দেশের প্রতিটি দুর্যোগ, অপরাধ, অন্যায় আর দুর্নীতির চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরেন যারা—সেই সাংবাদিকরাই আজ সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও বঞ্চিত। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও তারা পাচ্ছেন না কোনো সরকারি স্বীকৃতি, সুরক্ষা কিংবা ন্যূনতম মানবিক সুযোগ-সুবিধা।
মাঠপর্যায়ে সাংবাদিকদের অনেকেই নিরলসভাবে কাজ করলেও নেই স্থায়ী বেতন, নেই চিকিৎসা সেবা, নেই কল্যাণ তহবিলের কার্যকর ব্যবহার। কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন, হুমকি পাচ্ছেন—তবুও রাষ্ট্রের দৃষ্টিতে তারা যেন অদৃশ্য এক শ্রেণি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত এই পেশার প্রতি সরকারের এমন উদাসীনতা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। মফস্বলের সাংবাদিকরা দিনমজুরের মতো কাজ করেও সম্মান তো দূরের কথা, ন্যায্য মর্যাদাও পাচ্ছেন না।সাংবাদিক নেতারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “প্রয়োজনে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মর্যাদা চাই, ভিক্ষা নয়।”
এ অবস্থায় অবিলম্বে সাংবাদিকদের জন্য পৃথক কমিশন গঠন, স্থায়ী কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে সর্বমহলে।জনগণের মুখপত্রকে যদি অবহেলায় দমন করা হয়, তাহলে গণতন্ত্রও থাকবে না—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংবাদপত্র জগতে যুক্ত বহু প্রবীণ সাংবাদিক। এখন দেখার বিষয়, সরকার এ ন্যায্য দাবির বিষয়ে কতটা আন্তরিকতা দেখায়।