1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
যাত্রী অধিকার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দুই দশকের বেশি বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জয়পুরহাটে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল হটহাজারী মির্জাপুর ইউনিয়ন যুব বিভাগের নতুন সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্বাচিত দালাল বসে কম্পিউটারে, রাষ্ট্রীয় তথ্য যেন হুমকির মুখে! সীতাকুণ্ডে চাঁদার টাকা না পাওয়ায় ঘর ভাংচুর গোপালগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভে উত্তাল গাইবান্ধা! বাসি গ্রিল বিরিয়ানি অস্বাস্থ্যকর ভাবে সংরক্ষণ,রেস্টুরেন্ট কে ৩০,০০০ হাজার টাকা জরিমানা ঝুঁকি নিয়ে কাজ, কিন্তু মর্যাদা-সুবিধা শূন্য: অবহেলিত সাংবাদিক সমাজ গাইবান্ধার ফুলছড়িতে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে SISP বৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

দালাল বসে কম্পিউটারে, রাষ্ট্রীয় তথ্য যেন হুমকির মুখে!

মো: রিয়াদ হোসেন,নীল ফামারী
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

সরকারি অফিসের দেয়ালে লেখা ‘জনসেবা’, ভিতরে দালালের মঞ্চস্থ নাটক। ডোমারের পাঙ্গা মটুকপুড় তহশীলদার কার্যালয়ে ২০২৫ সালের ১২ জুলাই যা দেখা গেছে, তা নিছক একটি প্রশাসনিক ব্যত্যয় নয়—এ এক প্রশাসন-পরিচালিত দালাল রাষ্ট্রের প্রকৃত মুখচ্ছবি।

ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা তহশীলদার মোঃ মনির উদ্দিন তাঁর দপ্তরের চেয়ারে বসে রয়েছেন, আর সামনে বসে এক অজানা, অপ্রত্যয়িত বহিরাগত ব্যক্তি সরকারি কম্পিউটারে কাজ করছে, রাষ্ট্রীয় তথ্য যেন হুমকির মুখে,যেন তার সামনে খুলে রাখা হয়েছে রাষ্ট্রের গোপন দরজা। কর্মকর্তা নিরুত্তাপ, নির্বিকার—বহিরাগত দালাল সেখানে যেন অলিখিত দপ্তর সচিব। ‘কে?’—প্রশ্নে উত্তর আসে ‘কম্পিউটার অপারেটর’। অথচ ভূমি কর্মকর্তা নিজেই জানিয়ে দেন, এই ব্যক্তি অফিসের লোক নয়। আর সেই বহিরাগত কম্পিউটার অপারেটর কে নিয়ে কথা বলতে চাইলেই সাংবাদিককে কুৎসিত ভাষায় গালি। যেন গোপনকে প্রকাশ করাই অপরাধ।প্রশাসনিক গোপনীয়তা যে তলানিতে এসে ঠেকেছে, তা এখানে অনুধাবনযোগ্য নয়, বরং দৃশ্যমান। সরকারি ফাইল, সফটওয়্যার, ডেটাবেইস—সবই এখন একজন দালালের ক্লিকের নিচে। তথ্যের নিরাপত্তা সেখানে অবান্তর, নিয়ম সেখানে অপ্রত্যাশিত। ভূমি অফিস, যা সাধারণ মানুষের জমি, অধিকার, ও অভিযোগের আশ্রয়স্থল হওয়ার কথা, এখন হয়ে উঠেছে এক ছদ্মবেশী বেসরকারি বাণিজ্যকেন্দ্র—যেখানে পদ-পদবির নেই কোনো মান্যতা, আছে শুধু পরিচয়ের জোর। আর যে কর্মকর্তার হাতে থাকা উচিত ছিল আইনের ভারসাম্য, তাঁর আচরণ রীতিমতো চাঁদাবাজ লাঠিয়ালের মতো। একদিকে সরকারি চেয়ারে বসে বহিরাগতকে দায়িত্ব হস্তান্তর, অন্যদিকে সেই দায় তুলে ধরতে চাওয়া সাংবাদিককে শাসানো। প্রতিটি আচরণে ফুটে উঠছে দায়িত্ববোধের অনুপস্থিতি, এবং প্রশাসনিক অবস্থানকে ব্যক্তিগত ক্ষমতার আত্মসাৎ হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতা।

