পাঁচবারের সেরা ওসি আফতাব উদ্দিন: চট্টগ্রাম পুলিশের গর্ব, জনগণের আশার প্রতীক-
চন্দগাঁওয়ের সাহসী নেতৃত্ব এখন যাচ্ছে বন্দরের দায়িত্ব নিতে”
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ইতিহাসে কিছু নাম থাকে যেগুলো যুগের পর যুগ মনে রাখা হয় নিষ্ঠা, সততা ও সাহসিকতার জন্য। ঠিক তেমনি এক উজ্জ্বল নাম—ওসি মো. আফতাব উদ্দিন। যিনি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের চন্দগাঁও থানায় একটানা নয় মাস দায়িত্ব পালন করে জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন এবং অপরাধ দমনের ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর এই অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে একটানা পাঁচবার ‘সেরা ওসি’র স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই বিরল অর্জন শুধু তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এটি গোটা পুলিশের মর্যাদা ও সক্ষমতারও প্রতিচ্ছবি। এবং ঠিক এই কারণেই সিএমপি’র সুযোগ্য পুলিশ কমিশনার জনাব হাসিব আজিজ সাহেব তাঁকে সম্মানসূচকভাবে বদলি করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ থানা—চট্টগ্রাম বন্দর থানায়।
চন্দগাঁওয়ের চ্যালেঞ্জ ছিল কঠিন, দায়িত্ব ছিল আরও কঠিনতর-ওসি আফতাব উদ্দিন যখন চন্দগাঁও থানায় দায়িত্ব নেন, তখন সময়টা ছিল কঠিন। একদিকে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও পারিবারিক সহিংসতার মতো বহুমুখী সমস্যা, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিল আইনের প্রতি অনাস্থা ও নিরাপত্তাহীনতা। এই সময়েই ওসি আফতাব উদ্দিন দায়িত্ব নেন শুধু একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে নয়, একজন সাহসী অভিভাবকের মতো। তিনি দৃঢ়হাতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করেন, মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালান, এবং জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে থানাকে জনগণের আস্থার কেন্দ্রে পরিণত করেন। তাঁর নেতৃত্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, অজানা অপরাধের রহস্য উদ্ঘাটন এবং সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের সমস্যার দ্রুত সমাধান—সব মিলিয়ে চন্দগাঁও থানা হয়ে ওঠে এক নতুন মডেল। পাঁচবার সেরা হওয়ার পেছনে জনগণের ভালোবাসা-আসলে মানুষ যখন কারও ভেতরে নিষ্ঠা ও ন্যায়ের স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়, তখন তারা সেই মানুষকে ভালোবাসতে বাধ্য হয়। ওসি আফতাব উদ্দিন ঠিক এমনই একজন পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি অফিসের দরজা বন্ধ করে বসে থাকেননি, বরং জনগণের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর কাছে সাধারণ মানুষ ছিল বন্ধু, আত্মীয় এবং সর্বোপরি দায়িত্ব।সাহসিকতা, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং দল পরিচালনার অসাধারণ দক্ষতার কারণে একটানা পাঁচবার সিএমপি’র পক্ষ থেকে সেরা ওসি নির্বাচিত হওয়া তার যোগ্যতার প্রকৃত স্বীকৃতি। এটি কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং একটি সুসংগঠিত, পরিশ্রমী ও নৈতিক নেতৃত্বের ফলাফল। বন্দরবাসীর আশাবাদ: অপেক্ষায় নতুন এক নিরাপত্তার সময়- চট্টগ্রাম বন্দর থানা শুধু একটি এলাকা নয়, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদস্পন্দন। এই এলাকায় রয়েছে হাজারো ব্যবসায়ী, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শ্রমিক, এবং দেশের বৃহত্তম বন্দরের নিরাপত্তা। এখানে একজন দক্ষ, বিচক্ষণ এবং নিষ্ঠাবান পুলিশ অফিসার প্রয়োজন—এমন একজন, যিনি মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, আবার প্রতিটি সমস্যার গভীরে গিয়ে তার সমাধান করতে পারেন। ওসি আফতাব উদ্দিন ঠিক তেমনই একজন নেতা। তাই তাঁর বদলির খবরে চন্দগাঁওবাসী যেমন এক ধরনের শূন্যতা অনুভব করছে, তেমনি বন্দর এলাকার মানুষ আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষা করছে—”আসছেন সেই মানুষ, যিনি অপরাধের বিরুদ্ধে লড়তে জানেন, আর ভালোবাসা দিয়ে জয় করতে জানেন”।
পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের প্রশংসা-এখানে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য একজন ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার জনাব হাসিব আজিজ। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, সত্যিকারের মেধা, নিষ্ঠা ও সাহসের স্বীকৃতি কীভাবে দিতে হয়। একজন দক্ষ ওসিকে জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বদলি করে তিনি কেবল ব্যক্তিকে সম্মান জানাননি, বরং পুরো পুলিশ বাহিনীকেই এক অনন্য বার্তা দিয়েছেন—”যে ভালো কাজ করবে, সে তার পুরস্কার পাবেই”। জনগণ আজ এই দূরদর্শী ও নীতিনিষ্ঠ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। শেষকথা-পুলিশ অফিসারদের মূল্যায়ন তখনই সঠিক হয়, যখন তারা শুধু কর্তব্যপরায়ণ হন না, মানুষের পাশে দাঁড়ান—অন্ধকারের ভেতর আলো জ্বালানোর সাহস দেখান। ওসি মো. আফতাব উদ্দিন ঠিক এমন একজন আলোর দিশারি। চন্দগাঁওয়ের মানুষ তাঁকে মিস করবে, তবে বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র—চট্টগ্রাম বন্দর এখন পেতে যাচ্ছে নতুন এক সূর্যোদয়। আমরা বিশ্বাস করি, তার বিচক্ষণতা, সাহস ও জনবান্ধব পুলিশিং-এর গুণাবলি চট্টগ্রাম বন্দর থানাকেও করে তুলবে অপরাধমুক্ত, শান্তিময় ও সুশৃঙ্খল এক জনপদ।