1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
মদের গন্ধ, অস্ত্রের ঝনঝনানি নিয়ে চরণদ্বীপে ওয়াসীমের অপরাধ সাম্রাজ্য! চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন-তৃতীয়বারের মতো সেরা অফিসার! আমরা যখন জীবন দিই, তখন তোমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাও — পুলিশের পোশাকে এক মা ছোট্ট এক জীবন, অগণিত শিশুর মুক্তির স্বপ্ন: ইকবাল মাসিহ’র গল্প” এই বাংলাদেশ গোলাম আজমের নয়- শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু চট্টগ্রামে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর হবে পূর্ণাঙ্গ ঐতিহাসিক জাদুঘর: সংস্কৃতি উপদেষ্টা বাংলা টিভি’র নবম বর্ষে চট্টগ্রামের স্মৃতি পটভূমি ও শুভকামনা বাংলাদেশ দূতাবাস, বাহরাইনে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন বাপেসাস-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মো. কামাল উদ্দিন যেখানে স্বপ্নরা অপেক্ষায় থাকে!

আমরা যখন জীবন দিই, তখন তোমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাও — পুলিশের পোশাকে এক মা

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

“আমরা যখন জীবন দিই, তখন তোমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাও — পুলিশের পোশাকে এক মা, এক সৈনিকের গর্বিত উচ্চারণ”

পোশাক শুধু ইউনিফর্ম নয়, অনেক সময় তা হয় আত্মপরিচয়ের অনন্য ব্যঞ্জনা। পুলিশ ইউনিফর্মের নিচে থাকে ক্লান্তি, ত্যাগ, প্রহর গোনা রাত, রক্তে ভেজা প্রশিক্ষণ, পরিবার থেকে বহু দূরের কান্না—আর থাকে দেশের জন্য বুকভরা ভালোবাসা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক সাহসী মহিলা পুলিশ সদস্যের ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তিনি কিছু বিদ্রূপের জবাবে যে ভাষায় আত্মমর্যাদার কথা বলেছেন, তা শুধু উত্তর নয়—এ যেন এক আত্মসম্মানের বিপ্লব। এক দিকে দাঁড় করানো হয়েছিল এসএসসি পাস পুলিশ সদস্যদের, অন্যদিকে এক তরুণ মেডিকেল ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীকে। বিদ্বেষের ছায়া পড়ে যাচ্ছিল সেই ভিডিওর চারপাশে—কিন্তু এই পুলিশ সদস্যের লেখা যেন সেই অন্ধকারে এক দীপ্ত আলোর প্রদীপ হয়ে জ্বলে উঠলো।
তিনি লিখেছেন:
“তোমাদের হাতে ডিগ্রি আছে, আমাদের হাতে দেশের দায়িত্ব।
তোমরা ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখো, আর আমরা সেই স্বপ্নকে নিরাপদ রাখি নিজেদের জীবন দিয়ে।”
এই শব্দগুলো কোনো রাগ বা প্রতিশোধপ্রবণ মনোভাব থেকে লেখা নয়। এখানে আছে এক অদৃশ্য আত্মত্যাগের গর্ব, এক স্নিগ্ধ প্রত্যয়—যা কেবল অনুভব করা যায়, কণ্ঠে ধারণ করা যায় না। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন—এসএসসি পাস কনস্টেবল হতে হলে যে পথ পাড়ি দিতে হয়, তা কেবল তারাই জানেন যারা সেই কঠিনতর জীবন যাপন করে আসছেন। কতদিন না খেয়ে, কত রাত না ঘুমিয়ে, কত গরমে-মেঘে-ঝড়ে মাঠে থেকে, কত কাঠখড় পুড়িয়ে তবে একজন পুলিশ সদস্য দেশের কাজে নিয়োজিত হন—এই অভিজ্ঞতা কোনো সার্টিফিকেট দিয়ে মাপা চলে না।
তাঁর কথায় উঠে এসেছে মাটির গন্ধ, ঘামে ভেজা টানেল দিয়ে যাওয়ার গল্প: “ডিগ্রির বড়াই করা সহজ, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা কঠিন। আর আমরা সেই কঠিনতম পথের যাত্রী!”
এই এক লাইনেই তিনি আমাদের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন—যেখানে একপাশে আছে সার্টিফিকেট আর আরেক পাশে আছে জীবন। আর তিনি বেছে নিয়েছেন জীবনের দায়, দেশের প্রেম। যেন এক পুলিশ সদস্য নন, এক সৈনিক, এক মায়ের মুখ তিনি, যিনি সন্তানের মঙ্গল চাইছেন, দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন, অথচ বিনিময়ে পাচ্ছেন প্রশ্নবিদ্ধ দৃষ্টির তির।
তিনি বলেন,
“আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি বাংলাদেশ পুলিশের একজন সদস্য হতে পেরে।
আপনারা ভালো কিছু করেন, আমরা সর্বদা আপনাদের পাশেই আছি।”
এই বাক্য যেন দুই বাংলার মাঝে সেতুবন্ধন। একজন অফিসার হয়ে তিনি অহংকার করেননি, বরং হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন—‘তোমরা সামনে চলো, আমরা পাহারায় আছি।’
এমন লেখার জন্য শুধু বাহবা নয়, কৃতজ্ঞতা প্রাপ্য। কারণ এই পোস্ট আমাদের মনে করিয়ে দেয়—সম্মান শুধু শিক্ষার কাগজে থাকে না, সম্মান জন্ম নেয় দায়িত্বের ভিতরে, ত্যাগের নিচে, আর নিরব নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মাঝে।
আজকের এই অস্থির সময়েও কিছু মানুষ আছেন—যারা নীরবে আস্থা রাখেন দেশের ভিতরে, বুক দিয়ে ঢেকে রাখেন আমাদের নিরাপত্তাহীনতার ঝড়, আর প্রতিটি ডিউটির সময় নিজের ছোট্ট সন্তানটির মুখ ভুলে যান দেশের মুখের কথা ভেবে।
এই লেখাটি শুধু একটি ফেসবুক পোস্ট নয়, এটি সাহসিকতা, মানবতা ও দায়িত্ববোধের এক অসাধারণ দলিল।
আমরা গর্বিত, আমাদের পুলিশ বাহিনীতে এখনো এমন হৃদয়বান, শিক্ষিত, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, বিনম্র ও দায়িত্বশীল সদস্য রয়েছেন।
তোমার এই কথাগুলো একদিন দেশের গর্ব হয়ে থাকবে।
সালাম, সেই নারী সৈনিককে—যিনি শুধু ইউনিফর্মই নয়, আমাদের চেতনার এক অদৃশ্য ঢাল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট