জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নে জমি রক্ষার জন্য ইউএনওর কাছে আবেদন দিয়েছেন ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম বিএসসি।সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত আবেদন জমা দেন।
আবেদনেউল্লেখ করা হয়, নিম্ন তফসিল বর্ণিত সিএস ও আরওআর রেকর্ডীয় প্রজা লিখন মন্ডলের পরবর্তী ওয়ারিশগনের নামে বিআরএস ১৭ নং খতিয়ানে ৯৫২, ৯৫৯ নং দাগে যথাক্রমে ১.৮৮ একর ও.৪২ একর একুনে ২.৩০ একর ভূমি স্বত্বলিপি হইয়া চূড়ান্তভাবে প্রচার ও প্রকাশ থাকে। বিআরএস ১৭ নং খতিয়ানে মহেজ মন্ডল ০৪৫ হিস্যায় ১০৭৫ একর ভূমি প্রাপ্ত হইয়া বিআরএস ৯৫২ নং দাগে স্বত্ব ভোগ দখলকার বিদ্যমান আছেন। উক্ত বিআরএস ১৭ নং খতিয়ানে সুজায়েত আলী (.০৩৬ হিস্যা), ছালেহা খাতুন (০১৮ হিস্যা) এবং রহিমা বেওয়া (০৩৮ হিস্যা) একত্রে (২.৩০০.০৯২) = ২১১৬ একর ভূমির বিআরএস রেকর্ডীয় মালিক বটে। সুজায়েত আলী নালিশী ভূমি নিজ নামে জমাখারিজ করিয়া স্বত্ব ভোগ দখলকার বিদ্যমান আছেন।
মহেজ মন্ডলের মৃত্যুতে তিন পুত্র ১) মোঃ আবুল মনছুর ২) আমিনুল ইসলাম ৩) মিনহাজুল মোর্শেদ, দুই কন্যা ১) ফজিলা ২) হামিদা এবং এক স্ত্রী মালেহা বেগম ওয়ারিশ বিদ্যমান থাকিয়া ১০৭৫ একর ভূমি এজমালিতে স্বত্ব ভোগ দখলকার বিদ্যমান থাকেন।পক্ষান্তরে বিআরএস রেকর্ডীয় মালিক আজিম উদ্দিন ৪১৫ হিস্যায় ৯৫৪৫ একর ভূমি স্বত্ব ভোগ দখলকার বিদ্যমান থাকেন। আজিম উদ্দিন বিআরএস অপরাপর প্রজার সহিত মৌখিক আপোষ ঘরোয়া বন্টন মূলে বিআরএস ৯৫২ নং দাগে ৭০ একর এবং ৯৫৯ নং দাগে ২৬ একর ভূমিতে স্বত্ব ভোগ দখলকার বিদ্যমান থাকেন। আজিম উদ্দিনের মৃত্যুতে তাহার ওয়ারিশগণ তাহাদের প্রাপ্ত হিস্যার ভূমি নিয়ে ৭১৮৬ নং বন্টন নামা মূলে নালিশী বিআরএস ৯৫২ নং দাগে সামছুল আলম (২য় পক্ষ) ১১ একর ভূমি প্রাপ্ত হন এবং ১ম পক্ষ সুরুজ্জামান, কলিম উদ্দিন ও দুলাল নালিশী বিআরএস ৯৫২ নং দাগে ৩৩ একর ভূমি প্রাপ্ত হন। উল্লেখিতভাবে কলিম উদ্দিন ৭১৮৬ নং রেজিঃ দলিলমূলে বিআরএস ৯৫২ নং দাগে ১১ একর ভূমি প্রাপ্ত হন। উক্ত কলিম উদ্দিন বিগত ২৬/১২/১৯৯৬ ইং তারিখের ৬২৭১ নং দলিলমূলে ১২৭৫ একর ভূমি বেগম বিবি বরাবর বিক্রয় হস্তান্তর করিয়া নিঃস্বত্ববান হন। কলিম উদ্দিন উল্লেখিত ৬২৭১ নং দলিলমূলে নালিশী দাগে নিঃস্বত্ববান হওয়া স্বত্বেও বিগত ০৮/০৯/১৯৯৭ ইং তারিখের ৪৭৭২ নং দলিলমূলে ০৯ একর ভূমি জনৈক খলিলুর রহমান বরাবর বিক্রয় হস্তান্তর করেন। ৪৭৭২ নং দলিলমূলে উল্লেখিত খলিলুর রহমান নালিশী দাগে কোন স্বত্ব স্বার্থ অর্জন করেন নাই। বিধায় উক্ত খলিলুর রহমানের ক্রেতা হিসেবে মতিউর রহমান গং নালিশী দাগে কোনরূপ স্বত্ব স্বার্থ বা দখল অর্জন করেন নাই। এছাড়াও উল্লেখিত খলিলুর রহমানের সহিত নালিশী দাগ খতিয়ানের ভূমির বিষয়ে অত্র দরখাস্তকারী পক্ষের মধ্যে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত, মেলান্দহ, জামালপুরে ২৩৬/২০২৪ অন্য প্রকার, ৫৯/২০২৫ অন্য প্রকার ও ৩১/২০২২ অন্য প্রকার মোকদ্দমা বিচারাধীন রহিয়াছে। নালিশী ভূমির বিষয়ে উল্লেখিত সিভিল মোকদ্দমা সমূহ বিচারাধীন থাকা সত্বেও খলিলুর রহমান নালিশী ভূমির বিষয়ে মতিউর রহমান গং এর বরাবর রেজিঃ দলিল সম্পাদন করিলেও সরেজমিনে কোন দখল অর্পন করেন নাই। যেহেতু নালিশী ভূমির বিষয়ে একাধিক সিভিল মোকদ্দমা বিচারাধীন রহিয়াছে বিধায় সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ এর ৫২ ধারার (Lis Pendense) বিধান মতে উল্লেখিত হস্তান্তর বারিত বটে।
উল্লেখিত মতিউর রহমান গং বর্তমানে তর্কিত হস্তান্তরকে পুঁজি করিয়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট মিথ্যা তথ্য সম্বলিত অভিযোগ দিয়া দরখাস্তকারী পক্ষকে তাহাদের স্বত্ব দখলীয় নালিশী দাগের ভূমি হইতে মব জাস্টিসের মাধ্যমে বেদখল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রহিয়াছে। এমতাবস্থায় সত্য ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে দরখাস্তকারী পক্ষ তাহাদের স্বত্ব দখলীয় নিম্ন তফসিল বর্ণিত ভূমি হইতে উল্লেখিত মতিউর রহমান গং যাহাতে মব জাস্টিসের মাধ্যমে বেদখল করিতে না পারে তৎমর্মে বিহীত আদেশের প্রার্থনায় অত্র দরখাস্তমূলে আবেদন করিতেছে।
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস এম আলমগীর বলেন, লিখিত আবেদন দিয়েছে। আমরা উভয় পক্ষকে ডেকে কথা বলবো।