বর্তমানে পীরগঞ্জ পৌর এলাকা সহ ১০টি ইউনিয়নে জমি জমার বিরোধ ব্যাপক হারে বাড়ছে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিরোধ নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করলেও দালালদের কারণে প্রতিকার মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে অসহায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভের শেষ নেই। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে জমির জমার বিচারের জন্য পক্ষগণ লিখিত ভাবে চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ দাখিল করলেও দালালদের কারণে ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপর দিকে প্রতিদিন পীরগঞ্জ থানায় অনেক অভিযোগকারীরা জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে থানায় অভিযোগ করেন। আদালতে জমি জমার মামলার জট নিরসনের জন্যে থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে নিয়ে দেনদরবার করে নিরসন করার চেষ্টা করেন। বিজ্ঞ আইনজীবিদের পরামর্শ নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কিছু সফলতা পেয়েছে ভুক্তভোগীরা। অধিকাংশ অভিযোগ পত্র স্থানীয় দালালদের কারণে নিরসন হচ্ছে না। সম্প্রতি পীরগঞ্জ উপজেলার ৩নং খনগাঁও ইউনিয়নে ঝড়ু চন্দ্র রায়, পুতুল চন্দ্র রায়, সৈয়দপুর ইউনিয়নে কোঠাপাড়া গ্রামে সাইফুল ইসলাম, রঘুনাথপুর মহল্লার আমরুনা বেগম, কালোপীর নিয়ামত গ্রামে আশরাফুল আলম বাদল, রঘুনাথপুর আরজিনা বেগম, নাকাটি হাট এলাকার মসলিম উদ্দীন সহ শতাধিক ব্যক্তির জমি জমার অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়নি দালাল ও স্থানীয় দেউনিয়াদের কারনে। থানা পুলিশ আন্তরিক ভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্যে একাধিকবার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও বিরোধ নিরসনে দালালরা একটা বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। জমি জমার বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে পুলিশকে কোন ক্ষমতা দেওয়া না হলেও অসহায় ও গরীব মানুষের দিক বিবেচনা করে থানা পুলিশ মানবিক কারনে বিরোধ নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। জমি জমার বিরোধ কে কেন্দ্র করে কিছু কিছু জায়গায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলম জানায়, জমি জমার বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যপারে পুলিশের কোন ক্ষমতা নেই। অসহায় ও গরীব মানুষের দিক বিবেচনা করে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়। দালালদের কারণে অনেক সময় বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয় না।