1. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
  2. info@www.bhorerawaj.com : দৈনিক ভোরের আওয়াজ :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
“বাঁশখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ টেকনাফের মাদক কারবারি আটক: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ” হোমনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে  বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি  ড. মোহাম্মদ ইউনূস এর শুভ আগমনে বোয়ালখালীবাসীর পক্ষ থেকে হাজী মোহাম্মদ আলম ববির শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের ৮ জনকে বেঁধে ছয়টি দোকান ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা রোদেলা দুপুরে পারকি সৈকতের বালুকাবেলায় কলম যোদ্ধারা,স্মৃতিময় এক মে দিবস! ড. মোহাম্মদ ইউনূসের দক্ষিণ চট্টগ্রাম সফর সিএমপি কমিশনার ও পাঁচ ওসি পেলেন আইজিপি ব্যাজ সাহস, দক্ষতা ও মানবিক পুলিশিংয়ের স্বীকৃতি আইজি পি ব্যাজ পেলেন ওসি আফতাব উদ্দিন চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের সূচনালগ্নের সাহসী পুরুষ ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন! দৃষ্টি আকর্ষণ

রেজাউল করিম চৌধুরী: চট্টগ্রামের মেয়রের দুর্নীতির অন্ধকার জগত-১

মোঃ কামাল উদ্দিন
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, যিনি শেখ হাসিনা সরকারের সিদ্ধান্তে এই পদে বসেন, ইতিহাসের এক অত্যন্ত বিতর্কিত ও অযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তাকে একজন “কাঙালী থেকে ধান্দালী” রূপান্তরিত ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়, যার কর্মকাণ্ড চট্টগ্রামের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি কালো দাগ হয়ে থাকবে। তার মতো দুর্নীতিবাজ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকারী মানুষ পৃথিবীতে দ্বিতীয়বার পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রেজাউল করিমের পারিবারিক পরিচিতি, বিশেষত তার উত্থান, তাকে এক ধরনের ভাবমূর্তি তৈরি করতে সাহায্য করেছিল। তিনি দাবি করতেন যে তিনি বহদ্দার গোষ্ঠীর জমিদারের সন্তান। কিন্তু আসলেই তার কোনো ঐতিহ্য ছিল না। ওই গোষ্ঠীর পারিবারিক ঐতিহ্যকে তিনি নিজের সুবিধার্থে ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মের পেছনে মেতে ওঠেন। যদিও বহদ্দার গোষ্ঠী শখের মতো সমাজে কিছু ছিল, কিন্তু রেজাউল করিমের করণীয় মূলত ছিল ছোটখাটো রাজনৈতিক পদপদবি বিক্রি করে কিছু ধান্দাবাজি করা।
আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি পদের বিক্রি করতে শুরু করেন এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক সুবিধা লাভ করতে থাকেন। বিশেষত, তিনি একবার নুর টেডিংয়ের মালিক নুর মোহাম্মদকে ৪ লাখ টাকার চেক জামানত দিয়ে কালুরঘাটে বালুর ব্যবসা শুরু করেন। তবে এটি ছিল তার প্রথম ধান্দা, যা পরবর্তীতে বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির দিকে নিয়ে যায়।
মূলত, তার সফলতা আসে বালু চুরি থেকে। রেজাউল করিম চুরি করে বালু ব্যবসার মাধ্যমে রাতারাতি অঢেল সম্পদের মালিক হন। কালুরঘাটের বালু “কামাল” নামের এক চোরের সহযোগিতায় রাতের অন্ধকারে বালু চুরি করা হত। এই চুরি থেকেই তিনি লাভবান হন এবং একে একে বালুর মহাল এবং ড্রেজারসহ বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি জমা করেন। পাঁচ বছরের মধ্যে তিনি হয়ে ওঠেন এক বৃহৎ বালু ব্যবসায়ী, যাকে একসময় চট্টগ্রামে ‘বালুর টাকার চোর’ হিসেবে অভিহিত করা হত।
রেজাউল করিমের অপরাধজগতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে ওঠে যখন তিনি রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিতে শুরু করেন। তার তত্ত্বাবধানে, রাউজানের নুরুল ইসলাম নুরুর হত্যাকারীদের অর্থ সাহায্য দেওয়া হত। নুরুল ইসলাম নুরু, যিনি ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন, তাকে চট্টগ্রাম শহরের চন্দনপুরা থেকে এস আই শেখ জাবেদ এর সহযোগিতায়
অপহরণ করে ফজলে করিমের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। রেজাউল করিম এই হত্যাকারিদের নিয়মিত মাসোহারা দিতেন এবং তাদেরকে লালনপালন করতেন।
এমনকি, বালু চুরির অংশীদার কামালকে সিটি কপোরেশনের বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতেও রেজাউল করিম কোনো দ্বিধা করেননি। কামাল, যে তার “স্ত্রী” ব্যবসায়ী হিসেবে সিটি কপোরেশনে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছিল, বর্তমানে সিটি কপোরেশনের বিএনপি পন্থি ঠিকাদারদের উপদেষ্টা হয়ে কাজ চালাচ্ছে এবং সিটি কপোরেশনের কাজ হাতিয়ে নিচ্ছে। এতোসব অপকর্মের পরও, শেখ হাসিনা কীভাবে একজন এই ধরনের দুর্নীতিবাজ, নৈতিকতা বঞ্চিত, এবং সন্ত্রাসীদের সহায়তা করা ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের মেয়র বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ঘটনায় শুধু চট্টগ্রামের মানুষ নয়, পুরো দেশবাসী হতবাক। রেজাউল করিম চৌধুরী, যার বিরুদ্ধে দুষ্কৃতী, চুরি, ও দুর্নীতির এক দীর্ঘ তালিকা রয়েছে, আজও চট্টগ্রামের রাজনীতিতে তার অন্ধকার দিক নিয়ে আলোচনা সৃষ্টি করছেন।
এটি একটি বড় প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে—যে ব্যক্তি এতসব অপরাধের সাথে জড়িত, কীভাবে তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে নিয়োগ দেওয়া হল, যেখানে সে জনগণের পক্ষে কাজ করার কথা ছিল? তার শাসনকালে চট্টগ্রামের জনগণের প্রতি তার কতটা ন্যায়পরায়ণতা ছিল, তা বলা মুশকিল।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচালনায় রেজাউল করিম চৌধুরী একটি আলোচিত চরিত্র। ২০১৫ সালে তিনি প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং প্রায় তিন বছর মেয়াদে কাজ করেন। তার শাসনামল ছিল নানা বিতর্ক ও সমালোচনার মধ্যে দিয়ে। তাঁর শাসনকালে তিনি যেমন কিছু উন্নয়ন প্রকল্পে সফল হন, তেমনি দুর্নীতির অভিযোগ, সরকারি অর্থের অপব্যবহার, এবং অব্যবস্থাপনার কারণে বিতর্কিত হয়ে ওঠেন। এই লেখা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও রেজাউল করিম চৌধুরীর শাসনকাল বিশ্লেষণ করবে এবং বিভিন্ন দুর্নীতি ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির বর্ণনা দেবে, যা আজও চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়।
রেজাউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রামের একজন দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক নেতা। তিনি আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত হয়ে ধীরে ধীরে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিকে সাধারণ জনগণের মধ্যে একটি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছিল, যা তাকে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে যায়। কিন্তু তাঁর শাসনামল পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তাঁর নামের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে। তার শাসনামলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পে অংশ নেয়, কিন্তু সেই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে দেখা যায় নানা ধরনের অনিয়ম এবং দুর্নীতি।
২০১৫ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর, রেজাউল করিম চৌধুরী তাঁর প্রথম মেয়াদে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের শাসনভার গ্রহণ করেন। তাঁর নির্বাচনের সময় চট্টগ্রামবাসী বিশেষভাবে আশা করেছিলেন যে, তিনি শহরের উন্নয়ন এবং নগর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করবেন। কিন্তু তাঁর মেয়াদকালে সরকারি প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। শুরুতে তিনি নগর উন্নয়ন নিয়ে কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন কিছুটা ঝুলে থাকে এবং কার্যকারিতা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। বিশেষ করে সড়ক, সেতু, ড্রেনেজ সিস্টেম, এবং পানির সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে দেখা যায় প্রক্রিয়া অবহেলা এবং চুক্তি-বিভাজন থেকে শুরু করে ভুল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত।
রেজাউল করিম চৌধুরীর শাসনামলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে দুর্নীতি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। একাধিক প্রকল্পে দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ পায়, যা শুধু জনসাধারণকেই নয়, সরকারের উপরও চাপ সৃষ্টি করে। তাঁর শাসনকালে সিটি করপোরেশন আর্থিক অপচয় ও তহবিলের অব্যবহারের শিকার হয়। শহরের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ বিশাল হলেও সেগুলোর কাজের মানের অভাব ছিল। বিশেষ করে সড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দের টাকা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়, যার ফলে প্রকল্পগুলো অপর্যাপ্তভাবে বাস্তবায়িত হয়।
রেজাউল করিম চৌধুরী তাঁর মেয়াদে সিটি করপোরেশনে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগের মুখে পড়েন। নিয়োগ বাণিজ্য এবং স্বজনপ্রীতির কারণে অনেক যোগ্য প্রার্থী বাইরে রেখে রাজনৈতিক পছন্দের লোকদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এর ফলে, সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক ব্যবস্থার কার্যকারিতা কমে যায় এবং জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সরকারি চাকরিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ না হওয়া এবং পারিবারিক বা রাজনৈতিক কারণে নিয়োগ পাওয়ার ফলে সিটি করপোরেশন অব্যবস্থাপনায় ডুবে পড়ে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে বেশ কিছু বড় উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হয়, কিন্তু সেগুলোর বাস্তবায়ন অত্যন্ত ধীর গতিতে চলতে থাকে। একাধিক প্রকল্পে কাজ বিলম্বিত হয়ে যায়, এবং অন্যান্য প্রকল্পে নির্মাণ মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের অপব্যবহার ব্যাপকভাবে হয়েছিল। বিশেষ করে রাস্তা নির্মাণ, সড়ক প্রশস্তকরণ, জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে যে প্রকল্পগুলো গ্রহণ করা হয়েছিল, সেগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
