বায়েজীদ কিশোর গ্যাং এর অভয়ারণ্য ➤ বায়েজীদ কিশোর গ্যাং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রাণ হারায় বেশ কয়েক জন।➤ কিশোর গ্যাং কোন রাজনীতির দলের সাথে সম্পৃক্ততা থাকেনা ➤কিশোর গ্যাং আধিপত্য বিস্তার সময় নেতাদের নাম জড়ানোর কারণে হয়রানির শিকার হয়েছে অনেক নেতার। এতে পদ পদবী হারানো মত ঘটনাও ঘটেছে।
দেশে আবারও মাথা চারা দিয়ে উঠেছে কিশোরগ্যাং কালচার দেশে অতিতে এই গ্যাং হাতে প্রন গিয়েছে ভহু মানুষের। তারি ধারাবাহিক কতায় এখন মিরসরাইয়ে প্রতিনিতয় বারছে কিশোরগ্যাং এর ভয়াবহতা।চোখে স্কুলের চশমা, গায়ে ইউনিফর্ম অথবা ঘরের জামা, কিন্তু হাতে ধরা চাইনিজ কুটার বা কুড়াল! বয়স মাত্র ১৫-১৬, অথচ তাদের আচরণ যেন ভয়ংকর অপরাধীর মতো। এই গ্যাং গুলো নেতৃত্বে থাকে কয়েকজন যারা তাদের তুলন কিছুটা বয়স বেশি ২০-২৫, যাদের নেই কোন রাজনৈতিক পরিচয় ও পদ পদবী, তাদের কৌশল থাকে কোন নেতা তাদেরকে চেনো বা না চেনো তাদের মিছিল মিটিং এর সাথে কোনভাবে সম্পৃক্ততা হয়ে এক থেকে দুইটি ছবি তুলেই সেই নেতার নাম বিক্রি কর আধিপত্য বিস্তারে চেষ্টা ও গোপনে চলে কিশোরদের মাঝে মাদক ছড়িয়ে দেয়া এক মহা উৎসব। আধিপত্য বিস্তার ও মাদক কেন বেচে নিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মামলা হামলায় হয়রানি শিকার হতে হয় নেতাকর্মীদের। বায়েজীদ এলাকায় কয়েকটি গ্যাং নিয়ে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য,কিশোর গ্যাং গুলোকে ভালো করে কোন নেতাকর্মী না চিনলেও তাদেরকে কৌশলে ফাসানো হয় গ্যাং মামলা।তাদের নিখুঁত পরিকল্পনায় তাদের সাথে নেতাকর্মীরা মামলার আসামি হলে এলাকায় ভারে প্রভাব ও নেতাকর্মীর দৌলতে জামিনের বের হওয়ার সুযোগ। তাদের নিখুঁত পরিকল্পনায় যেন অসহায় বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা।অনুসন্ধানে উঠে আসে ভয়ংকর কয়েকটি গ্যাং এর নাম, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোহাম্মদ মানিক পিতা অগ্যত, সাব্বির পিতা আক্কেল আলি,ডিঘির পস্চিম পাড়। হান্নান ( পিচ্চি হান্নান) গ্যং লিডার লিগ কর্মি,ইমন লিগ কর্মি,সিপন মাতা আয়সা লিগ কর্মি,দীঘীর পূর্ব পাড়। মুরাদ(সেভেন মুরাদ) গ্যং লিডার লিগ কর্মি,আমজাদ,সোহেল(কালা),বনফুল ফ্যক্টরির সামনে। মহিউদ্দিন গ্যং লিডার পিতা নূরইসলাম, সাজ্জদ (কালা সাজ্জাদ) রাসেল(কল্লা রাসেল) পিতা নাসির,দীঘির পস্চিম পাড় হাসান(টোকাই হাসান) গ্যং লিডার পিতা ইসমাইল(চোরা ইসমাইল),।মাইস পাড়া। বনফুলের সামনে জুয়ার আড্ডা বসায় দোকান্দার ইসমাইল। ইমন গ্যাং এর প্রধান ইমন শের্শাহ কলোনির বনফুল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। বিগত দিনে বেশ কয়েকবার রেপিডাকশন ব্যাটালিয়ন র ্যাব ৭ এর কিশোর গ্যাং অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে বলে জানা যায়।
এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয় নেতা সাইফুলের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
বিগত ১৮ বছর আমি ও আমরা পরিবারের পাঁচ ভাই নির্যাতিত ৫ই আগস্ট ফ্রেসিস্ট সরকার পতনের পর ভেবেছিলাম আমরা এসব হয়রানি থেকে রক্ষা পাবো। আমরা যখন বিএনপি করতাম সেই ক্ষেত্রে মিছিল মিটিং ও সামাজিক কাজের জন্য জমায়েত হলে এইসব কিছু কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা এসে গোপনে আমাদের জমায়েতের সাথে মিলিত হয়ে ছবি তুলে ছোটকে পড়ে। পরবর্তীতে এসব ছবি দেখিয়ে আমাদের সাথে রাজনীতি করে বলে মানুষকে ভয়-ভীতি ও চাঁদা আদায় করে। অনেক সময় জানতে পারি তাদের মাদক ব্যবসা সেফটি গার্ড হিসেবে আমাদের সম্মানগুলো ও লোকের সমর্থন ব্যবহার করার চেষ্টা করে বিভিন্ন গুপ । এসব বিষয় আমরা প্রতিবারই জানতে পারি ঘটনা ঘটে যাওয়ার অনেক পরে কতক্ষণে আমরা কয়েকটি মামলার আসামি হয়ে পড়ি। এসব কিশোর গ্যাং এর হাত থেকে আমাদের রক্ষা করার জন্য প্রশাসনিক দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা যারা রাজনীতিকে ভালোবেসে মনে ধারণকরে দলকে সাপোর্ট করে, আমাদের পক্ষে কখনোই সম্ভব নয় কাউকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করা, জমি দখল করা ও চাঁদায় আদায় করা।এসব কার্যক্রমের বিষয় প্রতিবাদ করতে আমাদেরকে অনেক আগেই অবগত করেছে আমাদের সবার প্রিয় নেতা তারেক রহমান।