টাঙ্গাইলে মালয়েশিয়া কোম্পানি ও প্রবাসী শতাধিক শ্রমিকদের ৫ লক্ষ ৫৬ হাজার রিংগিত বাংলাদেশে দেড় কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে থাকা প্রতারক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। শনিবার ১৬ আগস্ট দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন সিরাজগঞ্জের শাফিকুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৩০ বছর ধরে মালয়েশিয়া ব্যবসা করে আসছেন তিনি৷ । ব্যবসার সুবাদে পরিচয় হয় টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার আঘদিঘিলিয়া গ্রামের আনছার আলীর ছেলে মো: হাবিবুর রহমানের সাথে। তিনি এসএম মাজু কেকাল এসডিএনবিএইচডি কোম্পানি আর এ কনাষ্ট্রাকশন এন্টারপ্রাইজের ইনচার্জ। পরিচয়ের সুবাধে হাবিবুর রহমান বলেন তার কোম্পানিতে অনেক শ্রমিক লাগবে। পরে ধাপে ধাপে প্রায় ১০০ শ্রমিক কাজের জন্য তার কোম্পানিতে পাঠাই। মৌখিক চুক্তি হয় যে প্রতি মাসে তিনি শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করবেন। কিন্তু হাবিব ১ম ২য় ও ৩য় মাস চলে গেলেও শ্রমিকদের কোন বেতন পরিশোধ না করলে আমি তাকে চাপ প্রয়োগ করি। ৪ মাসে গিয়ে তিনি ১মাসের কিস্তি পরিশোধ করেন। কিন্তু আমি শ্রমিকদের ২য়,৩য় ও ৪র্থ এই তিন মাসের বেতন পরিশোধ করি। বাকী টাকা হাবিবের কাছে চাইলে তিনি বলেন দেব। এই অবস্থা চলতে থাকে বেশ কিছুদিন। বার বার তাগাদা দিলে তিনি বলেন কোম্পানি থেকে টাকা পাই নাই। পরে আমি তার কোম্পানিতে খোঁজ কবর নিয়ে দেখি কোম্পানি থেকে সমস্ত বেতন তুলে নিয়েছে অথচ আমার টাকা দিচ্ছে না। হাবিবের এই প্রতারণা যখন আমরা বুঝতে পারি তখন মালয়েশিয়া তার কোম্পানির মালিকের সাথে যোগাযোগ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। একটি সময় মালয়েশিয়া পুলিশ হাবিবকে উপস্থিত হতে বলেন। কিন্তু তিনি থানায় উপস্থিত না হয়ে সেই এলাকা থেকে পালিয়ে অন্য এলাকায় চলে যায়। পুলিশ তাকে বার বার ডাকলেও তিনি হাজির হয়নি। একসময় আমি বাংলাদেশে এসে তার বর্তমান ঠিকানা সন্তোষ রথখোলায় গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করি কিন্তু হাবিব উপস্থিত না হয়ে তার স্ত্রী ও ছেলে এসে ১ সপ্তাহের সময় নিলেও সেই সপ্তাহ আর আসে নাই। এছাড়া হাবিব উল্টো মামলা দায়ের করেন। আমরা কোন উপায় না পেয়ে আর এ কনাষ্ট্রাকশন এন্টারপ্রাইজ কোম্পানির মালিক সারিমা বিনতে নাসিপ কে নিয়ে বাংলাদেশে আসি। সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন ও মো সোহেলসহ ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।