রেজাউল করিম চৌধুরী বিদেশ সফরগুলোকে চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিয়ে বৈদেশিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুযোগ হিসেবে দেখেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে অনেক বিতর্ক দেখা দেয়, কারণ এসব সফরে তার সঙ্গে সিটি করপোরেশনের বেশ কিছু কর্মকর্তার অংশগ্রহণ এবং সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিছু বিদেশ সফর বিশেষভাবে সরকারের বরাদ্দের অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগ এনে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়। সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কাজের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গড়ে তোলার কথা বললেও অনেক সময় এসব সফর ছিল শুধুমাত্র সরকারী অর্থের অপব্যবহার।
রেজাউল করিমের সময়ে চট্টগ্রামের রাস্তা ও সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ নিয়েও ব্যাপক দুর্নীতি ঘটে। অনেক সেতুর নির্মাণকাজের জন্য পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলি কার্যকরভাবে কাজ না করায় সেগুলোর কাজ বেশ কিছু বছর ধরে স্থগিত থাকে। বেশ কিছু সেতু বা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে খরচের পরিমাণ অতিরিক্ত ছিল এবং সেগুলোর কাজও শিগগিরই শেষ হয়নি। এসব সেতু ও রাস্তার নির্মাণ কাজে ছিল অব্যবস্থাপনা এবং ঠিকাদারদের সঙ্গের রাজনৈতিক সম্পর্ক। রেজাউল করিম চৌধুরীর শাসনকাল শেষ হওয়ার পর, চট্টগ্রামের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ পায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা তার শাসনামলের নানা অপকর্ম নিয়ে অভিযোগ করেন। নাগরিকদের মধ্যে ছিল একটি বিরাট প্রতিক্রিয়া, যেখানে তারা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কর্মসূচি এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে। সাধারণ জনগণ তাঁর শাসনামলে ট্যাক্স বৃদ্ধির চাপ এবং নগরের অপচয়কে কেন্দ্র করে বিস্তৃত সমালোচনা করে। রেজাউল করিম চৌধুরীর শাসনকাল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে এক বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে। তাঁর সময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রশাসনিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে, সরকারি প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন একধরনের দৃষ্টিভঙ্গির অভাবে কার্যকর হয়নি এবং জনগণের মধ্যে আস্থা হারিয়ে যায়। যদিও কিছু উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর অনেকেই সময়মতো সমাপ্ত হয়নি, এবং সেগুলোর মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তাঁর শাসনকালের পরবর্তী সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় জনগণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হিসেবে থাকতে পারে। ২০১৬ সালের ১৫ই আগস্টের শোকদিবসে বালুর মহাল থেকে নুর মোহাম্মদ সাহেব মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছে পাঠানো ১ লক্ষ টাকার মধ্যে থেকে যে ছোট্ট চোর ২০ হাজার টাকা চুরি করেছিল, সেই মানুষটিকেই শেখ হাসিনা মেয়র বানিয়ে, প্রতি মন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে আরও বড় চোরে পরিণত করেছেন। ৫ই আগস্ট, শেখ হাসিনা যখন দেশের বাইরে পালিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন রেজাউল করিমও সেই সময় থেকেই পলাতক। তবে, তার আত্মগোপন যাওয়ার আগে সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারদের কাছ থেকে অবৈধভাবে ১০ শতাংশ কমিশন নিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা নগদ তার বাসা থেকে লুট হয়ে যাওয়ার খবর গোপন সূত্রে পাওয়া গেছে।
এটি এক ভয়াবহ প্রতিচ্ছবি, যেখানে জনগণের ক্ষতি, তাদের বিশ্বাস ভেঙে ক্ষমতার দুর্বৃত্তরা নিজেদের স্বার্থে দেশের সম্পদ চুরি করে যাচ্ছে। প্রশাসন বা ক্ষমতার শীর্ষে যারা বসে আছেন, তাদের নির্বিকার দৃষ্টি এমন অপরাধের প্রবাহে আরো গভীর ক্ষতির শঙ্কা সৃষ্টি করছে। আমাদের দেশ, আমাদের শহর যেন এইসব ক্ষত থেকে মুক্তি পায়—তাহলে সবাইকে একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। যতদিন না পর্যন্ত এই সকল অপকর্মের শাস্তি নিশ্চিত হচ্ছে, ততদিন আমাদের সমাজের ন্যায়বিচার, আস্থা, এবং সৎ সরকারের প্রতিষ্ঠা অমূলক হবে না।
চলবে—–

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট