প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে উপকরণ হিসেবে জেলেদের মাঝে ছাগল বিতরণ করেন ডামুড্যা উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
এই উপকরণ শুধু কাটধারি জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হবে। যেখানে প্রতিটি জেলে পাবে চারটি করে ব্ল্যাক বেঙ্গল প্রজাতি স্ত্রী ছাগল। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের পরিপত্র অনুপাতে প্রতিটি ছাগল ৮ কেজি ওজনের হতে হবে এবং কালো রঙের হতে হবে।দূর্বল ও রোগা হলে চলবেনা। এই উপকরণ জেলেরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে গ্রহণ করবে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে জেলেদের কাছ থেকে কর্তৃক আর্থিক বিনিময় নেয়ার অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে । সুবিধাভোগী জেলেরা সাংবাদিকদের বলেন আমাদের কাছ থেকে অফিস কর্তৃক ৫০০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। এ সময় ডামুড্যা অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা গোসেরহাট, আবুল কাশেম বলেন আর্থিক বিষয়ে এ পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি অভিযোগ পাওয়া গেলে যথা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে অত্র অফিসের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার কর্মচারী আশিকুর রহমান নাহিদ জেলেদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। এবং তিনি বলেন আমি সবার টাকা ফেরত দিয়ে দেব। অনিয়মের বিষয়বস্তু নিয়ে এলাকার সচেতন জনতা প্রতিবাদ জানালে মৎস্য কর্মকর্তা তড়িঘড়ি করে স্থান ত্যাগ করেন। অতঃপর ক্ষিপ্ত জনতা সাংবাদিকদের বলেন এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী এখনো যদি এই ধরনের অনিয়ম চালিয়েই যায় তাহলে কেন এমন পরিবর্তন হয়েছিল এই দুর্নীতির সঠিক বিচার চেয়ে বিভিন্ন জনে বিভিন্ন মত প্রকাশ করেন।