত্র এবং সাং-উত্তর হাশিমপুর, ছৈয়দাবাদ ওয়ার্ড নং ০১, থানা চন্দনাইশ, জেলা চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তার পরিহিত লুঙ্গির কোচে কোমরে গুঁজে রাখা একটি এলজি ওয়ান শুটার গান এবং দুইটি সীসা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত কার্তুজের মধ্যে একটি অস্ত্রের ভেতরে লোড অবস্থায় ছিল এবং অপরটি হাতে ধরা ছিল। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অস্ত্র জব্দ করে এবং আসামিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বর্তমানে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ওসি গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে সাফল্য-চন্দনাইশ থানার এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার। তিনি এর আগে বোয়ালখালী থানায় দায়িত্ব পালনকালে এলাকাবাসীর আস্থা অর্জন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধন করেছিলেন। তার সৎ, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মনোভাব বোয়ালখালীকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের একটি উদাহরণে পরিণত করেছিল।
চন্দনাইশ থানায় যোগদানের পর থেকেই তিনি দৃঢ় হাতে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। তার নেতৃত্বে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী, অস্ত্রধারী ও নানা অপরাধীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ফলে দিনদিন চন্দনাইশ থানার জনগণের মধ্যে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, ওসি গোলাম সারোয়ার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে থানার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা বেড়েছে, যা আগে এভাবে চোখে পড়েনি।
অপরাধ দমনে দৃঢ় অঙ্গীকার-
চন্দনাইশ থানার ওসি গোলাম সারোয়ার জানিয়েছেন, সমাজ থেকে অপরাধ দমন করা পুলিশের অন্যতম দায়িত্ব। তিনি বলেন,
“কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক, অস্ত্র বা চাঁদাবাজি—যেই অপরাধেই জড়িত থাকুক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, আর এই বিশ্বাসকে বাস্তবে প্রতিষ্ঠা করাই আমার প্রধান লক্ষ্য।” স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া- অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অস্ত্রধারী ও অপরাধীদের তৎপরতায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত ছিল। স্থানীয়দের একাধিকজন জানিয়েছেন, পুলিশের এই তৎপরতা তাদের নিরাপত্তাবোধকে বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা মনে করছেন, ওসি গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে চন্দনাইশ থানা নতুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
সার্বিক চিত্র- ওসি গোলাম সারোয়ারের কঠোর অবস্থান ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা চন্দনাইশ থানায় আইনশৃঙ্খলার মান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। নিয়মিত টহল, বিশেষ অভিযান, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ—সবকিছু মিলিয়ে থানার কর্মকাণ্ডে একটি নতুন গতি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
এই অভিযানের মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হলো যে, সঠিক নেতৃত্ব ও আন্তরিক প্রয়াস থাকলে অপরাধ দমন করা সম্ভব। চন্দনাইশ থানায় পুলিশের এ সফলতা শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার উদাহরণ নয়, বরং পুলিশের ভাবমূর্তিকে জনগণের কাছে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।