পঞ্চগড়ের বোদা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মোঃ রায়হান ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন স্টেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্টেশনে যোগদানের পর থেকেই তিনি প্রতিদিনের মতো সহকর্মীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। প্রায় সবার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন, এমনকি কয়েকজনের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটিয়েছেন।
কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ইন্সপেক্টর রায়হান ইসলাম নিয়মিতভাবে সহকর্মীদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সহকর্মীদের হুমকি দেন এবং বলেন, ‘তোরা আমার কিছুই করতে পারবি না।’ অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বাজার থেকে মাছ-মাংস ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী ক্রয়ের পর স্টেশনের মেসে রান্না করান, কিন্তু খরচ বহন করেন না। বরং বাসায় নিয়ে যান এবং ভাতের অংশও জোরপূর্বক সরিয়ে নেন। অন্যদিকে, সবজি রান্নার দিনে মিল বন্ধ রাখেন। এ নিয়ে কেউ আপত্তি তুললে হুমকি ধামকি দেন। তাছাড়া, অফিসের কাজে বাইরে গেলে সহকর্মীদের মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন। কেউ অস্বীকৃতি জানালে হুমকি দেন। শুধু তাই নয়, তিনি কর্মীদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে কটূক্তি করেন এবং আত্মীয়স্বজন স্টেশনে এলে তাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। স্থানীয় দোকানদারদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে নেতাদের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব খাটান।
অভিযোগে বলা হয়, এ ধরনের আচরণের কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্টেশন সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সহকারী পরিচালক (দিনাজপুর) ও উপসহকারী পরিচালক (পঞ্চগড়) বিষয়টি জানেন এবং একাধিকবার বোদা ফায়ার স্টেশনে গিয়ে রায়হান ইসলামকে সতর্ক করেছেন, কিন্তু তিনি পরবর্তীতে আগের মতোই খারাপ আচরণ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্টেশনের কর্মীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। এতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অভিযোগপত্রটি রংপুর বিভাগের উপপরিচালকের কাছে জমা দেওয়ার পাশাপাশি মহাপরিচালক (ঢাকা), পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), সহকারী পরিচালক (দিনাজপুর) এবং উপসহকারী পরিচালক (পঞ্চগড়)-এর কাছেও প্রেরণ করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের রংপুর বিভাগের উপপরিচালক এ বিষয়ে জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবঝির অবসান ঘটনো হয়েছে।
এ বিষয়ে বোদা ফায়াস সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মোঃ রায়হান ইসলাম বলেন, আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। উর্দ্বতন কর্মকর্তরা আমাদের মধ্যে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছেন বলে জানান