চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী রিয়াজ উদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম পাঞ্জাবী ভোক্তাদের সঙ্গে চরম প্রতারণা করে আসছিলো। কয়েক বছর পুরনো দেশি পাঞ্জাবীকে ভারতীয় বলে exorbitant দামে বিক্রি করছিলেন তিনি। দীর্ঘদিনের এই প্রতারণা আজ ফাঁস হয়ে গেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে, যেখানে হাতেনাতে ধরা পড়ার পর ব্যবসায়ী সেলিম পাঞ্জাবীকে নগদ ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে ধরা পড়া প্রতারণার ধরণ: ভুয়া ব্র্যান্ডিং: সেলিম পাঞ্জাবীর নিজস্ব কোনো কারখানা নেই, অথচ তিনি ঢাকার পাইকারি মার্কেট থেকে পাঞ্জাবী কিনে এনে নিজের ব্র্যান্ড বলে চালিয়ে দিতেন।
পুরনো পাঞ্জাবীকে নতুন ভারতীয় বলে বিক্রি: ২-৩ বছর আগে কেনা দেশি পাঞ্জাবী ‘ভারতীয় পাঞ্জাবী’ বলে বিক্রি করছিলেন। অতিরিক্ত মূল্যহীনতা: ১,০০০–১,৫০০ টাকায় কেনা পাঞ্জাবী ৭,০০০–৮,০০০ টাকায় বিক্রি! মিথ্যা লেবেলিং: ঢাকার সাধারণ পাঞ্জাবীতে ‘বোম্বে পাঞ্জাবী’ ট্যাগ লাগিয়ে দিতেন, যাতে ক্রেতারা প্রতারিত হন। মালিকের স্বীকারোক্তি:
অভিযানে ধরা পড়ার পর সেলিম পাঞ্জাবীর মালিকের সাফাই, ‘সবাই এভাবেই বিক্রি করছে, তাই আমরাও করি। আমাদের কোনো কারখানা নেই।’
ভোক্তা অধিকারের কঠোর পদক্ষেপ: নগদ ২ লাখ টাকা জরিমানা
ভবিষ্যতের জন্য কড়া সতর্কবার্তা
জনসচেতনতার আহ্বান:
এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। অনেকে বুঝতে না পেরে প্রতারিত হচ্ছেন। তাই যে কোনো ব্র্যান্ডের পোশাক কেনার আগে এর উৎস ও মান যাচাই করে নিন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই অভিযান প্রমাণ করেছে, সতর্কতা ও সচেতনতা থাকলে প্রতারণার জাল ছিন্ন করা সম্ভব!
এই প্রতারণার খবর জানিয়ে দিন অন্যদেরও! পোস্টটি শেয়ার করুন, সচেতন থাকুন!