আমার অফিসের চেয়ারে বসে আছে কাশিব—আমার নাতি। হাতের মধ্যে শক্ত করে ধরা “দৈনিক ভোরের আওয়াজ”। তার ছোট ছোট চোখে এক অদ্ভুত গভীরতা, যেনো সে কেবল শব্দ পড়ে না, বরং প্রতিটি বাক্যের ভেতরকার গল্পগুলো ছুঁয়ে দেখছে।
আজ তার চোখে এক অদ্ভুত আলো। স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ প্রতিবেদন পড়তে পড়তে কখনো তার ভ্রু কুঁচকে যাচ্ছে, কখনো আবার চোখের কোণে প্রশ্নের ঝলক। হঠাৎই আমার দিকে তাকিয়ে বলে,
— “দাদু, ২৫ মার্চ কালরাত কেন বলা হয়?”
আমি মুগ্ধ হয়ে তার কৌতূহল দেখি। মনে হয়, এই ছোট্ট শিশুটি শুধু পাঠ করছে না, বরং বুঝতে চাইছে, জানতে চাইছে, প্রশ্ন করতে চাইছে—একজন প্রকৃত সাংবাদিকের মতো। হয়তো একদিন সে সত্যের খোঁজে, ন্যায়ের সন্ধানে কলম ধরবে, প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাবে সমাজকে।
আজ আমার অফিসের চেয়ার দখল করেছে কাশিব, কিন্তু আমি তাতে আনন্দিত। এই চেয়ারের ভারসাম্য সে একদিন ঠিকই বুঝে নেবে। হয়তো সে-ই হবে ভবিষ্যতের সাংবাদিক, যে তার কলমের শক্তিতে এক নতুন ভোরের জন্ম দেবে।