সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে জেলার বিজয়নগর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
আজ বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০ থেকে ৩ ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।বিক্ষোভকারীরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) এর সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এ ইউনিয়নগুলো হলো, বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুর। ভৌগোলিক ভাবে এ ইউনিয়নগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নিকটবর্তী এবং রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন।এ পরিবর্তনের খবর পেয়ে বিজয়নগর উপজেলাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। মহাসড়ক অবরোধে কারণে সড়কের দু’পাশে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা দুপুর ১টার দিকে অবরোধ তুলে নেন।আন্দোলনকারীরা বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে তিতাস পূর্বাঞ্চলের ১০টি ইউনিয়নকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে চক্রান্ত চলছে। আমাদেরকে অবহেলিত করে রাখা হয়েছে। এখন আবার বিজয়নগর উপজেলাকে দ্বিখণ্ডিত করার মাধ্যমে আমাদের এলাকার উন্নতি ব্যাহত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এমন জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে তার বিরুদ্ধে বিজয়নগর উপজেলাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে।”এদিন বিজয়নগর উপজেলাবাসী এ উপজেলাকে দ্বিখণ্ডিত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং পূর্বের সংসদীয় আসন ব্রাহ্মণবাড়িযা-৩ (সদর-বিজয়নগর) এ বহাল রাখার দাবি জানান।এসময় উপস্থিত ছিলেন দ্বিখণ্ডিত বিজয়নগর প্রতিরোধ সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ উপজেলার সর্বস্তরের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ।উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় সংসদের ৩৯টি আসনের সীমানায় রদবদল এনে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সীমানায় রদবদল এনে খসড়া এ তালিকার ওপর আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত অভিযোগ, দাবি ও আপত্তি জানানোর সুযোগ রয়েছে। এসব দাবি-আপত্তি শুনানি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।