নগরীর আকাশ ছোঁয়া এক ভবনের ছাদে দাঁড়িয়ে রাতের চট্টগ্রামকে দেখছিলাম। দূরে কর্ণফুলীর তীরে উজ্জ্বল আলোকমালা, রাস্তার পাশে গাড়ির জ্বলজ্বলে হেডলাইটের সারি, আর আকাশের গাঢ় নীলের মাঝে ছড়িয়ে থাকা চাঁদের আলো—সব মিলিয়ে এক মোহময় দৃশ্য। এই শহরের প্রাণকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে অনুভব করছিলাম, আলো কেবল দালানকোঠায় নয়, কিছু মানুষের হৃদয়েও জ্বলে—নিঃস্বার্থ ভালোবাসার উজ্জ্বল প্রদীপ হয়ে।
সেই আলো নিয়েই এসেছিলো এক বিস্ময়কর সন্ধ্যা, যেখানে পরিচয় হলো এক আলোকিত মানুষের সঙ্গে—রবিউল, বোয়ালখালীর সোনার ছেলে।
রবিউল: সফলতার এক অনন্য প্রতিমূর্তি-
প্রথম দেখাতেই মনে হলো, যেন বহুদিনের চেনা কেউ। সরল হাসি, বিনম্র স্বভাব আর অসীম উদারতায় পরিপূর্ণ তার ব্যক্তিত্ব মুহূর্তেই আপন করে নিলো। রবিউল শুধুই একজন সফল ব্যবসায়ী নন, তিনি মানবতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। ওমানে শত কোটি টাকা বৈধভাবে উপার্জন করেও তার মাঝে নেই অহংকারের ছিটেফোঁটা, নেই দম্ভের ভার। বরং তিনি শেকড় ভোলেননি, আপনজনদের পাশে থেকেছেন ছায়ার মতো, আশ্রয়ের মতো। গরিব-দুঃখী আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের জন্য তার দরজা সর্বদা উন্মুক্ত।
তবে রবিউল একাই নন, তার পাশে আছেন তার হৃদয়ের আরেক অংশ—তার ভাইসম বন্ধু নাছিম। যেন এক আত্মা, এক অনুভূতি, এক সম্পর্কের চিরন্তন বন্ধন। রবিউল ও নাছিমের বন্ধুত্ব শুধুই স্বার্থের নয়, এই বন্ধন হৃদয়ের, আত্মার। তাদের ভালোবাসা আর পরস্পরের প্রতি নির্ভরতা দেখে মনে হলো, এ যেন শত বছর ধরে গড়ে ওঠা এক সম্পর্ক, যা কোনো শক্তিই ভাঙতে পারবে না।
রেডিসন ব্লু: বিলাসিতা ও ঐশ্বর্যের সঙ্গমস্থল-
এই সন্ধ্যার সাক্ষী ছিল চট্টগ্রামের একমাত্র পাঁচ তারকা হোটেল—রেডিসন ব্লু চিটাগং বে ভিউ। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা এই হোটেল শুধু বিলাসবহুলতার প্রতীক নয়, এটি চট্টগ্রামের আধুনিকতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন। এর সুদৃশ্য লবি, ঝলমলে ঝাড়বাতি, মৃদু আলোর পরিবেশ, সুসজ্জিত ব্যালকনি এবং আয়নার মতো স্বচ্ছ সুইমিং পুল যেন আধুনিক শিল্প ও সৌন্দর্যের এক অনন্য মিশ্রণ। কর্ণফুলীর বাতাস এখানে এসে মিলিত হয় আরামদায়ক সজ্জায়, যেখানে আতিথেয়তার প্রতিটি ধাপে মেলে অভিজাত্যের ছোঁয়া।
এই সৌন্দর্যের মাঝেই বসেছিলো আলোচনার আসর, যেখানে রবিউলের মহানুভবতার গল্প আরও উজ্জ্বল হয়ে ধরা দিলো। সম্পদ মানুষের পরিচয় নয়, বরং তার উদারতা, তার মানবপ্রেমই তাকে সত্যিকার অর্থে বড় করে তোলে। রবিউল সেই বিরল মানুষদের একজন, যিনি নিজের শ্রম, মেধা ও সততায় শুধু ধনী হননি, হয়েছেন এক দানশীল মহৎ হৃদয়ের প্রতীক।
এক অনুপ্রেরণার নাম রবিউল-
পরাত যত গভীর হচ্ছিল, আলোচনা তত গভীর হচ্ছিল। রবিউলের মতো মানুষরা সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন—যেখানে অর্থ নয়, হৃদয়ের বিশালতাই মানুষের প্রকৃত পরিচয়। বোয়ালখালীর এই সোনার ছেলেকে দেখে মনে হলো, এই পৃথিবী এখনো ভালো মানুষের আলোয় আলোকিত।
বোয়ালখালীর এই মহান সন্তানকে স্যালুট, শ্রদ্ধা, আর অফুরন্ত ভালোবাসা!