সিএমপি’র কোতোয়ালী থানার পুলিশের পৃথক অভিযানে সাফল্য ওসি মোঃ আব্দুল করিমের কঠোর ও মানবিক নেতৃত্বে আইন প্রয়োগে নতুন মাত্রা চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অধীনস্থ কোতোয়ালী থানার পুলিশ আজ ৩ মে ২০২৫ ইং তারিখে পৃথক দুটি সফল অভিযান পরিচালনা করে দুইজন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল করিমের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং পেশাদার নেতৃত্বে পরিচালিত এসব অভিযান আবারও প্রমাণ করে যে, কোতোয়ালী থানা আজ চট্টগ্রাম নগরীর একটি কার্যকর, সেবামূলক ও জনবান্ধব থানায় রূপান্তরিত হয়েছে।
প্রথম অভিযান: চান্দগাঁওয়ে এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার প্রথম অভিযানে, কোতোয়ালী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল আহমেদ ও এএসআই রুবেল বড়ুয়া সঙ্গীয় ফোর্সসহ চান্দগাঁও থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দায়রা মামলা নং- ৯৭৩/২০০৬, সিআর মামলা নং- ৮৬৯/২০০৫ এবং ধারা- ১৩৮ (চেক প্রতারণা) অনুযায়ী ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও চেকের সমপরিমাণ অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী এনামুল হককে গ্রেফতার করেন। এই আসামী দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে আদালতের ওয়ারেন্ট জারি ছিল।
দ্বিতীয় অভিযান: হালিশহরে দেওয়ানি আটকাদেশপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার একই তারিখে দ্বিতীয় অভিযানে, কোতোয়ালী থানার এসআই মারুফ বিন আব্দুল্লাহ, এএসআই সাকিল এবং এএসআই মাহবুব যৌথভাবে হালিশহর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অর্থঋণ জারি মামলা নং- ১১০৩/২০২৩ অনুযায়ী ছয় মাসের দেওয়ানি আটকাদেশপ্রাপ্ত আসামী মোঃ নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। অর্থঋণ আদালতের আদেশ দীর্ঘদিন অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল।
ওসি মোঃ আব্দুল করিমের নেতৃত্বে কোতোয়ালী থানার রূপান্তর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ওসি মোঃ আব্দুল করিম থানাটিকে একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আধুনিক, মানবিক ও জবাবদিহিমূলক মডেলে রূপান্তরের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শুধু সাজাপ্রাপ্ত আসামী নয়, তিনি মাদকবিরোধী অভিযান, সন্ত্রাস দমন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে থানাকে জনতার আস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন।
তার নেতৃত্বে কোতোয়ালী থানায় এখন নিয়মিতভাবে ওয়ারেন্ট তামিল, অপরাধী গ্রেফতার, সিসিটিভি জোন উন্নয়ন, নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্ক চালু, পুলিশি সেবায় প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং থানার সেবাকে আরও সহজলভ্য করার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
জনগণের আস্থা অর্জনে মানবিক দৃষ্টান্ত ওসি করিমের সবচেয়ে বড় শক্তি তার মানবিকতা। তিনি থানায় আগত সাধারণ মানুষের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে শুনে দ্রুততম সময়ে আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। একাধিক দরিদ্র মামলার বাদী বা ভুক্তভোগীর পাশে দাড়ানোর ঘটনাও রয়েছে তার কর্মজীবনে। এজন্য সাধারণ মানুষের চোখে তিনি শুধুমাত্র একজন পুলিশ কর্মকর্তা নন, বরং একজন নির্ভরতার প্রতীক।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শক্ত বার্তা সাম্প্রতিক এসব সফল অভিযানের মাধ্যমে কোতোয়ালী থানা আবারও প্রমাণ করলো, আইন অমান্যকারীরা যত শক্তিশালীই হোক, তারা আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না। পুলিশের এই তৎপরতা নগরবাসীর মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে এবং চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় অপরাধ দমনে আরও জোরালো ভূমিকা রাখছে।
সিএমপি’র এমন দক্ষ, মানবিক এবং পেশাদার নেতৃত্ব অপরাধ দমনে এবং পুলিশের জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে যে কতটা কার্যকর হতে পারে—তার বাস্তব উদাহরণই যেন কোতোয়ালী থানা।