পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা লঞ্চঘাট সংলগ্ন ভাংড়া গ্রাম এখন নদীভাঙনের নির্মম থাবায় ক্ষত-বিক্ষত। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে, যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে গুরুত্বপূর্ণ মেইনরোড। এর সঙ্গে সঙ্গে নদীগর্ভে হারিয়ে যেতে পারে শত শত ঘরবাড়ি, স্কুল, মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও।
স্থানীয়দের অভিযোগ—বছরের পর বছর ধরে ভাঙন চললেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। নদী গিলে খাচ্ছে বসতভিটা, জমি, জীবন ও স্বপ্ন। প্রশাসনের নিরবতা আর দায়িত্বহীনতায় আজ হুমকির মুখে পুরো ভাংড়া অঞ্চল। জনগণের প্রশ্ন—প্রতিবার ভাঙন শুরু হলে আশ্বাস মেলে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।
তীব্র দাবি উঠেছে, অবিলম্বে ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে শক্তিশালী বাঁধ, পাইলিং ও জিও ব্যাগ ফেলা হোক। তা না হলে একমাত্র সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং শতাধিক পরিবার চিরতরে আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে।
এ যেন নিছক প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, এটি উদাসীনতা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার নির্মম পরিণতি।