“বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের চট্টগ্রাম মহানগরের দায়িত্বরত যারা- অহেতুক বিতর্কের জবাবে অপ্রিয় সত্য কথা উপস্থাপন করছি’
আমাকে যারা আওয়ামী দোসর কিংবা ফ্যাসিস্ট বলেন, তাদের প্রতি কিছু সম্মানসূচক উত্তর-
আজকাল কেউ কেউ আমার বিরুদ্ধে এমন ভাষা ব্যবহার করছেন যে, আমি আওয়ামী লীগের দোসর, বা কোনো ফ্যাসিস্ট রাজনীতির অংশীদার! আমার বক্তব্য পরিষ্কার—রাজনীতি নিয়ে কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা আমার নেই, কিন্তু ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা হলে সেখানে আমি নিশ্চুপ নই।
আমি তো সেই মানুষ, যিনি বিএনপি যখন বিভক্ত হয়েছিল, তখন বাংলাদেশ ছাত্রদলের( ওবায়দুর রহমান গ্রুপের) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ওই সময়ের কমিটির সভাপতি ছিলেন এস. এম. ফরিদ,তখনকার আমার রাজনৈতিক পথচলার প্রত্যক্ষ সাক্ষী—আমার নেতা এম. এ.হাসেম রাজু। আমরা ছিলাম বিএনপির মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বাধীন অংশের রাজনীনৈতিক কর্মী, একমাত্র আদর্শও লক্ষ্য ছিল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের। স্পষ্টতা এবং সংগঠনের প্রতি দায়বদ্ধতা।
আজ যারা আমার অতীত না জেনে, কিংবা জেনে-শুনেও রাজনৈতিক সুবিধাবাদে আমাকে অপবাদ দিতে চান,তাদের বলছি—আমি কারও তল্পিবাহক ছিলাম না, আজও নই। আমি কারও ক্রীড়নক হয়ে থাকি না, ইতিহাস ও বিবেকের কাছে জবাবদিহির জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকি। আমি কারও বিরুদ্ধে নই, কিন্তু মিথ্যার বিপক্ষে সবসময়। তাই যারা ফেসবুকে কিংবা প্রপাগান্ডায় আমাকে নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন, তাদের প্রতি আমার কেবল একটি অনুরোধ—সত্য জেনে কথা বলুন, অপবাদে নয়।গত বছর ১৩ মে ২০২৪, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির একটি পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে যারা কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের নাম ও পদমর্যাদা ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু ইদানীং লক্ষ্য করছি, একটি মহল আমাকে ঘিরে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে। তারা প্রশ্ন তুলছে—আমি আহবায়ক পদে দায়িত্বে আছি বা আছি কিনা, কোন পদে আছি, বা আদৌ যুক্ত কিনা। তাই সকলের অবগতির জন্য অপ্রিয় হলেও সত্যটি স্পষ্টভাবে জানানো প্রয়োজন—আমি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আমি দায়িত্বে নেই।
তবে যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের নাম সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। সভাপতি মো. সেলিম হোসেন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনুর রশীদ রুবেলের নেতৃত্বে এ কমিটির অন্যান্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করা হয় এবং সে অনুযায়ী দলীয় কাঠামো গঠিত হয়।
এ বিষয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করে কেউ কেউ আমাকে আওয়ামীলীগের দোসর হিসেবে আখ্যাত করে হয়রানি
করার চেষ্টা করছেন, যা নিন্দনীয়। আমি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি—
অতএব, যারা বিভ্রান্তি ছড়াতে চান, তাদের বলব—আপনাদের অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে, কারণ সত্য যেমন দৃশ্যমান, তেমনি ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।
শেখ হাসিনার সরকার ছাত্র জনতার আন্দোলনের চাপে পদত্যাগ করার পর তার সরকারের একের পর এক অপকর্ম প্রকাশ হতে থাকে। দীর্ঘ ১৬ বছরে দেশের সম্পদ লুটপাটের চিত্র শুনলে সত্যিই লজ্জা লাগে। এমনকি শেখ হাসিনার নিজের মুখে স্বীকারোক্তি, যে তার নিজ ঘরের চাকর জাহাঙ্গীর এখন চারশো কোটি টাকার মালিক, এবং হেলিকপ্টারে চলাফেরা করে। একজন প্রধানমন্ত্রী এমন কিছু প্রকাশ্যে স্বীকার করলে, বোঝা যায় যে, একজন চাকর যদি এত টাকা কামাতে পারে, তবে বাকিরা কতটা লুটপাট করেছে তা সহজেই অনুমান করা যায়।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর আমি তার সরকারের অপকর্ম নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখালেখি করছি। তখন অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন কেন আগে লিখিনি। বাস্তবে, সেই সময়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কিছু বলা বা লেখার সুযোগ ছিল না। আইনের ফাঁদে কলম বাঁধা ছিল। আমি সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাথে কিছুটা দায়িত্ব পালন করেছিলাম। ১২/৩/২০২৪ তারিখে আমাকে তিন মাসের জন্য চট্টগ্রাম মহানগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। যদিও তিন মাসের দায়িত্ব ছিল, তবে কেন্দ্রীয় সভাপতি হারুনুর রশিদ সিআইপি আমাদের কমিটি বাতিল করে সম্মেলন ছাড়াই সরাসরি তিন বছরের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন। বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার অনুমোদিত ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি: সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. সেলিম হোসেন চৌধুরীকে সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. মামুনুর রশিদ রুবেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি আগামী তিন বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মোঃ হারুন উর রশীদ সিআইপি। এতে সহ সভাপতি হিসেবে আছেন যথাক্রমে মোঃ জামাল উদ্দিন,মোঃ সফি শুভ,মোঃ বাবুল হক,এইচ এম হানিফ,মোঃ নুরুল হাকিম,মোঃ মোজাম্মেল হক মিলন,যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আবদুল মন্নান তামিম,মোঃ রমজান ইসলাম মাহির,অসিম বড়ুয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন,মিল্টন দে রাজিব,বকতেয়ার আলন প্রিন্স,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হোসেন সৈয়দ জামাল উদ্দিন,সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন,দপ্তর সম্পাদক জাহিদ হাসান,সহ দপ্তর সম্পাদক এম এম এইচ ইসমাইল,অর্থ সম্পাদক হোসাইন আলী সাগর,সহ অর্থ সম্পাদক মোঃআলাউদ্দিন,
আইন সম্পাদক মাহবুবুল আলম সুমন,তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক মোঃ মোরশেদ,ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন,ধর্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম,শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক মোঃ সাইদ উদ জামান সানি,স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম মল্লিক,শ্রম ও জনসংখ্যা সম্পাদক মোঃ ইউসুফ মোল্লা,যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ আজাদ,সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন আহাদ,মহিলা সম্পাদক মুনমুন চৌধুরী,দীপ্তি রক্ষিত,রোজিনা বেগম। কার্যনির্বাহী সদস্য যথাক্রমে মোঃ মানিক হাওলাদার,মোঃ নজরুল ইসলাম খান,আলহাজ্ব নুরুল হাশেম,মোঃ আবু মনসুর,মোঃ নাছির উদ্দীন শাহ,ছালে আজম ভুট্ট,বিশ্বজিৎ দাশ,মোঃ রাজিব,মোঃ আরাফাত কাউসার মুন্না,মোঃ ওসমান গনি ভান্ডারী,মোঃ মনসুর আলী,
নুরুল আমিন,মোঃ জসিম উদ্দিন,হাসান উল আলম,মোঃ আজগর,আকাশ রহমান,মোঃ ইকবাল,সুমন বড়ুয়া,রবিউল আলম,মোঃ ইউসুফ,মোঃ জামাল উদ্দিন,মোঃ ইমতিয়াজ উদ্দিন,জহির উদ্দিন,মোঃ নুরু,মোঃ রাসেল,মোঃ আরমান,সুমন কান্তি মল্লিক,ইভান খান,বশিরুল হক খান রুবেল,মোঃ জাকির হোসেন,এড শারমিন ইয়াসমিন,ওয়াহিদুর রহমান পিন্টু,আবু হোরাইরা আরাফাত।
তখন মনে মনে ভাবলাম কেন সুশীল সমাজ রাজনীতি করেনা,
আমি যে রাজনীতি আগে করলেও পরে রাজনীতি বাদ দিয়েছিলাম তা ভালো ছিলাম, লেখক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, দার্শনিক, গবেষক, শিল্পী, সংস্কৃতিসহ যারা সৃষ্টিশীল কাজের সাথে জড়িত, তাদের রাজনৈতিক দলের পদপদবি বহন করা মোটেও উচিত নয়। তবে একসময় লেখক এবং সাংবাদিকদের মধ্যে রাজনীতিতে অংশ গ্রহণের প্রবণতা ছিল। সে সময় শিক্ষক ও ডাক্তাররা রাজনীতি করলে মানুষের সেবা নিশ্চিত করতেন, আর রাজনীতির ইতিহাসও ছিল সমৃদ্ধ। কিন্তু আজকের প্রেক্ষাপটে, আমাদের মতো পেশাদার সাংবাদিকদের রাজনৈতিক দলের পদপদবি বহন করা বিতর্কিত বিষয় বলে মনে করি। ৭৯ সালের দিকে, আমি যখন খুব ছোট, তখন জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক প্রেমে আবদ্ধ হয়েছিলাম। আশির দশকে বিএনপির ছাত্র দলের রাজনীতি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করেছি, তবে এরশাদের পতনের পর লেখালেখিতে মনোযোগ দিয়েছি। বিএনপির মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্র দলের
চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। সেদিন বিএনপি দুই গ্রুপে বিভক্ত ছিল—এক গ্রুপ বেগম খালেদা জিয়া ও অন্য গ্রুপ কে এম ওবায়দুর রহমান। তখন ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের গ্রুপ শক্তিশালী ছিল। পরে ওবায়দুর রহমানও বেগম খালেদা জিয়া এক হয়ে রাজনীতি করেছেন। আমি কিন্তু অরাজনৈতিক সংগঠন ছাত্র সংগ্রাম কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসাবে দীর্ঘ চারবছর দায়িত্ব পালন করেছি।সেই সময়ে কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, কলেজের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস বন্ধ এবং দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে কাজ করেছি।
বিশেষ করে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছি- ১৯৯৪ সালের ৯ই জুলাই আমার আহবানে শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠার দাবীতে চট্টগ্রামে হরতাল পালিত হয়েছিল,তবে শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠায় তখনকার সময়ের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও মাননীয় মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান সাহেব এর ভুমিকা রয়েছে।
বাংলাদেশ বেকার পূর্ণবাসন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে সারাদেশে বেকার যুবকদের জন্য কাজ করেছি।তবে অপ্রিয় হলেও সত্যি যে আজকের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড মোহাম্মদ ইউনুস স্যারের সাথে এবং উনার পরামর্শ ১৯৯৩ সালে থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বেকারত্ব দূরকরা জন্য কাজ করেছি-সবচেয়ে বেশি সময় দিয়েছি চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সংগঠন বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটিতে, যেখানে দীর্ঘ তিরিশ বছর সাংগঠনিক কাজ করেছি। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের প্রতিষ্ঠা করে
মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি সামাজিক আন্দোলন ও লেখালেখির সুবাদে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারিনি, তাতে কোনো রাজনৈতিক দলের এমপি, মন্ত্রী বা মেয়রের কাছ থেকে কোনো সুবিধাও গ্রহণ করিনি। জিয়াউর রহমানের সাথে ৭৯ সালে আমার জেঠাতো ভাই জানে আলমের মাধ্যমে হাত মিলানোর স্মৃতি এখনো মনে পড়ে। লেখা লেখির জগতে এসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি দুর্বল হয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখালেখি করেছি। কিন্তু আমি কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না, এখনও নেই। হ্যাঁ, শেখ হাসিনা যখন কিছু ভালো কাজ করছিলেন, তখন তার সম্পর্কে লিখেছি “রাজপথ থেকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা” শিরোনামে লেখাটি আমার “জানা অজানা” বইয়ে রয়েছে, বঙ্গবন্ধুর ওপরও আমার প্রচুর লেখা রয়েছে। আমি তাদের নিয়ে লিখলেও কিন্তু চট্টগ্রামে উন্নয়নের লক্ষ্যে কোনো আপোষ করিনি, সবসময় প্রতিবাদী মনোভাব নিয়ে চলেছি। তাহলে প্রশ্ন আসে “আওয়ামী লীগের রাজনীতি না করলে কি হবে? সামান্য সময়ের জন্য- তো “বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের দায়িত্বে ছিলাম। আমাকে বলা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা মূলক কাজ করবে, এবং তাও মাত্র তিন মাসের জন্য। কিন্তু সেই তিন মাসের সময় আমাকে দেওয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের মধ্যে কেন্দ্রীয় সভাপতির সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের মতবিরোধের কারণে আমাকে যে চট্টগ্রাম মহানগর সম্মেলনের জন্য আহ্বায়ক করে তিন মাসের দায়িত্ব সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরে দিয়েছিলেন, তা সভাপতি হারুনুর রশিদ বাতিল করে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের গঠনতন্ত্রে সভাপতির একক ক্ষমতার কথা উল্লেখ আছে। এর পরপরই সভাপতি তিন বছরের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেন, যার ফলে আমাদের কমিটির বৈধতা ছিলনা । আমাকে শুধুমাত্র সম্মেলনের জন্য যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তখন কিন্তু বঙ্গবন্ধু আদর্শকে মূল্যায়ন করে কিছু সাংগঠনিক কাজ করেছি। বিশেষভাবে বলতে গেলে, আমাদের বাতিলের সংবাদটি হারুনুর রশিদ তার এশিয়ান টেলিভিশনে রাতদিন বিজ্ঞাপন আকারে শেখ হাসিনার পতনের আগেরদিন পর্যন্ত প্রচার করেছেন। আমি আবারও বলছি, আমি সম্মেলনে দায়িত্ব নিয়ে ছিলাম, তা নিয়েও অনেক তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। তবে আমি আমার বন্ধু সাতকানিয়া ওসমানের বিশেষ অনুরোধে এই দায়িত্ব গ্রহণের ফলে আমি সম্মানিত হওয়ার পরিবর্তে অসম্মানিত হয়েছি। সেই দায়িত্বের কারণে আমার মৌলিক সংগঠন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের ক্ষতি হয়েছে, আর আমার লেখালেখির নিরপেক্ষতা হারিয়ে পেলেছি। আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেন, আমি এখনো বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের দায়িত্বে আছি কিনা? আমি বলছি, আমাকে তো সভাপতি হারুনুর রশিদ অনেক আগেই বাতিল করে দিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আমি বঙ্গবন্ধুর উপর যে-ভাবে লিখেছি,তেমনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ধারাবাহিকভাবে লিখে আসছি। তবে মনে রাখতে হবে, আমি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লিখা এই নয় আমি বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছি, আমি আবারও বলছি, আমি জাতীয় রাজনীতি আগেও করিনি, ভবিষ্যতেও করবো কিনা জানি না। রাজনীতি করলে স্বাধীনভাবে লেখালেখি করা যায় না। আমার বন্ধু ওসমানের বিশেষ অনুরোধে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সম্মেলন করার দায়িত্ব নেওয়াটাই এখন মনে হচ্ছে আমার ভুল হয়েছিল, আগে কোনো দায়িত্ব ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর উপর কাজ করেছি, গবেষণা করেছি, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কাজ করা মানি কিছু পাওয়ার জন্য নয়, ইতিহাসের উপর আমার গবেষণার স্বার্থে কাজ করতে হলে বঙ্গবন্ধু বলেন, জিয়াউর রহমান বলেন, মওলানা ভাসানী বলেন, আরো যারা জাতীয় নেতা রয়েছে তাদের নাম- তো আসবেই। আজকে এই লেখা আপাতত শেষ করছি, আরো বিস্তারিত লিখবো ইনশাআল্লাহ।
লেখকঃ যুগ্মসম্পাদক- দৈনিক ভোরের আওয়াজ, গবেষক ও টেলিভিশন উপস্থাপক, মহাসচিব, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম, সদস্য – বিশ্ব লেখকদের সংগঠন – পেন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।