ডোমারের এই ভূমি অফিসকে আলাদা করে দেখার প্রয়োজন নেই। এটি আমাদের সামষ্টিক ব্যর্থতার প্রতীক। এটি সেই জায়গা, যেখানে রাষ্ট্রীয় পেশাদারিত্বের বস্ত্র খুলে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে, আর তার জায়গায় জুড়ে বসেছে দালালি, চাটুকারিতা, এবং প্রশাসনিক দায়িত্বের প্রহসন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কৃষক বলেন, আমরা তো কানা (স্বাক্ষরজ্ঞানহীন) মানুষ। কম্পিউটারত টিপিয়া কহেছে এতো আইছে। আমরা কিছু জানি না। এখন টাকা দিবা হইছে। আড়াই শতক জমিতে ২ হাজার টাকা দিবা হইছে, কহেছে আইছে এইটা। হামরা তো কাগজে কিছু বুঝি না।’কম্পিউটারকে দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘এই লোক আমার কাছে টাকা নিয়েছে। তার ৪ বছরের খাজনা বাকি থাকলে আড়াই শতক জমির খাজনা দাঁড়ায় ৫০ টাকার মতো। অথচ নিয়েছে ২ হাজার টাকা।

নিয়োগ ছাড়াই সরকারি দফতরের কম্পিউটারে কাজ করার ব্যাপারে জানতে বহিরাগত কম্পিউটার অপারেটর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি পাশেই । আমি প্রায় অনেকদিন বছর ধরে এখানে আছি। আমি এখানে চুক্তিভিত্তিক, তাদের বেতন থেকে আমাকে টাকা দেয়।’চুক্তিপত্র আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনও চুক্তিপত্র নাই, মৌখিক চুক্তি।’ অন্যের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘মানুষ স্বেচ্ছায় দিলে নেই। তাছাড়া টাকা নেই না। কোনও নিয়োগ ছাড়া সরকারি অফিসের কম্পিউটারে বসে অন্য কেউ কাজ করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে ভূমি কর্মকর্তা (তহশীলদার) মনির উদ্দিন বলেন, ‘আমি কম্পিউটার চালাতে পারি না বলে আমার পরিবর্তে একটা লোক রেখে দিয়েছি, আর অন্য কিছু বলতে পারবো না। কাজের স্বার্থে আমাকে তাকে রাখতে হয়েছে।’ বাইরের কোনও মানুষ সরকারি অফিসে কাজ করতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন পারে না, কিন্তু যেহেতু আমি কম্পিউটার চালাতে পারি না সেজন্য তাকে রেখেছি।’ বেশি টাকা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এখানে বেশি টাকা নেই না। আমি যেহেতু কম্পিউটার জানি না এজন্য সমস্ত দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে। তাহলে কম্পিউটার অপারেটর বেতন কোথায় থেকে আসে জানতে চাইলে তিনি কোন স্বচ্ছ উত্তর দিতে পারেননি। তাহলে কি ভূমি কর্মকর্তার কম্পিউটার চালানোর অপারগতার কারণে জনগণের গলা কেটে কম্পিউটার অপারেটর রেখেছেন তিনি? স্থানীয়দের সাথে কথা বললে বেরিয়ে আসে আরো ভয়ংকর তথ্য এই বহিরাগত কম্পিউটার অপারেটর
বাজারে দোকানে অফিসের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকার কাজ করে দেন। এতে হুমকির মুখে রাষ্ট্রীয় তথ্য। একজন ভূমি কর্মকর্তার অপারগতার কারণে রাষ্ট্রীয় তথ্য আজ হুমকির মুখে এর দায় কে নেবে?

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি),(অঃদঃ), ডোমার, শায়লা সাঈদ তন্বীর সাথে কথা বললে তিনি জানান এ বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট