1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ০৪:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
কেশবপুরে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা! সবুজসহ তিনজন আটক, এলাকায় উত্তেজনা! শওকত আলম শওকত ও হাজী মোঃ আবু আকতার বোয়ালখালী বিএনপির অগ্রসৈনিক ওসি বাবুল আজাদের নেতৃত্বে থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে চারবারের সেরা ওসি আফতাব উদ্দিন দিলরুবা খানম : বহুমাত্রিক প্রতিভায় দীপ্ত এক মানবিক শিল্পী সাংবাদিকতা নাকি ব্যবসা? পেশার পবিত্রতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ! প্রধান উপদেষ্টার বরাবর চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের স্মারকলিপি প্রদান সাংবাদিকের বিভ্রান্তিকর পরিচয় ব্যবহার: চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের প্রতিবাদ বক্তা ও বক্তৃতা নিয়ে কিছু অপ্রিয় কথা ঢাকা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুজন কারাগারে আত্মহত্যা

ভুলের মজার দুনিয়া: এক মোজা, দুই ভুল, তিন কুল হারানো!”

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫

প্রিয় গোলাপ ফুল! হারালাম তিন কুল—গোত্র, সমাজ, সম্ভ্রম, সব! এখন পড়ে আছি খাল কুলে, ভুল আর বিভ্রান্তির এক বিস্তীর্ণ রাজ্যে। লিখতে বসে ভুল করি, আবার ভুল শুধরাতে গিয়ে করি আরও বড় ভুল! জীবনের কত ভুল করেছি, তার কোনো নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান নেই, তবে এটুকু জানি—ভুলে গিয়ে নতুন কিছু শেখা যায়, কিন্তু ভুলের স্তুপে ডুবে যাওয়া কখনো কাম্য নয়।
তবে কিছু ভুল বড্ড মজার, বড্ড নাটকীয়! বাংলা ব্যাকরণের পুরোনো পাঠের সেই অমোঘ বাক্যটি আজও আমার মনে দাগ কেটে আছে—”ভুল বানান কিন্তু ভুল করিও না!” ভুলে যাওয়া আর ভুল করা এক জিনিস নয়, ঠিক যেমন ভুল স্বীকার করা আর ভুলকে জয় করা সমার্থক নয়।
আমরা চিঠির ঠিকানায় ভুল করি, আবার সেই ভুল ঠিকানার চিঠি পোস্ট করতে গিয়েও ভুলে যাই। এইচ.জি. ওয়েলস বলেছিলেন, “দৃষ্টি আকর্ষণ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো—ভালো একটা ভুল করা!” কথাটা হয়তো অদ্ভুত শোনায়, কিন্তু ব্যবসায়ীরা এই কৌশল ভালোভাবেই জানেন। দোকানের সাইনবোর্ডে ইচ্ছাকৃত একটুখানি ভুল রেখে দিলে লোকের চোখ সেখানে আটকে যায়। এক ঘৃত ব্যবসায়ী যদি লিখে বসেন—”এখানে বিষুদ্ধ ঘৃত পাওয়া যায়,” তাহলে কী হবে? মানুষের চোখ ঠিকই সেই ভুলে আটকে যাবে, কিন্তু তিনি ঠিকই তার ঘৃত বিক্রি করবেন!
ভুল নিয়ে রসসাগর শিবরাম চক্রবর্তী এক মজার গল্প লিখেছিলেন। এক ভদ্রলোকের পায়ে একজোড়া মোজা—একটি লাল, অন্যটি কালো। বন্ধুরা বিষয়টি নিয়ে হাসাহাসি করলে তিনি নির্দ্বিধায় বললেন, “এতে অবাক হওয়ার কী আছে! আমার বাসায় আরও একজোড়া মোজা আছে, সেখানেও একটা লাল, একটা কালো!” তাঁকে বোঝানোই গেল না যে, তিনি দু’জোড়া মোজা গুলিয়ে এক চরম ভুল করে ফেলেছেন!
তবে ভুল শুধু মানুষের নয়, ছাপাখানারও হয়। ভুল সংশোধনের জন্য দায়ী এক অদৃশ্য শক্তি আছে, যার নাম “ভৃত”! বাংলায় “ভূত”, ইংরেজিতে “প্রিন্টার্স ডেভিল”! এক বিখ্যাত আইনজীবী তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার কাগজপত্র নিজে হাতে লিখে ছাপাতে দিলেন। ছাপাখানা যথাসাধ্য যত্ন নিল, তবু ভুলের মিছিল থামল না। প্রথম প্রুফ এলো—চল্লিশটি ভুল! তিনি সংশোধন করলেন। দ্বিতীয়বার তাঁর কর্মচারীদের বললেন—”যে যত ভুল ধরবে, সে তত ডলার পুরস্কার পাবে!” কর্মচারীরা তো মহা উৎসাহে ঝাঁপিয়ে পড়ল, মোট একশোটি ভুল বের করল। তৃতীয়বার আইনজীবী বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দিলেন—”প্রতিটি ভুল সংশোধনের জন্য দশ ডলার পুরস্কার!”
কিন্তু তাতেও ভুলের যাত্রা শেষ হলো না! চূড়ান্ত প্রুফেও এগারোটি ভুল থেকে গেল।
তাহলে কি ভুল কখনোই শেষ হয় না? নাকি ভুলের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে নতুন শিক্ষার সন্ধান?
চলবে-

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট